মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর তাদেরই (রোহিঙ্গা) সম্প্রদায়ের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সদস্যরা হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও হুমকির ঘটনা ঘটিয়েছেন। রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

আজ মঙ্গলবার মানবাধিকার সংগঠন ফরটিফাই রাইটস প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনের শিরোনাম—‘যেকোনো মুহূর্তে আমি খুন হতে পারি: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে খুন, অপহরণ, নির্যাতন ও অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের শরণার্থীশিবিরে থাকা রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দ্বারা সংঘটিত কিছু কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ার যুক্তিসংগত ভিত্তি রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে একটা সুস্পষ্ট যোগসূত্র বিদ্যমান।

যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রোহিঙ্গা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে আহ্বান জানিয়েছে ফরটিফাই রাইটস। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাতিসংঘের ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার (আইআইএমএম) ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) মতো আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ফরটিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি, বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নাভিন মুরশিদ প্রমুখ।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১১৬ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ৭৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারদাতাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী, রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক রোহিঙ্গা, রোহিঙ্গা বিদ্রোহী, জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও মানবিক সহায়তায় যুক্ত কর্মীরা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সশস ত র গ ষ ঠ গ ল য দ ধ পর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় দিনমজুর অপহৃত

কক্সবাজারের টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় লাকড়ি সংগ্রহ করতে গিয়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন এক দিনমজুর। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৮টার দিকে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবনিয়া এলাকায় তাকে অপহরণ করা হয়। এ সময় দুজন দিনমজুর অপহরণকারীদের ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন। অপহৃত দেলোয়ার হোসেন (২৫) মারিশবনিয়া মৃত আব্দুল মালেক মিস্ত্রির ছেলে।

বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানিয়েছেন, সকালে তিন জন দিনমজুর লাকড়ি আনতে পাহাড়ে গেলে একদল অপহরণকারী তাদের ধাওয়া দেয়। এ সময় এক জনকে অপহরণ করা হয় এবং বাকি দুই জন দৌড়ে পালিয়ে আসে।

তিনি বলেন, “এ ঘটনা এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। ভুক্তভোগীর পরিবার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। আমরা বিষয়টি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবগত করেছি।”

মোহাম্মদ ফরিদ উল্লাহ জানান, মারিশবনিয়া পাহাড়-সংলগ্ন এলাকা হওয়ায় এখানে প্রায়ই অপহরণ হয়। তাই, পাহাড়ি এলাকাগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সার্বক্ষণিক টহল নিশ্চিত করা জরুরি।

ঢাকা/তারেকুর/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গাইবান্ধায় অপহরণের চার দিন পর স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধার
  • অপহরণের ৩ দিন পর স্কুলছাত্রের মরদেহ উদ্ধার  
  • পাঁচ মাসে দেড় শ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে আরাকান আর্মি
  • পাহাড়ে শণ কাটতে গিয়েছিলেন যুবক, অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
  • মেয়েলি কণ্ঠে সম্পর্ক করে অপহরণ, যুবক গ্রেপ্তার
  • যশোর থেকে অপহৃত যুবক গোপালগঞ্জে উদ্ধার, অপহরণকারী আটক
  • টেকনাফে যুবক অপহরণ, দশ লাখ মুক্তিপণ দাবি  
  • টেকনাফে পাহাড়ি এলাকায় দিনমজুর অপহৃত
  • স্কুলছাত্রী অপহরণের মামলা করায় পরিবারকে হুমকি