ফরিদপুরের সালথায় চাঁদা না দেওয়ায় মো. গোলাম মোস্তফা (৬০) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের সোনাতন্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে সালথা থানায় একটি মামলা করেছেন আহত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মোসা. মঞ্জু বেগম।

মামলার বাদী গোলাম মোস্তফার স্ত্রী মঞ্জু বেগম বলেন, হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য গোলাম মোস্তফার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা করেন প্রতিপক্ষের রহমান মিয়া ও হুমায়ন মিয়াসহ তাদের সহযোগিরা। ওই টাকা না দেওয়ায় গত রোববার সকালে বাড়ি পাশে ফসলি জমিতে কাজ করার সময় গোলাম মোস্তফার উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায় রহমান মিয়া ও হুমায়ন মিয়াসহ ৫-৬ জন। হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় মোস্তফাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

হামলার বিষয় বক্তব্য নেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.

আতাউর রহমান বলেন, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যর ওপর হামলার ঘটনায় সোমবার একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক প য় জখম প ল শ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা নিতে এসে সাবেক আনসার সদস্য গ্রেপ্তার

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা নিতে এসে হানিফ খান ওরফে সোহেল রানা (৪৫) নামে অবসরপ্রাপ্ত এক আনসার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে উপজেলার তরফপুর ইউনিয়নের চকবাজার এলাকায় থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। হানিফ বাসাইল উপজেলার হাবলা উত্তরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, হানিফ মির্জাপুরের তরফপুর চকবাজার এলাকায় একটি গুম ও হত্যা মামলার তদন্তের নাম করে রোববার সেখানে যান। একপর্যায়ে তিনি কৌশলে আসামির কাছে চাঁদা দাবি করেন। তিনি ২ লাখ টাকায় মামলা নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি দেন। তার কথাবার্তা এবং আচরণে সন্দেহ হলে স্থানীয় লোকজন পরিচয় জানতে চান। 

প্রথমে হানিফ নিজেকে টাঙ্গাইল র‌্যাব-১৪ এর সদস্য বলে জানালেও পরে অবসরপ্রাপ্ত আনসার সদস্য বলে স্বীকার করেন। তাঁর সঙ্গে থাকা পরিচয়পত্র দেখে তাঁর পরিচয় নিশ্চিত হয়ে স্থানীয় জনতা তাঁকে আটকে রাখেন। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মানুষের ভিড় জমে যায়। এক এক করে তাঁর অপকর্ম প্রকাশ হতে থাকে।

হানিফ আগেও এলাকায় নিজেকে র‌্যাব, পিবিআই ও সেনা সদস্য পরিচয় দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। পুলিশের চাকরি দেওয়া, পাওনা টাকা তুলে দেওয়াসহ বিভিন্ন কাজের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে জানান ভুক্তভোগীরা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

তরফপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সাঈদ আনোয়ার বলেন, কয়েকদিন আগে অবসরপ্রাপ্ত এ আনসার সদস্য র‌্যাব পরিচয় দিয়ে মোবাইল ফোনে স্থানীয় কয়েকজনের কাছে টাকা দাবি করেন। রোববার টাকা দেওয়ার কথা বলে কৌশলে তাঁকে এলাকায় আনা হয়। তাঁকে আটকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় হানিফ খানসহ দুজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় দুই-তিন জনকে আসামি করে মির্জাপুর থানায় মামলা করেছেন টাকিয়া কদমা গ্রামের ভুক্তভোগী আমিনুর সিকদার। 

মির্জাপুর থানার ওসি মো. মোশারফ হোসেন বলেন, জনতার হাতে আটক র‌্যাব সদস্য পরিচয় দেওয়া হানিফের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদা নিতে এসে সাবেক আনসার সদস্য গ্রেপ্তার
  • আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পরিবহন চাঁদাবাজরা বেপরোয়া