রাজধানীর মাতুয়াইলের মিরপাড়া থেকে ছেলেকে মোটরসাইকেল নিয়ে শিক্ষকের বাসায় যাওয়ার পথে বেপরোয়া গতির একটি বাসের ধাক্কায় ওবায়দুল ইসলাম মুন্সি (৪৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল নয়টার দিকে রাজধানীর ডেমরার মিরপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনায় নিহতের ছেলে লাবিব ইসলাম (১৬) আহত হয়েছে।

ওবায়দুল সপরিবার রাজধানীর মাতুয়াইলের দক্ষিণপাড়ায় থাকতেন। তিনি জমি বেচাকেনায় মধ্যস্থতা করতেন। তার ছেলে লাবিব মাতুয়াইল বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

ওবায়দুলের বড় ভাই আতিকুল ইসলাম বলেন, আমার ভাইয়ের শ্বশুরবাড়ি মিরপাড়ায়। সেখান থেকে তিনি ছেলেকে মোটরসাইকেলের পেছনে বসিয়ে রওনা দেন। লাবিবকে শিক্ষকের বাসায় পড়াতে নিয়ে যাচ্ছিলেন ওবায়দুল। পথে তারা দুর্ঘটনার শিকার হন।

মিরপাড়া সিএনজি পাম্পের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানান ডেমরা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুরাদ হোসেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াসিম পরিবহনের একটি বাস পেছন থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  বাসটি ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার থেকে রামপুরায় যাচ্ছিল। ঘটনার পর বাস নিয়ে চালক পালিয়ে গেছেন। তাকে আটক ও বাসটি জব্দের চেষ্টা চলছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন দ র ঘটন ন হত দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

কুবিতে প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত শিক্ষকের কক্ষ সিলগালা 

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে উত্তরপত্রসহ প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নির্দেশে কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “তদন্তের স্বার্থে উনার কক্ষটি সিলগালা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আবার খুলে দেওয়া হবে।” 

আরো পড়ুন:

সম্প্রীতির ইফতারে প্রাণোচ্ছল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

কুবিতে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তে শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি

এ ব্যাপারে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির ছায়াদুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত চলাকালে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

গত ১১ মার্চ দিবাগত রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের চলমান তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবি করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ মার্চ ওই ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।

পরে এ নিয়ে তদন্ত করতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষককে তদন্ত চলাকালীন বাধ্যতামূলক ছুটি এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ