যশোরে গণধর্ষণের শিকার নারীর বাড়িতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা
Published: 18th, March 2025 GMT
যশোরে গণধর্ষণের শিকার নারীর বাড়ি পরিদর্শন ও তার খোঁজ খবর নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।
সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামে নির্যাতিত ওই নারীর বাড়িতে যান তারা। এসময় নেতৃবৃন্দ ওই নারীকে ন্যায়বিচার পেতে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন। একইসাথে জড়িতদের পক্ষে বিএনপির কোন আইনজীবী আদালতে যাবেন না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।
গত রবিবার বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে ওই নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। খবর পেয়ে ঝিকরগাছা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করেন এবং এর সাথে জড়িত অভিযোগে চার তরুণকে আটক করেন। আটকদের মধ্যে গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন বাপ্পি ও দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত রয়েছেন।
বিষয়টি জানাজানি হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নির নেতৃত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নির্যাতিত ওই নারীর বাড়িতে যান।
নার্গিস বেগম ও সাবিরা নাজমুল মুন্নি দীর্ঘক্ষণ ওই নারীর সাথে কথা বলেন এবং তাকে সব ধরণের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।
পরে অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, “নির্যাতনের শিকার নারীর সব ধরনের আইনি সহায়তা বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। এ ন্যাক্কারজনক কাজের সাথে যারাই জড়িত, তাদের কোন দলীয় পরিচয় দেখা হবে না। আটক চারজনের পক্ষে বিএনপিপন্থী কোন আইনজীবী থাকবে না। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।”
তিনি বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ওই নারীকে নির্যাতনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”
ঢাকা/রিটন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র ওই ন র
এছাড়াও পড়ুন:
কাঁদতে কাঁদতে শাজাহান খান বললেন, ‘ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস দেখা নেই’
বড় ছেলে হাসিবুর রহমান খানের সঙ্গে পাঁচ মাস দেখা নেই- এ কথা বলতে গিয়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কাঁদলেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান। কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই। আমার প্রশ্ন- আমার ছেলে কি করেছে।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে শুনানি হয়। শুনানি শেষে আদালত বাড্ডা থানার রফিকুল ইসলাম হত্যা মামলায় শাজাহান খানের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এ সময় তিনি নিজের ছেলের সঙ্গে দীর্ঘ পাঁচ মাস দেখা নেই জানিয়ে কাঁদতে শুরু করেন।
এদিন সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে শাজাহান খানকে আদালতের কাঠগড়ায় তোলা হয়। তখন তিনি আইনজীবীর সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ করেন। সকাল ১০টা ৮ মিনিটের দিকে আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের পুলিশ পরিদর্শক শফিউল আলম তার ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষে মিজানুর রহমান (বাদশা) রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
রিমান্ড শুনানিকালে শাজাহান খান বলেন, মাননীয় আদালত আমাকে একটু সময় দেন কথা বলার। আমি কথা বলতে চাই। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন শাজাহান খান। তিনি বলেন, পিপি সাহেব বলেছেন, আন্দোলনে পুলিশ গুলি করেছে। সে অর্ডার তো দিতে পারে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। গুলি চালানোর অর্ডার তো আমি দিতে পারি না। আমি জড়িত না। কেন আমার বিরুদ্ধে এই মামলা হলো? শুধু আমার বিরুদ্ধে না, আমার বড় ছেলে আসিবুর রহমানকে আসামি করা হয়েছে। সে এখন জেলে।
তখন কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, আমার ছেলের সঙ্গে পাঁচ মাস আমার দেখা নেই। আমার প্রশ্ন- আমার ছেলে কি করেছে। আমি ঢাকায় থাকাকালে ছেলে মাদারীপুর ছিল। আপনি এখনই চেক করতে পারেন। আর সিরাজুল ইসলাম কে? তখন বিচারক বলেন, আপনার বিষয়ে আইনজীবী কথা বলেছেন। তবুও শাজাহান খান দুই হাত জোর করে কথা বলার জন্য সময় চান।
তিনি বলেন, একটু সময় দেন। উনারা (আইনজীবী) ভালোভাবে বিষয়টা বলতে পারেননি। চেয়ারম্যান ৬টা হত্যা মামলার আসামি। আমি তার পক্ষে ছিলাম না। তাই ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা দিয়েছে।
পরে আদালত তার চার দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে টিস্যু দিয়ে দুই চোখ মুছতে থাকেন শাজাহান খান। পরে ১০টা ৪০ মিনিটে হেলমেট, বুলেট প্রুভ জ্যাকেট ও হাতকড়া পরিয়ে আদালত থেকে বের করা হয়।
হাজতখানায় নেওয়ার সময় তিনি বলেন, ‘পুলিশ বলছে কথা বলা নিষেধ। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। আমি সারা জীবন কথা বলে এসেছি, কথা বলেই যাব। পরে হাসতে হাসতে তিনি হেঁটে হাজতখানায় যান।