রাজধানীর ডেমরায় মীরপাড়া সিএনজি পাম্পের সামনে বাসের ধাক্কায় মোহাম্মদ ওবায়দুর রহমান (২৭) নামে একজন মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে । পরে পথচারীরা আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতকে (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা পথচারী জীবন মিয়া জানান, ডেমরা মীরপাড়া সিএনজি পাম্প এলাকায় ওয়াসিম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস বাইককে পিছন থেকে ধাক্কা দেয় এতে রাস্তার পাশে পড়েগিয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত জানান।

নিহতের ভাই মোহাম্মদ কেফায়েতুল্লাহ আজ সকাল সোয়া ১০ টার দিকে ( মেক) হাসপাতা লের  জরুরি বিভাগে এসে বর ভায়ের লাশ সনাক্ত করেন। তিনি বলেন, “আজ সকালে যাত্রাবাড়ী বাসা থেকে বের হয়ে ব্যক্তিগত কাজে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। পরে আমরা ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্টের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসে ভাই এরা লাশ শনাক্ত করি। আমাদের বাসা যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল দক্ষিণপাড়া মুন্সিবাড়ি এলাকায়। আমাদের বাবা মুন্সী আব্দুর রউফ।”

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মোহাম্মদ ফারুক বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবগত করা হয়েছে।”

ঢাকা/বুলবুল/টিপু 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সংঘর্ষে উড়ে গেছে বাসের ছাদ, তবু ১০ কিলোমিটার চালিয়ে গেলেন চালক

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগার পর কাভার্ডভ্যান ও একটি কন্টেইনারের সঙ্গে সংঘর্ষে উড়ে গেছে বরিশাল এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী একটি বাসের ছাদ। পরপর তিন দফা দুর্ঘটনায় পড়ে আহত হন বাসের অন্তত ২০ যাত্রী। তবু বাস না থামিয়ে ছাদবিহীন গাড়িটি ১০ কিলোমিটার পথ চালিয়ে নিয়ে যান চালক। পরে জনরোষে গাড়ি থামাতে বাধ্য হন। 

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের সমষপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিতে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। 

বাসের যাত্রীরা জানান, ঢাকা থেকে বরিশাল এক্সপ্রেস লিমিটেডের বাসটি দ্রুতগতিতে চালাচ্ছিলেন চালক। রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের কামারখোলা এলাকায় পৌছলে একটি কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে বাসটির। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এ সময় চালক বাসটি না থামিয়ে আরও বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকে। সমষপুর এলাকায় পৌছে অপর একটি প্রাইভেটকারকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে বাসটির ছাদ বডি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। যাত্রীরা চালককে থামাতে অনুরোধ করলেও সে তা উপেক্ষা করে।

যাত্রীরা বলেন, চালক দুর্ঘটনাস্থলের অদূরে হাইওয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখে ছাদবিহীন চলন্ত বাস চালিয়ে ১০ কিলোমিটার দূরের পদ্মা সেতু উত্তর থানার লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকায় নিয়ে আসে। এ সময় আহত যাত্রীদের ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকার শুনে বাসটি আটক করে জনতা। 

পদ্মা সেতু উত্তর থানার ওসি মো জাকির হোসেন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় থানা, হাইওয়ে পুলিশ ও শ্রীনগর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আহত যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে গুরুতর আহত শাহিন নামের এক যাত্রীকে শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

চালক ও হেলপার বাস রেখে পালিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ