ঘোড়াঘাটে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী নারীকে ধর্ষণচেষ্টার মামলায় পানের দোকানদার কারাগারে
Published: 18th, March 2025 GMT
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর এক গৃহবধূকে (৩৬) ধর্ষণচেষ্টার মামলায় আবদুল খালেক (৪৭) নামের এক পানের দোকানদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার সকালে ঘোড়াঘাট পৌরসভার একটি ওয়ার্ডে ওই নারীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এলাকাবাসী আবদুল খালেককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। ভুক্তভোগী নারী ও অভিযুক্ত আবদুল খালেক একই এলাকার বাসিন্দা। এ ঘটনায় গতকাল বিকেলে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে একটি মামলা করেন ওই নারী। পরে ওই মামলায় আবদুল খালেককে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে ওই নারী বাড়ির অদূরে একটি বাগানে শুকনা পাতা ও খড়ি কুড়াতে যান। এ সময় তাঁকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান আবদুল খালেক। তখন ওই নারীর চিৎকারে তাঁর স্বামীসহ লোকজন জড়ো হলে খালেক পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় গ্রামবাসী তাঁকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে খালেককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ষণচেষ্টার ঘটনায় গতকাল বিকেলে ভুক্তভোগী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। পরে আটক আবদুল খালেককে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আবদ ল খ ল ক ওই ন র গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
কুবিতে প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত শিক্ষকের কক্ষ সিলগালা
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে উত্তরপত্রসহ প্রশ্নফাঁসে অভিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক কাজী এম. আনিছুল ইসলামের কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের নির্দেশে কক্ষটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “তদন্তের স্বার্থে উনার কক্ষটি সিলগালা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে আবার খুলে দেওয়া হবে।”
আরো পড়ুন:
সম্প্রীতির ইফতারে প্রাণোচ্ছল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুবিতে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তে শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি
এ ব্যাপারে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তে গঠিত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জাকির ছায়াদুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত চলাকালে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
গত ১১ মার্চ দিবাগত রাতে একটি বেনামি মেইল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন এবং সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো চিঠিতে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ বর্ষের চলমান তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষায় প্রতিটি কোর্সের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে দাবি করা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৩ মার্চ ওই ব্যাচের সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে।
পরে এ নিয়ে তদন্ত করতে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। একইসঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষককে তদন্ত চলাকালীন বাধ্যতামূলক ছুটি এবং ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী