নরসিংদীতে তিন সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার
Published: 18th, March 2025 GMT
নরসিংদীর রায়পুরায় তিন সন্তানের জননী ৪০ বছর বয়সী এক গৃহবধূ নিজ ঘরে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ওই দৃশ্য মোবাইলে ধারণ এবং ভুক্তভোগীকে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার পর সোমবার বিকেলে ভুক্তভোগী ওই নারী নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো: কলিমুল্লাহর কাছে অভিযোগ ও ঘটনার বর্ণনা দেন।
রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে রোববার (১৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে উপজেলার রহিমাবাদ এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষণের সময় ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করে ধর্ষণে সহযোগীতাকারীরা। ঘটনাটি কাউকে জানালে স্বামী-স্ত্রীকে এক সঙ্গে গলা কেটে করে হত্যা করার হুমকি দেয় তারা।
ঘটনার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, তারাবি নামাজ চলাকালে বৃষ্টির সময় একই এলাকার রতন মিয়ার ছেলে রাকিব মিয়া (৩২) ভুক্তভোগীর বাড়িতে ঢুকে তার স্ত্রীকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় উপস্থিত রাকিবের দুই সহযোগী ধর্ষণের ভিডিও চিত্র মোবাইলে ধারণ করেন।
রাকিব ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগী নারীর কান ও গলায় থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেন। সেইসঙ্গে চলে যাওয়ার সময় ঘটনাটি কাউকে জানালে স্বামী-স্ত্রীকে এক সঙ্গে গলা কেটে হত্যার হুমকি দেন।
জানা গেছে, ধর্ষণে অভিযুক্ত রাকিব মাদক মামলার আসামি, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এ বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করতে ভুক্তভোগী ওই নারী সোমবার বিকেলে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো.
এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আদিল মাহমুদ বলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি ইন্সপেক্টর (তদন্ত)-কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছি। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তারা গ্রেপ্তার হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঘটন র ব
এছাড়াও পড়ুন:
আদালতের ভেতরে পুলিশকে মারধর, বিএনপির ৬ নেতাকর্মী আটক
পাবনায় আদালতের ভেতরে শুনানি চলাকালে ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেওয়ায় দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বিএনপির ৬ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) দুপুরে পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আটককৃতরা হলেন- ঈশ্বরদী উপজেলা সদরের ফতে মোহাম্মদপুর নিউ কলোনী এলাকার মৃত আব্দুল ওহাবের ছেলে আওয়াল কবির (৩৮), হাবিবুর রহমানের ছেলে সরোয়ার জাহান শিশির (৩৩), দাশুড়িয়া গ্রামের মৃত আমজাদ খানের ছেলে কালাম খান (৪০), এম এস কলোনী এলাকার ইউসুফ আলীর ছেলে রুবেল হোসেন (৩৩), লোকোসেড গাউছিয়া মসজিদ এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে সবুজ হোসেন (৩৫) এবং ভাঁড়ইমারী বাঁশেরবাদা গ্রামের মৃত আব্দুল গাফফার সরদারের জহুরুল ইসলাম (৩৫)।
তাদের মধ্যে আওয়াল কবির ঈশ্বরদী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক, সরোয়ার জাহান শিশির পৌর ছাত্রদলের সভাপতি পদ প্রত্যাশী, কালাম খান দাশুড়িয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, রুবেল হোসেন পৌর ৪নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এবং জহুরুল ইসলাম ডালিম সলিমপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের সদস্য।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ২০২৩ সালের ১৫ নভেম্বর ঈশ্বরদীতে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সময় নাশকতা একটি মামলার শুনানি ছিল। সেই মামলায় আটককৃতরা হাজিরা দিতে এসেছিলেন। হাজিরা চলা অবস্থায় তারা এজলাসে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে থাকেন। এসময় সেখানে থাকা পুলিশ সদস্য শাহ আলম তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পুলিশ সদস্যকে মারধর করেন ওইসব নেতাকর্মীরা।
এসময় আদালতের আইনজীবী ও উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে আদালতের শুনানি শেষে তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পরিদর্শক ( কোর্ট ইন্সপেক্টর) রাশেদুল ইসলাম জানান, সঙ্গে সঙ্গে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাবনা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আইনজীবী মাসুদ খন্দকার বলেন, “আদালতের এসলাসে এ ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়ার মত নয়। বিএনপির কেউ যদি সত্যিই এমন ঘটনা ঘটিয়ে থাকে তবে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/শাহীন/এস