ময়মনসিংহে বিলের মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
Published: 18th, March 2025 GMT
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে বিলের জমির মাটি কাটা নিয়ে বিরোধে এক যুবককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, উপজেলার পাগলা থানা এলাকার নিগুয়ারী ইউনিয়নের তললী গ্রামে গতকাল রাত ১০টার দিকে স্থানীয় মেহেদী হাসান ওরফে রাকিব (২৫) ও মো.
নিহত মেহেদী হাসান তললী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। গুলিবিদ্ধ সাবিত একই গ্রামের রবিকুল ইসলামের ছেলে। আর অভিযুক্ত ইয়াসিন (৪০) সাদুয়া গ্রামের মৃত আমীর আলীর ছেলে।
স্থানীয় গ্রাম পুলিশের সদস্য মো. ওয়াজ উদ্দিন বলেন, স্থানীয় জেডুপি বিল থেকে মাটি কাটতে চেয়েছিলেন ইয়াসিন। কিন্তু তাতে বাধা দেন মেহেদী হাসান। নিজের বাবার জমি থেকে মাটি কাটতে ইয়াসিনকে বাধা দিলে তিন মাস ধরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এর মধ্যে মেহেদী নিজেই বিলে থাকা নিজেদের জমির মাটি বিক্রি করেছিলেন। বিল থেকে মাটি কাটা নিয়ে গতকাল রাতে তললী পল্টনের মোড় এলাকায় মারামারি ও হত্যার ঘটনা ঘটে।
পাগলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফেরদৌস আলম বলেন, মেহেদী হাসানদের জমি থেকে মাটি কাটা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মেহেদী ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুলিবিদ্ধ একজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ময়মনসিংহে স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটির ৮ সদস্যের অনাস্থা
ময়মনসিংহে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিটিতে বিতর্কিতদের পদ দেওয়ার অভিযোগে ৮ সদস্য অনাস্থা প্রস্থাব দিয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুরে এই অনাস্থা প্রস্তাবের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হান্নান মিয়া।
এই অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেছেন নবগঠিত কমিটির ৮ সদস্য। তারা হলেন- যুগ্ম আহবায়ক মো. খোকন মিয়া, খরিল মিয়া, রাসেল মিয়া, আনোয়ার হোসেন, সদস্য- জুয়েল মিয়া, জিয়াউর রহমান ও মো: লিমন।
অনাস্থা প্রস্তাবে উল্লেখ করা হয়, নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সনিরুল হাসান খান তোয়া কখনো বিএনপি বা স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিল না। সে বিগত সময়ে অন্যদলের নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা করত। আমরা তোয়াকে কখনো দলীয় কর্মকাণ্ডে পাইনি। অথচ তাকে স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক করা হয়েছে। এ কারণে আমরা কমিটির আহ্বায়কের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছি।
নবগঠিত কমিটির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হান্নান মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দল না করেও পদ পাওয়া যায়, এটা তোয়া প্রমাণ করেছে। অথচ ৫ আগস্টের আগে তাদেরকে কখনো দলে দেখিনি। তোয়া ছাড়াও এই কমিটিতে কৃষকদলের ওয়ার্ডের আহ্বায়ক প্রকৌশলী সবুজকে কোনো যাচাই-বাছাঁই না করেই স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য করা হয়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ময়মনসিংহ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম ফয়সাল।
তিনি বলেন, এই কমিটির বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও অবগত। যাচাই-বাঁছাই করে নিয়ম মেনে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক তোয়াকে নিয়ে জাতীয় পার্টির এক নেতার সঙ্গে যে ছবি প্রকাশ হয়েছে সেটা সামাজিক ছবি, দলীয় কর্মকাণ্ডের নয়।
এই বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক সনিরুল হাসান খান তোয়াকে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।