পুলিশের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চের (এসবি) পরিদর্শক মামুন ইমরান খান হত্যা মামলায় রায়ের তারিখ ফের পেছানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালতে মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ছিল। তবে, রায় প্রস্তুত হয়নি। এজন্য রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৯ এপ্রিল ধার্য করেছেন আদালত।

মামলার অন্যতম আসামি আরাভ খানের আইনজীবী রুহুল আমিন এ তথ্য জানিয়েছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন—আরাভ খানের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার কেয়া (২১), মামুন ইমরান খানের বন্ধু রহমত উল্লাহ (৩৫), স্বপন সরকার (৩৯), দিদার পাঠান (২১), মিজান শেখ (২১), আতিক হাসান (২১) এবং সারোয়ার হোসেন (২৩)।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ৫ মার্চ ঠিক করেন। তবে, সেদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় রায় ঘোষণার তারিখ পিছিয়ে ১৮ মার্চ করা হয়। 

২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের জঙ্গল থেকে মামুন ইমরান খানের লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় মামুনের ভাই জাহাঙ্গীর আলম খান বাদী হয়ে রাজধানীর বনানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলায় ৩৮ সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জন সাক্ষ্য দেন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কুবিতে প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত শিক্ষকের কক্ষ সিলগালা 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে উত্তরপত্রসহ প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নির্দেশে কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “তদন্তের স্বার্থে উনার কক্ষটি সিলগালা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আবার খুলে দেওয়া হবে।” 

আরো পড়ুন:

সম্প্রীতির ইফতারে প্রাণোচ্ছল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুবিতে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তে শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি

এ ব্যাপারে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির ছায়াদুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত চলাকালে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গত ১১ মার্চ দিবাগত রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের চলমান তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবি করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ মার্চ ওই ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

পরে এ নিয়ে তদন্ত করতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষককে তদন্ত চলাকালীন বাধ্যতামূলক ছুটি এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ