হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল লিংক যুক্তের সুযোগ চালু করতে যাচ্ছে মেটা। এ সুবিধা চালু হলে হোয়াটসঅ্যাপ প্রোফাইল থেকেই সেই ব্যক্তির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের তথ্য অন্যরা দেখতে পারবেন। এরই মধ্যে আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের ২৫.৭.১০.৭০ বেটা সংস্করণে পরীক্ষামূলকভাবে সুবিধাটি যুক্ত করেছে মেটা।

হোয়াটসঅ্যাপের সুবিধা নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান ডব্লিউএবেটাইনফোর তথ্যমতে, হোয়াটসঅ্যাপের টেস্টফ্লাইট বেটা প্রোগ্রামের আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্দিষ্ট আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইল লিংক যুক্তের সুযোগ চালু করা হয়েছে। সুবিধাটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হলে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে সহজেই নিজেদের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের লিংক যোগ করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এর ফলে হোয়াটসঅ্যাপে পরিচিত ব্যক্তিরা সহজেই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে পারবেন।

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে ভিডিও কলে নতুন সুবিধা আসছে১৩ মার্চ ২০২৫

নতুন এ সুবিধা চালু হলে হোয়াটসঅ্যাপ সেটিংসে ‘সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল’ অপশন দেখা যাবে। অপশনটি নির্বাচনের পর ইনস্টাগ্রামের ইউজার নেম লিখে সেভ করলেই সেটি হোয়াটসঅ্যাপের চ্যাট ইনফোতে যুক্ত হয়ে যাবে। চাইলে কোন কোন ব্যক্তি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল দেখতে পাবেন, তা-ও নির্ধারণের সুযোগ মিলবে।

সূত্র: টেকলুসিভ

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে বার্তা ও ছবি নিরাপদ রাখতে ব্যবহার করতে হবে এই ৫ সুবিধা১১ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প র

এছাড়াও পড়ুন:

শতবর্ষী ঐতিহ্যে চুনারুঘাটের বৈশাখী মেলা, কৃষিপণ্যের বাহারে মুখর পীরের বাজার

শত বছরের ঐতিহ্য নিয়ে চুনারুঘাট উপজেলার পীরের বাজারে শুরু হয়েছে বৃহৎ বৈশাখী মেলা, স্থানীয়ভাবে যা 'বান্নি' নামে পরিচিত। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এই মেলাটি চুনারুঘাটসহ সিলেট বিভাগের সবচেয়ে বড় বৈশাখী মেলা হিসেবে পরিচিত।

মঙ্গলবার সকাল থেকে মেলা শুরু হয় এবং মূল আকর্ষণ হিসেবে থাকছে কৃষিপণ্যের বিশাল সমাহার। মেলায় পাওয়া যাচ্ছে লাঙল, জোয়াল, দা, কাঁচি, মই, মাছ ধরার সরঞ্জামসহ অসংখ্য কৃষি উপকরণ। মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল, খেলনা, হস্তশিল্প ও মনিহারি পণ্যেরও ছিলো চোখধাঁধানো উপস্থিতি।

স্থানীয় দোকানিরা জানান, প্রতিবছর বিভিন্ন জেলা ও অঞ্চল থেকে ব্যবসায়ীরা পণ্য নিয়ে এই মেলায় অংশগ্রহণ করেন। শুধু হবিগঞ্জ নয়, ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নরসিংদী এমনকি উত্তরবঙ্গ থেকেও বিক্রেতারা অংশ নিয়েছেন এ ঐতিহ্যবাহী আয়োজনে।

চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দিন সামছু বলেন, এই মেলা মূলত কৃষকদের জন্য। এখান থেকে প্রয়োজনীয় কৃষিপণ্য সংগ্রহ করতেন তারা।

তবে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসারের ফলে কৃষিকাজে ব্যবহৃত অনেক সরঞ্জামের প্রয়োজন কমে যাওয়ায় মেলার জৌলুস কিছুটা কমেছে বলে মনে করেন অনেকে। সেইসঙ্গে আশপাশে ঘরবাড়ি গড়ে ওঠায় মেলার পরিসরও সীমিত হয়েছে।

স্থানীয় ইউএনও মোহাম্মদ রবিন মিয়া জানান, মেলায় অংশ নিতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন। মেলা চলাকালীন নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে পুলিশ বাহিনী, নিশ্চিত করেন চুনারুঘাট থানার ওসি নুর আলম।

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, শত বছর আগে এই মেলা শুরু হয়েছিল ছোট পরিসরে পূজা আয়োজনের মাধ্যমে। পরে তা বৃহৎ মেলায় রূপ নেয়।

এখনও অনেকেই শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন করতে এই মেলায় আসেন, স্মৃতিচারণ করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। মেলায় পরিবেশিত হচ্ছে গ্রামবাংলার আবহমান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও।

চুনারুঘাটের এই বৈশাখী মেলা শুধু একটি উৎসব নয়, বরং এটি এ অঞ্চলের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও কৃষিভিত্তিক জীবনের প্রতিচ্ছবি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ