গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফার বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য তিনি সরকারি ৩১ লাখ টাকায় নিজ বাড়িতে লবণাক্ত দূরীকরণ প্লান্ট, দুই লাখ টাকার স্ট্রিট লাইট ও লাখ টাকা ব্যয়ে ঘাটলা নির্মাণ করেছেন।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন গোপালগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (ডিডি) মো.

মশিউর রহমান প্রেরিত তথ্যে এ কথা জানানো হয়।

ডিডি মো. মশিউর রহমান জানান, সোমবার (১৭ মার্চ) গিমাডাঙ্গার মধ্যপাড়ায় টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গাজী গোলাম মোস্তফা বাড়িতে অভিযান চালায় দুদকের একটি টিম। সেখানে সরকারি চারটি স্ট্রিট লাইট, পল্লী অঞ্চলে পানি সরবরাহ প্রকল্পের রিভার্স অসমোসিস (অরও) প্ল্যান্ট ও একটি ঘাটলার সন্ধান পান টিমের সদস্যরা।

আরো পড়ুন:

অবৈধ সম্পদ
সাবেক এম‌পি শাহীন চাকলাদার ও ফারহানার বিরুদ্ধে মামলা

স্বপন ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালের ২৯ নভেম্বর গোপালগঞ্জ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তৎকালিন নির্বাহী প্রকৌশলী পল্লী জনগণকে বঞ্চিত করে গাজী গোলাম মোস্তফার গিমাডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে ৩১ লাখ ১০ হাজার ৫১৯ টাকা ব্যয়ে রিভার্স অফমোসিস (আরও) প্লান্ট নির্মাণ করে দেন। এছাড়াও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস ২ লাখ টাকা মূল্যের চারটি স্ট্রিট লাইট স্থাপন ও লক্ষাধিক টাকার একটি ঘাটলা ওই বাড়িতে করে দেয়।

দুদকের এই কর্মকর্তা জানান, সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত বাড়িতে ৩ প্রকল্প বাস্তবায়নের সঙ্গে গাজী গোলাম মোস্তফা, নির্বাহী প্রকৌশলী ও উপজেলা পিআইও অফিসের প্রকৌশলীরা জড়িত থাকার সত্যতা মিলেছে। জনগণের ক্ষতি সাধন করে ব্যক্তিগত বাড়িতে এগুলো স্থাপন করে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়েছে। যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ। অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষটি দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে লিখিত আকারে পাঠানো হবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া
হবে।

তিনি আরো জানান, গিমাডাঙ্গার মধ্যপাড়ায় গাজী বাড়ি জামে মসজিদের বরাদ্দকৃত সরকারি ৫ লাখ টাকাসহ এসি, সোলার প্যানেল ও অন্যান্য সরাঞ্জামাদি আত্মসাতের অভিযোগ বিষয়েও দুদক এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে। এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনাকালে অভিযোগসমূহের সত্যতা পায়নি।

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অভ য গ উপজ ল সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কোটি টাকার ভারতীয় পণ্যের চোরাচালান আটক

হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুরে সোয়া কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্যের চোরাচালান আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

সোমবার (১৭ মার্চ) দিবাগত রাতে ৫৫ বিজিবি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল তানজিল আহমেদ এ তথ্য জানান।

আটক করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে ৪৩ হাজার ২০০টি ভারতীয় স্কিনশাইন ক্রিম, ৮৭১টি ফেসওয়াশ ও ৯৮০ প্যাকেট ভারতীয় ট্যাংক।

আরো পড়ুন:

চুয়াডাঙ্গায় ৬টি স্বর্ণের বারসহ যুবক আটক 

বাংলাদেশি ২৬ জেলেকে ফেরত আনল বিজিবি

লেফট্যানেন্ট কর্নেল তানজিল বলেন, “৫৫ বিজিবির বিশেষ দল সোমবার সকালে মাধবপুর উপজেলার জগদীশপুর এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় সিলেট থেকে ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যানকে থামানোর জন্য সিগন্যাল দিলে গাড়িটি রেখে চালক পালিয়ে যায়। পরে এর ভেতর থেকে ৪৩ হাজার ২০০টি ভারতীয় স্কিনশাইন ক্রিম, ৮৭১টি ফেসওয়াশ ও ৯৮০ প্যাকেট ভারতীয় ট্যাংক উদ্ধার করেছে বিজিবি।”

তিনি বলেন, “আটক করা এসব প্রসাধনী ও ট্যাংকের বাজার মূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ ৮ হাজার ৪০০ টাকা। মামলার পর এগুলো হবিগঞ্জ কাস্টমসে হস্তান্তর করা হবে।”

হবিগঞ্জ/মামুন/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ