নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রী–কন্যাদের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
Published: 18th, March 2025 GMT
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান ও তাঁদের তিন মেয়ের নামে থাকা ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।
দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা হয় ৩৮৬ কোটি টাকা। উত্তোলন করে নেওয়া হয়েছে ৩৭৯ কোটি টাকা।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নাঈমুল ইসলাম খান, তাঁর স্ত্রী নাসিমা খান ও তাঁদের তিন মেয়ের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
আর গত বছরের ২৫ আগস্ট নাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
আরও পড়ুননাঈমুল ইসলাম খান ও তাঁর স্ত্রী–কন্যাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
স্ত্রী-তিন মেয়েসহ নাঈমুল ইসলাম খানের ১৬৩ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খানের স্ত্রী নাসিমা খান মন্টি, তিন মেয়ে লাবিবা নাঈম খান, যুলিকা নাঈম খান, আদিভা নাঈম খান এবং তার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৬৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ছয় কোটি ২৫ লাখ ৪৯ হাজার ৯৪৪ টাকা রয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের উপপরিচালক আফরোজ হক খান উল্লেখিত হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, নাঈমুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে ভিন্ন কোনো উৎস অর্থাৎ অবৈধ উপায়ে অর্থ অর্জন করে সেই অর্থের উৎস আড়াল করতে নিজ নামে, অথবা স্ত্রী-তিন সন্তানের নামে ১৬৩টি ব্যাংক হিসাবে ৩৮৬ কোটি টাকা জমা করেন। তার বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং করাসহ নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে তার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, পারিবারিক সদস্যদের নামে কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে।
আবেদন সূত্রে আরো জানা যায়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব হিসাবে রক্ষিত অর্থ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান নিষ্পত্তির পূর্বে ব্যাংক হিসাবসমূহে রক্ষিত অর্থ হস্তান্তর হলে অনুসন্ধানে ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।
সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন বলে আবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালত নাঈমুল ইসলাম খানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন।
ঢাকা/মামুন//