হন্ডুরাসে একটি ছোট বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সাতজন নিহত হয়েছে। দমকল কর্মীরা জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় সোমবার রাতে রোটান দ্বীপ থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিটের মধ্যেই বিমানটি সাগরে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। খবর রয়টার্সের।
রোটান ফায়ার ক্যাপ্টেন ফ্র্যাঙ্কলিন বোর্জাস সাংবাদিকদের জানান, দুর্ঘটনার পর ১০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
হন্ডুরাসের পরিবহনমন্ত্রীর মতে, ল্যানহসা এয়ারলাইন্সের বিমানটি ১৪ জন যাত্রী এবং তিনজন ক্রু সদস্য বহন করছিল। তিনি জানান, দ্বীপের উপকূল থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার (০.
আরো পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে মেডিক্যাল হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, নিহত ৩
যুক্তরাষ্ট্রে আবারো মাঝ আকাশে দুই বিমানের সংঘর্ষ, নিহত ২
স্থানীয় গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, যাত্রীদের মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিক, একজন ফরাসি নাগরিক এবং দুজন শিশু ছিল। বিমানটি হন্ডুরাসের মূল ভূখণ্ডের লা সেইবা বিমানবন্দরে যাওয়ার কথা ছিল।
দমকল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে বিখ্যাত গ্যারিফুনা সংগীতশিল্পী অরেলিও মার্টিনেজ সুয়াজোও রয়েছেন।
দুর্ঘটনার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। বিমান সংস্থাটি রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। রোটান দ্বীপ হন্ডুরাসের অন্যতম প্রধান পর্যটন কেন্দ্র।
ঢাকা/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারের সাবেক মেয়র মাহবুবুর দুদকের জালে
কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহবুবুর রহমানকে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মাহবুবুর রহমান কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
সূত্র জানায়, সাবেক পৌর মেয়র মাহবুবুরের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়টি অনুসন্ধান করতে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেনকে গত রোববার অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
এর আগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয় কক্সবাজার কার্যালয়ে। কমিশনের পক্ষে উপপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত) ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত গত ১২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে পাঠানো চিঠিতে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে মাহবুবুরের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী অনুসন্ধান শেষ করে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে মাহবুবুর কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এর পর পৌরসভায় নিজস্ব বলয় গড়ে তুলে লাখ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হন। ঘুষের বিনিময়ে পৌরসভায় কর্মচারী নিয়োগ, ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জমি ক্রয়ের নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ, পৌর এলাকায় ড্রেন পরিষ্কারের নামে অর্থ আত্মসাৎ, নামে-বেনামে মিথ্যা কোটেশন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে মাহবুবুরের বিরুদ্ধে।
এ ছাড়াও বড় বাজারে পৌরসভার পক্ষ থেকে ডেভেলপারের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে একটি আধুনিক মার্কেট নির্মাণধীন থাকা অবস্থায় দোকান দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি পৌরসভার সব উন্নয়ন প্রকল্পে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হলেও গোপনে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেই ঠিকাদারি কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মাহবুবুর।
কক্সবাজার পৌরসভার একজন কাউন্সিলর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুদক নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধান করলে মাহবুবুরের দৃশ্যমান সম্পদের চেয়ে নামে-বেনামে অদৃশ্য অবৈধ সম্পদ বেশি পাওয়া যাবে।
মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই কাজ শুরু করেছি।