ময়লার স্তূপে লুকিয়ে রাখা যুবকের মরদেহ
Published: 18th, March 2025 GMT
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে ময়লার স্তূপ থেকে মুখ বাঁধা অবস্থায় আবু সালাম (২৯) এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে মহেশপুর এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
আবু সালাম লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে মহেশপুর এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়ক ঘেঁষে ময়লার স্তূপে মুখ বাঁধা অবস্থায় একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কেউ ওই যুবককে হত্যা করে ময়লার স্তূপের মধ্যে ফেলে রেখে গেছে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা সম্ভব হয়নি। রংপুর থেকে সিআইডি পুলিশের একটি দল এসে নিহত যুবকের পরিচয় শনাক্ত করেছে।
ওসি আরও বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে পলাশবাড়ী থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ময়ল র স ত প মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
২ এপ্রিল থেকে ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকির বিষয়ে পরিষ্কার নয় ভারত
ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যে আগামী ২ এপ্রিল থেকে উচ্চ শুল্ক আরোপ করবেন বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ধারণা, সেটা হলে কিছু ক্ষেত্রে ভারতের সুবিধা হবে। অর্থাৎ বিষয়টি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের জন্য শাপেবর হতে পারে।
ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, কিছু দেশের পণ্যে শুল্ক ভারতের জন্য রপ্তানির নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। তাই ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সম্ভাবনাও দেখছে তারা। বাণিজ্যসচিব সুনীল বার্থওয়াল বলেন, ভারত সরকার ইতিবাচক ও নেতিবাচক—সব প্রভাবই খতিয়ে দেখছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
সম্প্রতি ট্রাম্প আবার বলেছেন, ২ এপ্রিল থেকে ভারতের মতো দেশে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হবে। এটা পাল্টা পদক্ষেপ, অর্থাৎ তারা মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে বলে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা তাদের পণ্যে শুল্ক আরোপ করবে।
কিন্তু ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যুক্তি, আমেরিকা ঠিক কী নীতি গ্রহণ করছে, তা স্পষ্ট নয়। ভারত যদি যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়িতে চড়া শুল্ক বসিয়ে থাকে, তার পাল্টা জবাবে ট্রাম্প কি ভারতের সব পণ্যে পাল্টা শুল্ক বসাবেন, নাকি শুধু গাড়িতে আরোপ করবেন, নাকি শুধুই বৈদ্যুতিক গাড়িতে করবেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। তাতে আদৌ লোকসান হবে কি না, সেটাও প্রশ্ন। কারণ, ভারতের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের যে পণ্যে শুল্ক চড়া, তেমন অনেক পণ্য ভারত যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে না।
দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের চড়া শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, তার প্রতিবেদন ১ এপ্রিল প্রকাশিত হওয়ার কথা। ৩০ আগস্টের মধ্যে শিল্পকে মতামত দিতে হবে। ফলে ২ এপ্রিল থেকে কীভাবে শুল্ক আরোপ করা হবে, তা স্পষ্ট নয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেনদরবারও করে এসেছেন। দুই দেশের বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য আছে।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চ শুল্ক নিয়ে কথা না বলে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দর-কষাকষির মধ্যেই বিষয়টি রাখা হচ্ছে। আলোচনায় অগ্রগতিও হচ্ছে, বাকিটা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।
এদিকে ভারতের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এসবিআই রিসার্চের গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের কারণে ভারতের রপ্তানি কমতে পারে ৩ থেকে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। দেশটি যেভাবে রপ্তানির বহুমুখীকরণ করছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্কের প্রভাব তারা কাটিয়ে উঠতে পারবে।