দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। অতিরিক্ত গরমে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই সময় মশলাদার খাবার গ্রহণ করলে পেটের অসুখে ভুগতে হতে পারে। কারণ অধিক তেলযুক্ত খাবার গ্রহণ করলে হজমশক্তি কমে যায়।
 
ভারতীয় চিকিৎসক সৌভিক চক্রবর্তী স্থানীয় গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘গরমে অনেকেই পানীয় পান করেন, তা থেকেও ডায়রিয়া হতে পারে। কারণ ডায়রিয়া মূলত পানিবাহিত রোগ।’’ 

ডায়রিয়া প্রতিরোধে কিছু নিয়ম কানুন অবশ্যই মেনে চলা উচিত—

এক.

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। খাবার গ্রহণের আগে ভালো করে হাত ধুতে হবে এবং স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে।
দুই. গরম খাবার গ্রহণ করতে হবে।
তিন. গরম খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে আবার গরম করে তারপর খেতে হবে। কারণ ঠান্ডা খাবারে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে।
চার. অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি খাবার খাওয়া যাবে না।
পাঁচ. অনেকক্ষন আগে কেটে রাখা ফল বা ফলের জুস খাওয়া যাবে না।

আরো পড়ুন:

রোজা রেখে কি ইনজেকশন নেওয়া যাবে?

নিরাপদে রোজা রাখতে ডায়াবেটিস রোগীর করণীয়

ঢাকা/লিপি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর খ ব র গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

রাত ৮টার মধ্যে হল খোলার দাবি কুয়েট শিক্ষার্থীদের 

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রশাসনিক ভবনের সামনে আজ রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার দাবিতে অবস্থান নিয়েছে দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী।

এর আগে, এ দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী দুপুর আড়াইটার দিকে বন্ধ থাকা কুয়েটের প্রধান গেটের সামনে জড়ো হন। কুয়েট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা বেলা ৩টার দিকে আইডি কার্ড দেখিয়ে ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রবেশ করেন। এরপর তারা প্রশাসনিক ভবনের সামনে যান।

আরো পড়ুন:

নড়াইলে শ্রমজীবীদের পাঞ্জাবি উপহার

খুলনার দিঘলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

সেখানে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষকদের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষার্থীদের কাছে আসেন। শিক্ষকরা তাদেরকে বুঝিয়ে বলেন, সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম ও হলগুলো খোলা সম্ভব নয়।

তবে শিক্ষার্থীরা সংবাদ বিবৃতিতে বলেন, হল ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী হলে থেকে বাইরে টিউশনি করেন। তারা টিউশনি করতে পারছেন না। তারা রাত ৮টার মধ্যে হল খুলে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন। কর্তৃপক্ষ যদি দাবি পূরণ না করে, তাহলে তারা আলোচনা করে পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণ করবেন।

কুয়েটের সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “শিক্ষার্থীরা হল খুলে দেওয়ার জন্য লিখিত একটি আবেদন জানিয়েছে। বিষয়টি শিক্ষক প্রতিনিধিরা উপাচার্যকে জানাচ্ছেন। তবে সিন্ডিকেটের সভা ছাড়া হল খোলা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব নয়।

এদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ক্যাম্পাসের দুটি গেটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন।

এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হলগুলো বন্ধ ঘোষণা করে কুয়েট কর্তৃপক্ষ।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ