গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় খাদ্য উৎপাদন কারখানার শ্রমিকরা ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।

এদিকে, বানিয়ারচালা এলাকার একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা ছুটি বৃদ্ধি এবং কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ওমর ফারুকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় এ প্রতিবেদন খেলা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল সেখানে।

শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানান, গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় ফু-ওয়াং ফুড লিমিটেড কারখানায় ৬৫০ জন শ্রমিক কাজ করেন। চলতি মাসের ১৭ দিন হয়ে গেলেও তাদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়নি। শ্রমিকরা বারবার বেতনের দাবি জানিয়ে আসলেও কর্তৃপক্ষ বেতন দেই, দিচ্ছি বলে কালক্ষেপণ করছেন।

আরো পড়ুন:

দেড় ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু  

ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ 

এ কারণে ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের দাবিতে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে ফ্যাক্টরির নিচে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে কারখানার সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। 

অপরদিকে, সদর উপজেলার বানিয়ারচালা এলাকার জায়ান্ট টেক্সটাইল লিমিটেড নামের একটি পোশাক তৈরি কারখানার শ্রমিকরা সকাল সাড়ে ৭টা থেকে কাজ বন্ধ করে কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ শুরু করে।

শ্রমিকদের দাবি, কারখানার মহা-ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) ওমর ফারুকের পদত্যাগ ও ঈদুল ফিতরের ছুটি ১১ দিন করার।  শ্রমিকরা কারখানার এসেম্বলি পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করছিলেন বলে জানা গেছে।

জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম বলেন, “বেতনের দাবিতে শ্রমিকরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল শুরু হয়। অবরোধের কারণে মহাসড়কটিতে কিছু সময় যান চলাচল বন্ধ থাকে। জায়ান্ট টেক্সটাইল লিমিটেডের শ্রমিকরা কারখানার ভেতরে বিক্ষোভ করছেন।”

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অবর ধ ব ক ষ ভ করছ ব ক ষ ভ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভেঙে ফেলা হচ্ছে ময়মনসিংহের ‘পূরবী’, রইল শুধু ‘ছায়াবাণী’

বন্ধের তালিকায় এবার যুক্ত হচ্ছে দেশের আরেকটি সিনেমা হল। ভেঙে ফেলা হচ্ছে ময়মনসিংহের পূরবী সিনেমা হল। হলটি ভাঙার কাজ শুরু হয়ে গেছে। হলের জায়গায় মার্কেট বানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অজন্তা, ছায়াবাণী, অলকা, পূরবী ও সেনা অডিটরিয়াম—ময়মনসিংহ শহরে একসময় ছিল পাঁচ সিনেমা হল। গত কয়েক বছরে তা কমে সর্বশেষ টিকে ছিল ছায়াবাণী ও পূরবী। এবার শুধু টিকে রইল ছায়াবাণী!
স্বাধীনতার পরপর পূরবী হলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রথমে এর মালিকানা ছিল জমির উদ্দিনের। কিন্তু ২০০২ সালে হলটিতে বোমা হামলার পর হলটি কিনে নেন আব্বাস উদ্দিন। তিনিই এত দিন চালিয়ে আসছিলেন।

পূরবী ভাঙার বিষয়ে হলটির ব্যবস্থাপক কাজী দেলোয়ার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত মাস থেকে আমরা হলটি ভাঙছি। এখানে মার্কেট হবে। মার্কেটের নিচতলায় সিনেপ্লেক্সের পরিকল্পনা আছে। তবে তা হতে হতেও চার–পাঁচ বছর।’
বাংলা সিনেমা এখন ঈদকেন্দ্রিক। কদিন পরই ঈদুল ফিতর। এই ঈদে মুক্তি পাবে বেশ কয়েকটি বড় সিনেমা। কিন্তু ঠিক এই সময়ে কেন হলটি ভাঙা হচ্ছে?

পূরবী সিনেমা হল

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বকেয়ার বেতন ও ঈদের ছুটি বাড়ানোর দাবিতে গাজীপুরে দুটি কারখানার শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  • গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী শ্রমিক নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত ১০
  • মাইক্রোবাস চাপায় নারী শ্রমিকের মৃত্যু, প্রতিবাদে দফায় দফায় সংঘর্ষে আহত ২০ 
  • গাজীপুরে ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন দাবিতে শ্রমিকদের ৮৩ বার মহাসড়ক অবরোধ
  • দেড় ঘন্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল শুরু  
  • গাজীপুরে বেতনের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ, যান চলাচল বন্ধ 
  • ঈদযাত্রা: ২৬ মার্চের ট্রেনের টিকিট মিলছে আজ
  • ভেঙে ফেলা হচ্ছে ময়মনসিংহের ‘পূরবী’, রইল শুধু ‘ছায়াবাণী’