বিশ্বের ১২৪টি নগরীর মধ্যে আজ মঙ্গলবার সকালে বায়ুদূষণে দশম অবস্থানে আছে ঢাকা। আজ সকাল ১০টার দিকে আইকিউএয়ারের মানসূচকে ঢাকার গড় বায়ুমান ১৪৩। এ মানকে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচনা করা হয়।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস এলাকায় আজ দূষণ সবচেয়ে বেশি। আইকিউএয়ারের মানসূচকে সেখানকার গড় বায়ুমান ১৭৩। এরপরই রয়েছে মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং (১৫৬) এবং পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ি এলাকা (১৫৫)।

বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরেছে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। প্রতিষ্ঠানটি বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং সতর্ক করে।

আজ আইকিউএয়ারের দেওয়া সতর্কবার্তায় ঢাকাবাসীর উদ্দেশে পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।

আজ বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে মিসরের কায়রো। সেখানকার বায়ুর মান ১৮৬।
গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এক দিনও নির্মল বায়ু পায়নি রাজধানীবাসী। চলতি মাসেরও একই হাল।

রাজধানী ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উৎসগুলোর মধ্যে আছে কলকারখানা ও যানবাহনের দূষিত ধোঁয়া, ইটভাটা, বর্জ্য পোড়ানো। দূষণ রোধে হাঁকডাক এবং নানা ধরনের প্রকল্পও কম হয়নি সরকারি স্তরে, কিন্তু দূষণ কমছে না।

দূষণসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণাপ্রতিষ্ঠান ক্যাপসের এক জরিপে দেখা গেছে, ডিসেম্বরে যত বায়ুদূষণ ছিল, তা গত ৯ বছরে সর্বোচ্চ। আবার গত জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও দূষণের মান ছিল ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.

৫-এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ১১ গুণ বেশি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আইক উএয় র

এছাড়াও পড়ুন:

তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে না: অর্থ উপদেষ্

‘‘বাংলাদেশকে খাদের কিনারা থেকে তুলে আনা হয়েছে’’ মন্তব্য করে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘‘তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়বে না।’’

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বিগ্ন বলে জানিয়েছেন দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (ডিএনআই) প্রধান তুলসী গ্যাবার্ড। তার মন্তব্যের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে কিনা? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘তুলসী গ্যাবার্ডের মন্তব্যে আমাদের অর্থনীতিতে বহুপাক্ষিক বা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না।’’

এ সময় তিনি সাংবাদিদের এক প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রামে পণ্য খালাসের জট কমেছে বলেও জানান। 

‘সয়াবিন তেল ভাসছে?’ সাংবাদিকরা এমন পাল্টা প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘‘সয়াবিনটা ভাসছে, এটা আমাদের দৃষ্টিতে আসছে। ব্যবসায়ীরা অনেক সময় নানা রকম টালবাহনা করে। যাইহোক আমরা চেষ্টা করছি। যত বেশি চালাক হবে, আমাদের আরেকটু বেশি চালাক হয়ে কাজ করতে হবে।’’

‘গার্ডিয়ান’ পত্রিকার সাংবাদিক বাংলাদেশ সফর শেষে লিখেছেন- বাংলাদেশ খাদের কিনারায় আছে। তিনি কেন এটা বললেন বলে আপনাদের মনে হয়? জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘‘খাদের কিনারায় ছিল। এখন খাদের কিনারা থেকে আমরা রিটার্ন করে চলে আসছি।’’

এ সময় তিনি ‘‘অর্থনীতির বিষয় তো আমি জানি- ভিতরে কি হচ্ছে। এতো হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।’’ বলেও মন্তব্য করেন। 

এলডিসি গ্রাজুয়েশন নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘এলডিসি ২০২৬ সালে একটা স্মুথ ট্রানজিশন স্ট্রাটেজি নিয়েছি। স্মুথ মানে ধম করে নামে না, প্লেন যেমন আস্তে আস্তে নামে। আমরা এটা অলরেডি করছি।’’

তিনি বলেন, ‘‘আসলে বাংলাদেশের দিকে অন্যান্য দেশ তাকিয়ে আছে। আমরা জানি বাংলাদেশের পারফরমেন্স ওভার অল সন্তোষজনক। ভুলত্রুটি আছে তার মধ্যেও। ইভেন ... বলেছে তোমরা যদি করো অন্যান্য দেশ সাহস পাবে। আর আমাদের গৌরবটা একটু বাড়বে। হয়তো কিছু কিছু প্রিপারেশন লাগবে, আমরা প্রিপারেশনে যাচ্ছি।’’

ঢাকা/হাসনাত//

সম্পর্কিত নিবন্ধ