Risingbd:
2025-04-17@16:01:52 GMT

‘ডাকাতি’ করতে এসে আটক ২

Published: 18th, March 2025 GMT

‘ডাকাতি’ করতে এসে আটক ২

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার নোয়াইল গ্রামে ডাকাতি করতে আসা দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন গ্রামবাসী।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাত দেড়টার দিকে তাদের আটক করা হয়। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে আটককৃতদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। সোনারগাঁ থানার ওসি এমএ বারী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, গত রবিবার মধ্যরাতে একই গ্রামের মামুনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেসময় ডাকাতরা ওই বাড়ি থেকে চার ভরি স্বর্ণ, পাঁচটি মোবাইল ও নগদ ২২ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। বাধা দিলে মামুনের স্ত্রী মনি আক্তারকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করে ডাকাতরা। 

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে দুই কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ

যশোরে গুলি ও ছুরিকাঘাতে যুবক নিহত

এলাকাবাসী জানান, সোমবার রাত দেড়টায় দিকে ডাকাত দল আবারো এলাকায় এসেছে এমন খবর পেয়ে মোবাইল ও অনলাইনে সবাইকে সতর্ক করা হয়। এলাকাবাসী পরে ডাকাত দলের দুই সদস্য জাহের আলী (৪৭) ও ইমন মিয়াকে (২৪) আটক করে। সম্পর্কে তারা চাচা-ভাতিজা। তারা সোনারগাঁ পৌরসভার রাইজদিয়া গ্রামের বাসিন্দা। জিজ্ঞেস করলে দুইজনই স্বীকার করেন, গত রবিবার রাতে মামুনের বাড়িতে তারাই ডাকাতির করেছিলেন। এলকাবাসী পরে তাদের সোনারগাঁ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। 

সোনারগাঁ থানার ওসি এমএ বারী বলেন, “ঘটনাস্থল থেকে দুই ডাকাতকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। পুলিশের একটি বিশেষ টিম ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করেছে। আইনানুগ কার্যক্রম শেষে আটককৃতদের আদালতে পাঠানো হবে।”

ঢাকা/অনিক/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আটক স ন রগ

এছাড়াও পড়ুন:

আদালতের ভেতরে পুলিশকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক

পাবনায় আদালতের ভেতরে শুনানি চলাকালে ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনী এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আওয়াল কবির (৩৮), হাবিবুর রহমানের ছেলে সরোয়ার জাহান শিশির (৩৩), দাশুড়িয়া গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ছেলে কালাম খান (৪০), এম এস কলোনী এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (৩৩), লোকোসেড গাউছিয়া মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সবুজ হোসেন (৩৫) এবং ভাঁড়ইমারী বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত আব্দুল গাফফার সরদারের জহুরুল ইসলাম (৩৫)।

তাদের মধ্যে আওয়াল কবির ঈশ্বরদী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সরোয়ার জাহান শিশির পৌর ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশী, কালাম খান দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রুবেল হোসেন পৌর ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এবং জহুরুল ইসলাম ডালিম সলিমপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময় নাশকতা একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় আটককৃতরা হাজিরা দিতে এসেছিলেন। হাজিরা চলা অবস্থায় তারা এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এসময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ‌ সদস্যকে মারধর করেন ওইসব নেতাকর্মীরা। 

এসময় আদালতের আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আদালতের শুনানি শেষে তাদের আটক করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিদর্শক ( কোর্ট ইন্সপেক্টর) রাশেদুল ইসলাম জানান, সঙ্গে সঙ্গে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। 

এ বিষয়ে পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, “আদালতের এসলাসে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়ার মত নয়। বিএনপির কেউ যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/শাহীন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মিশন কমপ্লিট’ লিখে ফেসবুকে মন্তব্য ছাত্রলীগ নেতার
  • আদালতে শুনানি চলাকালে ছবি তুলতে মানা করায় পুলিশকে মারধর, আটক ৬
  • আদালতের ভেতরে পুলিশকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক