সময়টা একদমই ভালো যাচ্ছে না পাকিস্তানের। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ব্যর্থতার পর নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় ছিল তারা। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অসহায় আত্মসমর্পণের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও একই ফল সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের।

এবার ৫ উইকেটের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরেছে পাকিস্তান। দারুণ জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নিউ জিল্যান্ড। ডানেডিনে স্বাগতিকদের আমন্ত্রণে আগে ব্যাটিং করতে নেমে পাকিস্তান নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৫ রান করে। জবাবে নিউ জিল্যান্ড ১৩.

১ ওভারে লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ৫ উইকেট হাতে রেখে। 

বৃষ্টির কারণে ম্যাচ নির্ধারিত সময়ে শুরু হতে পারেনি। ১ ঘণ্টা ২৫ মিনিট বিলম্বের পর বল মাঠে গড়ায়। আম্পায়াররা ম্যাচ কমিয়ে আনেন ৫ ওভার। 

১৫ ওভারের খেলায় পাকিস্তানের ব্যাটিং খারাপ ছিল না। শুরুর ৫ ওভারে পাওয়ার প্লে’তে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৬ রান তুলে নেয়। পরের ১০ ওভারে জমা করে ৯৯ রান। তাতে লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল অতিথিরা। 

অধিনায়ক সালমান আগা দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৮ বলে ৪৬ রান করেন। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান তার ইনিংস। এছাড়া শাদাব খান ১৪ বলে ২৬ রান করেন ২টি করে চার ও ছক্কায়। শেষ দিকে শাহীন শাহ আফ্রিদির ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৪ বলে সাজানো ২২ রানের ইনিংসে পাকিস্তান লড়াকু পুঁজি পায়। 

নিউ জিল্যান্ডের হয়ে বল হাতে ২টি করে উইকেট নেন ডাফি, বেন সিয়ার্স, জিমি নিশাম ও ইশ শোধী। 

জবাব দিতে নেমে টিম সেইফার্ট ঝড়ে পাকিস্তানের বোলিং এলোমেলো হয়ে যায়। মাত্র ২২ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৪৫ রান করেন তিনি। এছাড়া আরেক ওপেনার ফিন অ্যালেন ১৬ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৩৮ রান করেন। তাতে জয়ের কাজটা সহজ হয়ে যায় নিউ জিল্যান্ডের জন্য। 

দুজনের কেউই অবশ্য জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেননি। ইনিংসের মধ্যভাগে মার্ক চ্যাম্পমান (১), ড্যারেল মিচেল (১৪) ও জিমি নিশাম (৫) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। দ্রুত ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তান ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিলেও মিচেল হে-র ১৬ বলে ২১ রানের ইনিংস সহজেই নিউ জিল্যান্ড জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।

পাকিস্তানের হয়ে বল হাতে ২০ রানে ২ উইকেট নেন হারিস রউফ। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ আলী, খুশলিদ শাহ ও জাহানদাদ খান। 

ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন টিম সেইফার্ট। 

সিরিজের পরবর্তী ম্যাচ অকল্যান্ডে ২১ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/ইয়াসিন

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র ন কর ন উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

হেমা মালিনীর বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ গড়াল থানা পর্যন্ত

পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে পূজা দিতে গিয়ে বিপাকে অভিনেত্রী এবং বিজেপি সাংসদ হেমা মালিনী। গত সপ্তাহে দোলের সময় পুরীর মন্দিরে যান তিনি। ‘ড্রিম গার্ল’-এর সঙ্গে ছিলেন পুরীর বিজেপি সাংসদ এবং জাতীয় মুখপাত্র সম্বিত বেরা। কিন্তু ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে হেমা মালিনীর নামে পুরীর সিংহদ্বার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে জগন্নাথ সেনা দল।

এই ধর্মীয় সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হেমা মালিনীর পুরীর মন্দিরে পূজা দেওয়া একেবারেই নিয়ম বহির্ভূত। অভিনেত্রী মুসলিম অভিনেতাকে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত হয়েছেন। হেমা মালিনী পুরীর মন্দিরে আসায় সনাতন সম্প্রদায়ের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে।

সংগঠনের পক্ষ থেকে হেমা মালিনীর বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগে বলা আছে, ১৯৭৯ সালের ২১ আগস্ট মুম্বাইয়ের ফয়জাবাদের এক মসজিদে গিয়ে ধর্মান্তরিত হয়েছেন হেমা মালিনী। ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। তখন ধর্মেন্দ্র বিবাহিত ছিলেন। প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কউরের সঙ্গে তখনও বিবাহবিচ্ছেদ হয়নি ধর্মেন্দ্রের। বিবাহ বিচ্ছেদের আগেই হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন তিনি।

হিন্দু বিবাহ আইন অনুযায়ী স্ত্রী থাকাকালীন দ্বিতীয় বিবাহ করা যায় না। সেই কারণে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন ধর্মেন্দ্র। তখন হেমামালিনীকেও ধর্মান্তরিত হতে হয়। জগন্নাথ সেনা দলের হেমা মালিনীকে জগন্নাথ মন্দিরে পূজা দেওয়ায় আপত্তি জানানোর কারণ এটাই। যদিও এই বিষয়ে হেমামালিনী কোনও মন্তব্য করেননি। সূত্র: এই সময় ও আনন্দবাজার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ