গত বছরের শেষের দিকে নতুন প্রেমের খবর জানান ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মধুমিতা সরকার। তারপর থেকে রাখঢাকের তোয়াক্কা নেই। বরং প্রেমিক দেবমাল্য চক্রবর্তীর হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন পাহাড়-জঙ্গল। মধুমিতা জানালেন, এবার সাতপাকে বাঁধা পড়তে চান তারা।
কয়েক দিন আগে দোল উৎসব সিকিমের নিরিবিলি ইয়ামথাং ভ্যালিতে কাটিয়েছেন মধুমিতা-দেবমাল্য। তুষার আবৃত রাস্তায় দাঁড়িয়ে তোলা ছবি এই অভিনেত্রী তার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। পাশাপাশি বিয়ের ঘোষণা দেন।
মধুমিতা সরকার বলেন, “এই বছরের ডিসেম্বর কিংবা আগামী বছরের গোড়ার দিকে বিয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ শীতকাল আমাদের দুজনেরই বেশ পছন্দ। বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত পাহাড়ে স্মৃতি তৈরি করে যাব।”
আরো পড়ুন:
‘রং খেলার নামে কেউ শরীর স্পর্শ করবে তা হতে পারে না’
গল্প ভালো হলে ভিলেনও সিনেমা দাঁড় করাতে পারে: জিৎ
দেবমাল্যর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর খবর জানানোর পর ভারতীয় গণমাধ্যমে কথা বলেন মধুমিতা। সেই সময়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “২০১৯ সালে আমাদের প্রথম দেখা। কিন্তু কোনোভাবে আমরা সংস্পর্শে ছিলাম না। তবে মাসখানেক আগে আবার আমাদের দেখা হয়। তারপর থেকেই ফের টেক্সট চালাচালি শুরু। বন্ধু হিসেবেই প্রথমে কথা বলা শুরু করেছিলাম। তারপর বাকিটা ইতিহাস।”
ভারতীয় টেলিভিশন স্টার জলসায় প্রচারিত ‘বোঝেনা সে বোঝেনা’ ধারাবাহিকে ‘পাখি’ চরিত্রে অভিনয় করে তুমুল দর্শকপ্রিয়তা লাভ করেন মধুমিতা সরকার। বাংলাদেশেও তার ভক্ত সংখ্যা কম নয়!
অষ্টাদশী হওয়ার পরই মধুমিতা ভালোবেসে ঘর বাঁধেন অভিনেতা সৌরভের সঙ্গে। কিন্তু এ সংসার বেশি দিন টিকেনি। ২০১৯ সালে সৌরভের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তার।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পাঁচ বছর পর খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন
ঘুড়ি উৎসব, লাঠিখেলা, সাপখেলা, নাগরদোলা, পুতুলনাচ—এমন নানা আয়োজনে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাজানো হচ্ছে চৈত্রসংক্রান্তি ও বাংলা বর্ষবরণ উৎসব। গ্রামীণ ঐহিত্য আর খুলনার আঞ্চলিক বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে আয়োজিত ওই উৎসব হচ্ছে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর পর। ২০১৯ সালে সর্বশেষ এমন পরিপূর্ণ আয়োজন করতে পেরেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে এবার নিরাপত্তার কারণে ক্যাম্পাসের বাইরে শোভাযাত্রা না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর ২০ বছরের বেশি সময় ধরে ভিন্নধর্মী বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুই দিনব্যাপী উৎসব উদ্যাপন করা হয়ে থাকে। ১৩ এপ্রিল (বাংলা ৩০ চৈত্র) উদ্যাপন করা হয় চৈত্রসংক্রান্তি আর পরের দিনে বাংলা বর্ষবরণ। রকমারি গ্রামীণ খেলাধুলা ও উৎসবের মধ্য দিয়ে দিন দুটি উদ্যাপন করা হয়। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে শুরু হওয়া কোভিড এবং পরে পয়লা বৈশাখের সময় রোজা, ছুটিসহ বিভিন্ন কারণে গত পাঁচ বছর বাংলা বর্ষবরণে বড় কোনো আয়োজন ছিল না। কোনো রকম একটা আয়োজনের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হতো। তবে এবার আয়োজনে পরিপূর্ণতা রয়েছে। প্রায় সব ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব শুরু হবে আজ রোববার বিকেল ৪টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে হবে বিভিন্ন গ্রামীণ খেলা, ঘুড়ি উৎসব ও আলপনা উৎসব। সন্ধা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত পুতুলনাচ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরদিন পয়লা বৈশাখে সকাল সোয়া ৭টায় বর্ষ আবাহন, সকাল ৯টায় খেলার মাঠে মেলার উদ্বোধন, ১০টায় আনন্দ শোভাযাত্রা ও বিকেল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এ ছাড়া দিনব্যাপী থাকবে লাঠিখেলা, জাদু প্রদর্শনী, নাগরদোলাসহ বিভিন্ন আয়োজন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌথভাবে দুই দিনব্যাপী ওই উৎসবের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীরা। আর্থিক সহায়তা করে বিশ্ববিদ্যালয়। শোভাযাত্রার আয়োজন করার দায়িত্ব থাকে চারুকলা স্কুলের (অনুষদ) ওপর। পবিত্র রোজা ও ঈদের ছুটি শেষে বিশ্ববিদ্যালয় খুলেছে ৬ এপ্রিল। ৭ এপ্রিল ইসরায়েলবিরোধী সমাবেশের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ ছিল। এরপর সিদ্ধান্ত নিয়ে উৎসব আয়োজনের কাজ শুরু করা হয়েছে।
গত শনিবার দুপুরের দিকে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, চারুকলা স্কুল (অনুষদ) চত্বরে হরিণ, মুখোশসহ বিভিন্ন কিছু বানানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন শিক্ষার্থীরা। শেষ মুহূর্তে হাতের ছোঁয়া বুলিয়ে আরও সুন্দর করার চেষ্টা চলছে সবকিছুতে।
সেখানে কাগজের মণ্ডের মুখোশ বানানোর কাজে ব্যস্ত ছিলেন ভাস্কয ডিসিপ্লিনের (বিভাগ) শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার হোসেন ও তৃতীয় বর্ষের সংগীত পাল। আবরার হোসেন বলেন, গত কয়েক বছর রোজা ও ঈদের ছুটির কারণে বড় কোনো অনুষ্ঠান করা যায়নি। ২০১৯ সালের পর এবারই বর্ষবরণের যে উৎসব, সেটি পরিপূর্ণভাবে উদ্যাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এবার অবশ্য ঢাকার সঙ্গে সংগতি রেখে ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার’ নাম পরিবর্তন করে ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ করা হয়েছে। কোনো কিছু পরিবর্তন করে যদি ভালোকিছু হয়, তাহলে সেটাই সবাই গ্রহণ করবে। নাম দিয়ে আসলে তেমন কিছু হয় না, উদ্যাপনে উৎসবটা থাকলেই হলো।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে তৈরি করা হচ্ছে শোভাযাত্রার মাসকট সুন্দরবনের ঐতিহ্য হরিণ