জাজ মাল্টিমিডিয়া প্রযোজিত ‘জ্বীন থ্রি’ সিনেমা ঈদুল ফিতরে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। মুক্তিকে সামনে রেখে সিনেমাটির ‘কন্যা’ শিরোনামের গান প্রকাশ করেছেন নির্মাতারা।

উৎসবের আবহে নির্মিত এ গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমরান মাহমুদুল ও দিলশাদ নাহার কনা। রবিউল ইসলাম জীবনের লেখা গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান।

‘পথে পথে হাসি মেখে, ফুলেরা ঘ্রাণ ছড়াল/ উড়ে উড়ে কুহু সুরে, পাখিরা গান শোনাল’— এমন কথার গানের দৃশ্যায়নে ফুটে উঠেছে উৎসবের ছাপ। ভিডিওতে দেখা যায় ‘জ্বীন থ্রি’ সিনেমার দুই অভিনয়শিল্পী আব্দুন নূর সজল ও নুসরাত ফারিয়াকে। দুজনের পোশাকেও রঙের ছড়াছড়ি। দুজনের নাচও প্রাণবন্ত।

আরো পড়ুন:

মধুমিতার বিয়ে

তেতাল্লিশে থেমে গেল অভিনেত্রীর জীবন

সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া জানিয়েছে, কন্যা এমন একটি গান, যা বাঙালির যেকোনো উৎসবে (যেমন: ঈদ, ফাল্গুন, বৈশাখ, গায়েহলুদ, বিয়ে বা যেকোনো পারিবারিক বা পাবলিক অনুষ্ঠান) সবাই গাইতে পারবেন, নাচতে পারবেন, বাজাতে পারবেন। ফলে আমরা মনে করি, এই গানের মালিক বাংলা ভাষাভাষীর সব মানুষ। এই গান আপনার, আমার সবার। এ কারণে গানটি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে। চাইলেই যে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের অ্যাকাউন্টে শেয়ার করতে পারবেন।

‘জ্বীন’ সিরিজের প্রথম সিনেমা মুক্তি পায় ২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরে। নাদের চৌধুরী পরিচালিত সিনেমাটিতে পূজা চেরির বিপরীতে ছিলেন সজল। ‘জ্বীন টু’ সিনেমায় না থাকলেও সজল ফিরেছেন তৃতীয় কিস্তিতে। অন্যদিকে এবারই প্রথম ‘জ্বীন’ সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন নুসরাত ফারিয়া। এই সিনেমা দিয়ে সাত বছর পর জাজ মাল্টিমিডিয়ার ঘরে ফিরলেন তিনি।

হরর ঘরানার ‘জ্বীন থ্রি’ নির্মিত হয়েছে সত্য ঘটনার ছায়া অবলম্বনে। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কামরুজ্জামান রোমান। ‘জ্বীন টু’ সিনেমার পরিচালকও ছিলেন তিনি।

আশাবাদ ব্যক্ত করে পরিচালক কামরুজ্জামান রোমান বলেন, “দর্শক পর্দায় যে ধরনের হরর গল্প দেখতে চান, তেমন গল্প নিয়েই তৈরি হয়েছে ‘জ্বীন থ্রি’। সিনেমা হলে দর্শকের জন্য অনেক চমক অপেক্ষা করছে। আশা করি, তারা নিরাশ হবেন না।”

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র পর চ ল প রব ন

এছাড়াও পড়ুন:

সম্প্রীতির ইফতারে প্রাণোচ্ছল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

রমজান মাস জুড়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইফতারের আয়োজন থাকে চোখে পড়ার মতো। রমজানে একাডেমিক কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় প্রায় সব শিক্ষার্থীই ক্যাম্পাসে অবস্থান করছেন।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে আবাসিক হলগুলোর শিক্ষার্থীদের খাবারের আয়োজন করা হয়। তবে গত বছর ২৬ মার্চ রমজান মাসে হওয়ায় শিক্ষার্থীদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়, যা উৎসবের আমেজ তৈরি হয়। এবারো হলগুলোর পক্ষ থেকে এমন আয়োজন করবে বলে জানা গেছে।

পাশাপাশি রমজানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংবাদিক, সাংস্কৃতিক, স্বেচ্ছাসেবী, জেলা ও অঞ্চলভিত্তিক সংগঠন এবং বিভিন্ন বিভাগের পক্ষ থেকে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এভাবে রমজান জুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশে একের পর এক ইফতার উৎসব চলতে থাকে। 

আরো পড়ুন:

কুবিতে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তদন্তে শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি

কুবিতে আপত্তিকর অবস্থায় ৪ বহিরাগত আটক

সারাদিন ক্লাস-পরীক্ষা ও টিউশনির ব্যস্ততা শেষে শিক্ষার্থীরা দলে দলে ভাগ হয়ে জড়ো হতে থাকেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, শহীদ মিনার, মুক্তমঞ্চ, কাঁঠালতলা, ক্যাফেটেরিয়ার ছাদ, বিভিন্ন বিভাগের করিডোর ও অনুষদের হলরুম এবং ছাদের আঙিনায়। তখন এসব স্থানগুলোর পরিবেশ হয়ে উঠে প্রাণোচ্ছল। 

পশ্চিমাকাশে সূর্য হেলে যাওয়ার মুহূর্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোল চত্বর, কৃষ্ণচূড়া রোড শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে। সবুজ বিস্তৃত মাঠে ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে বন্ধুদের সঙ্গে কেউ ব্যস্ত গল্প-আড্ডায়। আবার কেউ ব্যস্ত ইফতার সাজাতে। তখন তাদের দেখলে মনে হবে সারাদিনের ক্লান্তি আর নেই। মসজিদে মোয়াজ্জিনের আজানের ধ্বনি শুনে খোলা আকাশের নিচে ইফতার করার ধুম পড়ে যায়। 

বন্ধুদের সঙ্গে ইফতারে অংশগ্রহণ করতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ১৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী মুনিরা আক্তার। তিনি বলেন, “ক্যাম্পাসে ইফতার মানেই বন্ধুদের সঙ্গে এক অন্যরকম আনন্দের মুহূর্ত। যেখানে রমজানের পবিত্রতা ও ইফতারের মাহাত্ম্য একসঙ্গে অনুভূত হয়। সারাদিনের সিয়াম সাধনার পর একসঙ্গে ইফতার করা শুধু আনন্দই নয়, বরং পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও আত্মিক প্রশান্তির উপলব্ধি এনে দেয়। এই মিলনমেলা রমজানের শিক্ষা- সংযম, সহমর্মিতা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও গভীর করে তোলে।”

বাংলা বিভাগের ১৪তম আবর্তনের শিক্ষার্থী রেদোয়ান আহমেদ বলেন, “সারাদিন ক্লাস করার পর যখন বন্ধুরা সবাই একসঙ্গে মিলে ইফতার করি, তখন নিজের মধ্যে একটা প্রশান্তি কাজ করে। পরিবার ছাড়া রমজানের সময়টুকু ভালোই যাচ্ছে। রুমে একা ইফতার করতে ভালো লাগে না। তাই বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিদিন ইফতার করি। ক্যাম্পাস থেকে চলে যাওয়ার পর এই সময়টুকু মিস করবো।”

ঢাকা/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদে মুনমুন মুখার্জীর কালেকশনে যা থাকছে
  • ভারতে হোলি উৎসবে মুসলিমদের নির্যাতনের ঘটনায় ইসলামী আন্দোলনের উদ্বেগ
  • ৪০ রেস্তোরাঁ ও খাবারের ব্র্যান্ড নিয়ে শুরু হচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’
  • রাতের শহরে স্বাদের উৎসব: শুরু হচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’
  • মঞ্চে উঠে আপ্লুত হামজা শুধু বললেন ‘বাংলাদেশ জিন্দাবাদ’
  • ‘জ্বীন ৩’ ছবির প্রথম গানে উৎসবের আমেজে নুসরাত-সজল
  • সম্প্রীতির ইফতারে প্রাণোচ্ছল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
  • তরুণ নির্মাতাদের লাখ টাকা জেতার সুযোগ
  • হবিগঞ্জে নিজ গ্রামে আজ আসছেন ফুটবলার হামজা, উৎসবের আমেজ