গাইবান্ধায় ১০ বছরের শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত বিষা শেখ নামে পঁচাত্তর বছরের বৃদ্ধকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের হরিচন্ডিপুর গ্রাম থেকে বিষা শেখকে গ্রেফতার করা হয়।

অভিযুক্ত বিষা শেখ হরিচন্ডিপুর গ্রামের মৃত হোসেন মুন্সি ওরফে খছর মিয়ার ছেলে। 

এর আগে, সোমবার দুপুর ২টার দিকে হরিচন্ডিপুর গ্রামে নিজের জমিতে ওই শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বিষা শেখ। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘শিশুটির বয়স ১০ বছর। স্থানীয় মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। দুপুরে শিশুটিকে কৌশলে ডেকে নেয় বিষা শেখ। পরে তিনি শিশুটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি শিশুর পরিবার ও স্থানীয়রা জানতে পেরে আমাদের খবর দেন। আমরা অভিযান চালিয়ে বিষা শেখকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসেছি।’’

‘‘জিজ্ঞাসাবাদে বিষা শেখ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। শিশুটি বর্তমানে মা ও বাবাসহ থানায় পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।’’ বলেন হাফিজুর রহমান। 

আজ মঙ্গলবার সকালে শিশুটির ডাক্তারী পরীক্ষার হবে বলেও জানান তিনি।  

এ দিকে, ঘটনার পর থেকেই এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। তারা বলছেন, একজন বৃদ্ধ ব্যক্তির দ্বারা শিশু ধর্ষণের ঘটনা কোনভাবে মেনে নেওয়া যায় না। এ ধরনের  অপরাধের যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেজন্য অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তারা। 

মাসুম//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

নাগরদোলায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, অভিযুক্ত স্বামী আ

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় লাকী বেগম (২০) নামে একজন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নাগরদোলায় উঠিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে।  
 
সোমবার (১৪ এপ্রিল) রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের হাফেজ মহিউদ্দিনের ওরসের মেলায় এ ঘটনা ঘটে।  

নিহত লাকী বেগম একই উপজেলার কালাপোল এলাকার বেদে পল্লীর মনসুর আলীর মেয়ে।  আটক স্বামী মো. সাকিব সদর উপজেলার মান্নান নগর বেদে পল্লী পাড়ার মো. মঙ্গলের ছেলে।    

নিহত লাকীর মা শেফালী বেগম জানান, এক বছর আগে পারিবারিকভাবে জেলার সদর উপজেলার মান্নান নগরের বেদে পাড়ার মঙ্গলের ছেলে সাকিবের সাথে লাকীর বিয়ে হয়। লাকী বর্তমানে পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত পনের দিন আগে সে শ্বশুর বাড়ি থেকে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে আসে। রবিবার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সাকিব তার স্ত্রীকে মারধর করে জামা কাপড় ছিঁড়ে ফেলে। পরে নিজের ব্যবহৃত একটি মুঠোফোন ভেঙে ফেলে এবং নিজের মাথা নিজেই ফাঁটিয়ে ফেলে। 

সোমবার সন্ধ্যার পরে লাকীর স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা একলাশপুর ইউনিয়নের মহিউদ্দিন হাফেজের ওরসের মেলায় ঘুরতে যায়। সেখানে স্বামী-স্ত্রী এক সাথে নাগরদোলায় উঠে।  

শেফালী বেগমের অভিযোগ, নাগরদোলায় চড়াকালীন সাকিব তার মেয়ে লাকীকে গলায় ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় লাকীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  

লাকীর বাবা মনসুর আলী বলেন, “সাকিব মাদকাসক্ত ছিলো। কথায় কথায় লাকীকে নির্যাতন করতো। আমাদের ঘরে এসেও মেরেছে। সে আমার মেয়েকে হত্যা করেছে। আমরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লিটন দেওয়ান বলেন, “অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করা হয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

ঢাকা/সুজন/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ