‘‘বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনা হয়েছে’’ মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে না।’’

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ডিএনআই) প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। তার মন্তব্যের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে আমাদের অর্থনীতিতে বহুপাক্ষিক বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না।’’

এ সময় তিনি সাংবাদিদের এক প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রামে পণ্য খালাসের জট কমেছে বলেও জানান। 

‘সয়াবিন তেল ভাসছে?’ সাংবাদিকরা এমন পাল্টা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘সয়াবিনটা ভাসছে, এটা আমাদের দৃষ্টিতে আসছে। ব্যবসায়ীরা অনেক সময় নানা রকম টালবাহনা করে। যাইহোক আমরা চেষ্টা করছি। যত বেশি চালাক হবে, আমাদের আরেকটু বেশি চালাক হয়ে কাজ করতে হবে।’’

‘গার্ডিয়ান’ পত্রিকার সাংবাদিক বাংলাদেশ সফর শেষে লিখেছেন- বাংলাদেশ খাদের কিনারায় আছে। তিনি কেন এটা বললেন বলে আপনাদের মনে হয়? জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘খাদের কিনারায় ছিল। এখন খাদের কিনারা থেকে আমরা রিটার্ন করে চলে আসছি।’’

এ সময় তিনি ‘‘অর্থনীতির বিষয় তো আমি জানি- ভিতরে কি হচ্ছে। এতো হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’’ বলেও মন্তব্য করেন। 

এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘এলডিসি ২০২৬ সালে একটা স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি নিয়েছি। স্মুথ মানে ধম করে নামে না, প্লেন যেমন আস্তে আস্তে নামে। আমরা এটা অলরেডি করছি।’’

তিনি বলেন, ‘‘আসলে বাংলাদেশের দিকে অন্যান্য দেশ তাকিয়ে আছে। আমরা জানি বাংলাদেশের পারফরমেন্স ওভার অল সন্তোষজনক। ভুলত্রুটি আছে তার মধ্যেও। ইভেন .

.. বলেছে তোমরা যদি করো অন্যান্য দেশ সাহস পাবে। আর আমাদের গৌরবটা একটু বাড়বে। হয়তো কিছু কিছু প্রিপারেশন লাগবে, আমরা প্রিপারেশনে যাচ্ছি।’’

ঢাকা/হাসনাত//

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট আম দ র

এছাড়াও পড়ুন:

আবারও বানানো হচ্ছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি`

নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষে বানানো ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির’ মোটিফ পড়ানোর পর আবার নতুন করে তা বানানো হচ্ছে। 

রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে গিয়ে দেখা যায়, শিল্পীরা 'ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি' বানানোর কাজ করছেন। 

এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) রাতে চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে আনন্দ শোভাযাত্রার অগ্রগতি পরিদর্শনকালে পুনরায় এই মোটিফ তৈরির কথা জানান (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। 

উপাচার্য বলেন, “আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম, সেখানে বাঁধা এসেছে। এ ধরনের কাজে কিছু বাঁধা আসেই, ষড়যন্ত্র থাকবেই। এসব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে আমরা এগিয়ে যাবো। এতে সবার সহযোগিতা কামনা করছি। আমরা সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানাই। তবে চারুকলা প্রাঙ্গণে ফের মোটিফটি তৈরির যাবতীয় সরঞ্জাম চারুকলায় আনা হয়েছে এবং শিল্পীরা যত দ্রুত সম্ভব এই প্রতিকৃতি বানানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন। ককশিট দিয়ে মোটিফটি দ্রুত সময়ের মধ্যে বানানো যায় কি-না সেটা নিয়ে কাজ করছেন তারা।”

তবে এত অল্প সময়ে মূল মোটিফ বানানো সম্ভব কি-না জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দিন আহমদ বলেন, “গত ১ মাস ধরে বানানো একটা প্রতিকৃতি তো ১ দিনে বানানো সম্ভব না। দেখা যাক, শিল্পীরা কী করেন। এটা আমরা শিল্পীদের ওপর ছেড়ে দিয়েছি।”

এর আগে রাত সাড়ে ৯টায় আনন্দ শোভাযাত্রার অগ্রগতি দেখতে চারুকলা পরিদর্শন করেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

তিনি বলেন, “এই আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবাইকে আমি স্যালুট জানাই। তারা গত ১ মাস ধরে তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতি’ নাশকতার মাধ্যমে পুড়িয়ে ফেলে শিল্পীদের স্পিরিট দমানোর চেষ্টা করলেও আমি এসে দেখছি শিল্পীদের স্পিরিট দ্বিগুণ হয়ে গেছে। আশা করবো দেশবাসী দারুণ একটি শোভাযাত্রা করবে। দেশবাসীকে আহ্বান জানাই শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য।” 

জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের চেতনাকে সামনে রেখে এবার নববর্ষের প্রতিপাদ্য ঠিক করা হয়েছে ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এবারকার প্রধান মোটিফ ছিল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’।  এটিকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি হিসেবে ধারণা করেছিলেন অনেকে। বর্ষবরণের ঠিক দুদিন আগে শনিবার ভোরে আগুনে পুড়ে যায় ‘ফ্যাসিবাদের প্রতিকৃতি’ । আগুন লাগে 'শান্তির পায়রা' মোটিফের একাংশতেও।

ঢাকা/সৌরভ/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ