গোপালগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বর্তমান এবং সাবেক ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে সদর উপজেলার বোড়াশী ইউনিয়নের ভেন্নাবাড়ি গ্রামে ঘটনাটি ঘটে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান জানান, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বোড়াশী ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য মিটু মোল্লার সঙ্গে একই ইউনিয়নের সাবেক সদস্য আলিম মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এরই জেরে সোমবার রাতে দুই পক্ষের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে পাঁচজনকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। 

আরো পড়ুন:

ধূমকেতু-বাংলাবান্ধা ট্রেন সংঘর্ষের কারণ তদন্তে কমিটি

নড়াইলে দু’ গ্রুপে সংঘর্ষে যুবক নিহত 

ওসি আরো জানান, কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/বাদল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত গ প লগঞ জ স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

২ এপ্রিল থেকে ট্রাম্পের উচ্চ শুল্ক আরোপের হুমকির বিষয়ে পরিষ্কার নয় ভারত

ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পণ্যে আগামী ২ এপ্রিল থেকে উচ্চ শুল্ক আরোপ করবেন বলে হুমকি দিয়ে রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ধারণা, সেটা হলে কিছু ক্ষেত্রে ভারতের সুবিধা হবে। অর্থাৎ বিষয়টি কোনো কোনো ক্ষেত্রে ভারতের জন্য শাপেবর হতে পারে।

ভারতের কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মনে করছে, কিছু দেশের পণ্যে শুল্ক ভারতের জন্য রপ্তানির নতুন সুযোগ তৈরি করতে পারে। তাই ট্রাম্পের হুঁশিয়ারিতে চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সম্ভাবনাও দেখছে তারা। বাণিজ্যসচিব সুনীল বার্থওয়াল বলেন, ভারত সরকার ইতিবাচক ও নেতিবাচক—সব প্রভাবই খতিয়ে দেখছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

সম্প্রতি ট্রাম্প আবার বলেছেন, ২ এপ্রিল থেকে ভারতের মতো দেশে উচ্চ শুল্ক আরোপ করা হবে। এটা পাল্টা পদক্ষেপ, অর্থাৎ তারা মার্কিন পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করে বলে যুক্তরাষ্ট্রও পাল্টা তাদের পণ্যে শুল্ক আরোপ করবে।

কিন্তু ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের যুক্তি, আমেরিকা ঠিক কী নীতি গ্রহণ করছে, তা স্পষ্ট নয়। ভারত যদি যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়িতে চড়া শুল্ক বসিয়ে থাকে, তার পাল্টা জবাবে ট্রাম্প কি ভারতের সব পণ্যে পাল্টা শুল্ক বসাবেন, নাকি শুধু গাড়িতে আরোপ করবেন, নাকি শুধুই বৈদ্যুতিক গাড়িতে করবেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। তাতে আদৌ লোকসান হবে কি না, সেটাও প্রশ্ন। কারণ, ভারতের বাজারে যুক্তরাষ্ট্রের যে পণ্যে শুল্ক চড়া, তেমন অনেক পণ্য ভারত যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করে না।

দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের চড়া শুল্ক নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন যে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে, তার প্রতিবেদন ১ এপ্রিল প্রকাশিত হওয়ার কথা। ৩০ আগস্টের মধ্যে শিল্পকে মতামত দিতে হবে। ফলে ২ এপ্রিল থেকে কীভাবে শুল্ক আরোপ করা হবে, তা স্পষ্ট নয়।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আলোচনা শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছিল। বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়াল যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে দেনদরবারও করে এসেছেন। দুই দেশের বাণিজ্য ২০ হাজার কোটি ডলার থেকে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫০ হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য আছে।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের দাবি, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চ শুল্ক নিয়ে কথা না বলে বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে দর-কষাকষির মধ্যেই বিষয়টি রাখা হচ্ছে। আলোচনায় অগ্রগতিও হচ্ছে, বাকিটা যুক্তরাষ্ট্রের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়।

এদিকে ভারতের গবেষণাপ্রতিষ্ঠান এসবিআই রিসার্চের গবেষণায় দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ শুল্কের কারণে ভারতের রপ্তানি কমতে পারে ৩ থেকে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ। দেশটি যেভাবে রপ্তানির বহুমুখীকরণ করছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক শুল্কের প্রভাব তারা কাটিয়ে উঠতে পারবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ