জি কে শামীম ও তার মায়ের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন ২০ মার্চ
Published: 18th, March 2025 GMT
অবৈধ ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ আগামী ২০ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক মো. রবিউল আলমের আদালত এ তারিখ ঠিক করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী বেলাল হোসেন এ তথ্য জানান।
জানা গেছে, এদিন জি কে শামীম মাসহ নিজের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্য শেষ করেন। দুদক প্রসিকিউটর মীর আহাম্মদ আলী সালাম তাদের জেরা করেন। জেরা শেষে ২০ মার্চ যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ রাখেন আদালত।
গত ১০ মার্চ জি কে শামীম সাফাই সাক্ষ্য দেওয়া শুরু করেন।
এর আগে, গত ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলাটি রায়ের জন্য ছিল। তবে জি কে শামীমের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে পুনরায় জেরা করার আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। মামলাটি রায় থেকে উত্তোলন করে সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ধার্য করা হয়।
২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর জি কে শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক মো.
২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০২২ সালের ১৮ অক্টোবর তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রিকেটার সেজে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা, ১৫ বাংলাদেশি আটক
মালয়েশিয়ায় প্রবেশের জন্য অভিনব কৌশল বেছে নিয়েছিল একদল বাংলাদেশি। ক্রিকেট দলের সদস্য সেজে তারা কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রবেশের চেষ্টার করে। এ সময় ১৫ বাংলাদেশিকে আটক করে মালয়েশিয়ার সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপত্তা সংস্থা (একেপিএস)।
মালয়েশিয়ায় ঢোকার জন্য ওই ব্যক্তিরা ক্রিকেটের ‘স্পোর্টস ইউনিফর্ম’ পরে এসেছিলেন এবং সঙ্গে আনা একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আমন্ত্রণপত্র দেখিয়ে নিজেদের খেলোয়াড় দাবি করছিলেন। তবে তদন্তে বেরিয়ে আসে ‘পেনাং ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন’- এর নামে দেওয়া সেই আমন্ত্রণপত্র আসল নয়, বরং সম্পূর্ণ জাল।
একেপিএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চলতি বছরের ২১ থেকে ২৩ মার্চ পর্যন্ত মালয়েশিয়ায় কোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্টের সূচি নেই। এ তথ্য মেলায় কর্মকর্তাদের সন্দেহ আরও বাড়ে। কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, দলের পক্ষ থেকে একজন স্পন্সর বা গ্যারান্টার উপস্থিত ছিলেন, যিনি তাদের পরিচয় নিশ্চিত করার কথা ছিল। তবে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন যে, এই টুর্নামেন্ট সম্পর্কে কিছুই জানেন না এবং শুধুমাত্র একটি কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে এসেছেন।
আরো পড়ুন:
ঈদের আগে ডিপিএলে খেলতে পারবেন না মুশফিক
নতুন পরিচয়ে বাইশ গজে আশরাফুল
বিমানবন্দরে আরও তদন্ত চালিয়ে কর্মকর্তারা নিশ্চিত হন যে, তারা আসলে প্রকৃত ক্রিকেটার নন। বরং এটি একটি চক্রের অংশ যারা খেলোয়াড় সেজে অন্য কোনো উদ্দেশ্যে মালয়েশিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করছিল। এ ঘটনায় তাদের ‘নট-টু-ল্যান্ড’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে মালয়েশিয়ার অভিবাসন আইনের ভিত্তিতে।
একেপিএস সতর্ক করে দিয়েছে যে, ভিসার অপব্যবহার, বিশেষ করে অবৈধ কাজ বা মানব পাচারের উদ্দেশ্যে খেলার নামে দেশে প্রবেশের চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিবাসন সংস্থা জানিয়েছে, এ ধরনের অপরাধ রোধে নজরদারি আরও বাড়ানো হবে।
ঢাকা/আমিনুল