ঘরে বসেই ঈদে বাড়ি ফেরার টিকিট, যেভাবে অনলাইনে টিকিট কাটবেন
Published: 18th, March 2025 GMT
ঈদে বাড়ি ফেরার টিকিট যেন সোনার হরিণ হয়ে যায়। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে অনলাইনে বাস, লঞ্চ, বিমান ও ট্রেনের টিকিট পাবেন। ইতিমধ্যে অনলাইনে টিকিট বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় দেশের পরিবহনব্যবস্থায় বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই যুক্ত হয়েছে অনলাইন টিকিটিংয়ের ব্যবস্থা।
বাস ব্যবসায়ীরাও বলছেন, গত দু–তিন বছরে অনলাইনে বেড়েছে টিকিট বিক্রি। বেশির ভাগ পরিবহন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাদের মোট টিকিটের ৫০ শতাংশই পাওয়া যাচ্ছে অনলাইনে।
অনলাইন টিকিট বিক্রির অন্যতম মাধ্যম সহজ ডটকমের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর। সহজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবছর অনলাইনে এই প্রতিষ্ঠান ১০ লাখের বেশি টিকিট বিক্রি করে। সহজ অনলাইনে টিকিট বিক্রির মাধ্যমগুলোর প্রায় ৭০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করে। গত বছর ঈদে ১ লাখ ৮০ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রি হয়েছিল। তবে এ বছর অনলাইনে ২ লাখ ৫০ হাজারের বেশি টিকিট বিক্রির লক্ষ্য ঠিক করেছে প্রতিষ্ঠানটি। সহজ থেকে ঈদের সময় ৮০টি বাস অপারেটরের মতো টিকিট পাওয়া যায়। এবারের ঈদে এই সংখ্যা বেড়ে ১২০টি হয়েছে।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী অর্ণব গোলদার প্রতিবছর পরিবারের সঙ্গে বরিশালে ঈদ উদ্যাপন করতে যান। তিনি জানান, আগে লঞ্চের টিকিট কাটতে এক থেকে দুই দিন সময় লাগত। কিন্তু এখন অনলাইনে টিকিট কাটার সুবিধা থাকায় সহজেই টিকিট কাটা যায়। এবারও তিনি অনলাইনে লঞ্চে ঈদে বাড়ি ফেরার টিকিট কিনেছেন।
বেসরকারি চাকরিজীবী মো.
সোহাগ পরিবহনের টিকিট বিক্রি ভালো। মার্চ মাসের ২৬ থেকে ২৮ তারিখের আগাম টিকিটের ৪৫ শতাংশ টিকিট অনলাইনে বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। এই পরিবহন কর্তৃপক্ষের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকায় যানজটসহ নানা ধরনের ব্যস্ততার জন্য অনলাইনে টিকিট কিনতে বেশি আগ্রহী। এ জন্য অনলাইনে টিকিট বিক্রি বেড়েছে।
ভিন্ন কথা বলছেন গ্রিন লাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষ। রোজার মাঝামাঝি সময়ে আগে অনলাইনে অর্ধেক টিকিট বিক্রি হয়ে যেত। তবে এই বছর এমনটি হয়নি। এখন পর্যন্ত অনলাইনে টিকিট বিক্রি হয়েছে ৩০ শতাংশ। এ বিষয়ে গ্রিন লাইন পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক আবদুস সাত্তার জানান, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এ বছর বাসাবাড়ি খালি রেখে গ্রামের বাড়িতে যেতে অনেকে এখনো উৎসাহ পাচ্ছেন না। তবে শেষ সময় না এলে বলা যাচ্ছে না এবার কত মানুষ টিকিট কাটবেন।
পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যমতে, দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩১ শতাংশ। এমন প্রতিকূলতা সত্ত্বেও প্রতিবছর অনলাইনে টিকিট কাটার প্রবণতা বাড়ছে।
অনলাইনে যেভাবে টিকিট কাটবেনঅনলাইনে টিকিট কাটার জন্য দেশে রয়েছে অনেকগুলো মাধ্যম। তবে এর মধ্যে জনপ্রিয় মাধ্যমগুলো হলো সহজ ডটকম, বিডি টিকিটস, বাইটিকিটস ও পরিবহন ডটকম। তাদের ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অ্যান্ড্রয়েড ও আইফোন অ্যাপের মাধ্যমেও টিকিট কাটা যায়। এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে বাস, লঞ্চ, বিমানসহ সব ধরনের পরিবহনের টিকিট মিলবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে ইন্টিগ্রেটেড টিকেটিং সিস্টেমের (বিআরআইটিএসের) মাধ্যমেও পাওয়া যাবে ট্রেনের টিকিট। ওয়েবসাইট থেকে সর্বোচ্চ ১০ দিন আগে ট্রেনের আগাম টিকিট বুকিং দেওয়া যায়। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ওয়েবসাইটে গিয়ে ঘরে বসেই অনলাইনে বিমানের টিকিট কেনা যায়।
অনলাইন টিকিটের এই প্ল্যাটফর্মগুলোয় নাম–পরিচয়ের পাশাপাশি জাতীয় পরিচয়পত্র, মুঠোফোন নম্বর অথবা ই–মেইলের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এর জন্য অবশ্যই একটি সার্বক্ষণিক ব্যবহৃত ই–মেইল ঠিকানা ও মুঠোফোন নম্বর সরবরাহ করা জরুরি। তাদের ওয়েবসাইটে প্রতিটি পরিবহন মাধ্যমের জন্য আলাদাভাবে রওনা হওয়ার স্থান, গন্তব্য ও যাত্রার তারিখ দেওয়ার পদ্ধতি রয়েছে। এই তথ্য দেওয়ার পর প্রয়োজনীয় অর্থ প্রদানের মাধ্যমে সহজেই টিকিট কেটে নেওয়া যাবে।
মোবাইল ব্যাংকিং কিংবা ব্যাংকের ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রদানের পর টিকিটের কপির লিংক পাওয়া যাবে ই–মেইল বা মুঠোফোনে এসএমএসের মাধ্যমে। তারপর সেই টিকিট প্রিন্ট করলেই ব্যবহার করা যাবে টিকিট হিসেবে। বর্তমানে বেশির ভাগ পরিবহনগুলোর নিজস্ব টিকিট বিক্রির ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখান থেকেও সহজেই টিকিট কাটা সম্ভব।
এ ছাড়া শেয়ার ট্রিপ, গোযায়ান ও ফ্লাইট এক্সপার্ট নামের অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে অনলাইন টিকিটিংয়ের পাশাপাশি হোটেল, ট্যুর ও ভিসা–সংক্রান্ত সুবিধাও পাওয়া যায়।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ পর বহন র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
উচ্চশিক্ষা ও ক্যারিয়ার গঠনে সঠিক বিশ্ববিদ্যালয় ও বিষয় নির্বাচন জরুরি
উচ্চমাধ্যমিকের গণ্ডি পেরিয়েই শিক্ষার্থীরা যে দুটি বিষয় নিয়ে সবচেয়ে বেশি দ্বিধা-দ্বন্দ্বে ভোগেন, তা হলো কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন এবং কোন বিষয় নিয়ে পড়বেন।
এই সিদ্ধান্ত শুধু তাঁদের চার বছরের একাডেমিক জীবনই নয়, বরং ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার ও ব্যক্তিগত বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। তাই বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে শিক্ষার মান, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা ও বোঝা জরুরি। এসব বিষয় নিয়েই ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর উদ্যোগে এবং প্রথম আলো ডটকমের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ টক শো: কী পড়ব, কোথায় পড়ব। অনুষ্ঠানটি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি প্রচারিত হয় প্রথম আলো ডটকম এবং প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেলে।
ফেরদৌস বাপ্পীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. জুড উইলিয়াম হেনিলো, ইংলিশ অ্যান্ড হিউম্যানিটিজ বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক আরিফা গনি রহমান এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস বিভাগের শিক্ষার্থী রাইয়ান মোর্শেদ তালুকদার।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই অধ্যাপক ড. জুড উইলিয়াম হেনিলোর কাছে উপস্থাপক জানতে চান, ইউল্যাবের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই বলে থাকেন, এখানকার পরিবেশ অত্যন্ত স্বচ্ছ ও শিক্ষার্থীবান্ধব। এই পরিবেশ তৈরিতে আপনাদের কৌশল কী?
উত্তরে ড. জুড উইলিয়াম হেনিলো বলেন, ‘ইউল্যাব একটি উন্মুক্ত দ্বার নীতি অনুসরণ করে। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা সরাসরি ই-মেইলের মাধ্যমে শীর্ষ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আমাদের দরজা সব সময় তাঁদের জন্য খোলা। পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে তাঁরা আমাদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে পারে। তাঁদের প্রয়োজন ও সমস্যার কথা জানাতে পারে। এর মাধ্যমেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ভালো বোঝাপড়া তৈরি হয়।’
ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর উদ্যোগে এবং প্রথম আলো ডটকমের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ টক শো: কী পড়ব, কোথায় পড়ব।