যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের জবাবদিহির আওতায় আনুন: ফরটিফাই রাইটস
Published: 18th, March 2025 GMT
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ওপর তাদেরই (রোহিঙ্গা) সম্প্রদায়ের বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সদস্যরা হত্যা, অপহরণ, নির্যাতন ও হুমকির ঘটনা ঘটিয়েছেন। রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর এসব কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
আজ মঙ্গলবার মানবাধিকার সংগঠন ফরটিফাই রাইটস প্রকাশিত এক নতুন প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। সকালে রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনের শিরোনাম—‘যেকোনো মুহূর্তে আমি খুন হতে পারি: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হাতে খুন, অপহরণ, নির্যাতন ও অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন’।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের শরণার্থীশিবিরে থাকা রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো দ্বারা সংঘটিত কিছু কর্মকাণ্ড যুদ্ধাপরাধের আওতায় পড়ার যুক্তিসংগত ভিত্তি রয়েছে। কারণ, বাংলাদেশে সংঘটিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও মিয়ানমারে চলমান সশস্ত্র সংঘাতের মধ্যে একটা সুস্পষ্ট যোগসূত্র বিদ্যমান।
যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে রোহিঙ্গা সশস্ত্র বিদ্রোহীদের জবাবদিহির আওতায় আনতে আহ্বান জানিয়েছে ফরটিফাই রাইটস। বাংলাদেশ সরকারের পাশাপাশি জাতিসংঘের ইনডিপেনডেন্ট ইনভেস্টিগেটিভ মেকানিজম ফর মিয়ানমার (আইআইএমএম) ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) মতো আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়ার প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন ফরটিফাই রাইটসের পরিচালক জন কুইনলি, বেসরকারি নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক নাভিন মুরশিদ প্রমুখ।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১১৬ জনের সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে ৭৮ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। সাক্ষাৎকারদাতাদের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থী, রাখাইন রাজ্যের বেসামরিক রোহিঙ্গা, রোহিঙ্গা বিদ্রোহী, জাতিসংঘের কর্মকর্তা ও মানবিক সহায়তায় যুক্ত কর্মীরা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সশস ত র গ ষ ঠ গ ল য দ ধ পর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নয়ন চন্দ্র দাস (২৬) নামে এক নববিবাহিত যুবককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে এবং বিষয়টি পুলিশ বা অন্য কারও কাছে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে।
রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে বাজার থেকে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম সমকালকে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে নয়ন দাস নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পেয়েছেন তারা। কয়েকটি সূত্র ধরে অপহরণকারীদের খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে এটি অপহরণ নাকি অন্য কোনো ঘটনা, তা জানতে পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
অপহৃত যুবকের মা রত্না রানী দাস বলেন, আমার ছেলে মাত্র ১০ দিন আগে বিয়ে করেছে। তার একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান আছে। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে দোকানে যাওয়ার পরপরই কিছু অপরিচিত লোক মাইক্রোবাস নিয়ে সেখানে আসে। নয়নের নাম জানতে চেয়ে তারা দোকানের ঠিকানা নিশ্চিত করে। এরপর দোকানে গিয়ে নয়নকে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ।
নয়নের বাবা জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে অপহরণকারীরা ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা সোমবার সকালের মধ্যে দিতে হবে, নইলে নয়নকে আর ফিরিয়ে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়।
ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আলমগীর শাহ বলেন, প্রকাশ্যে বাজার থেকে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা দ্রুত নয়নকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।