চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ছুরিকাঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মোহাম্মদ মানিক (৩২)। তিনি উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ভিংরোল গ্রামের মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে। গতকাল সোমবার রাতে পরৈকোড়া ইউনিয়ন পূর্ব কৈন্যারা গ্রামের ভেন্ডারঘাটা এলাকায় এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।

নিহত যুবকের ভাই মোহাম্মদ বাবুল বলেন, তাঁর ভাই মানিক স্থানীয় মো.

রাসেল (৩০) নামের এক ব্যক্তির কাছে এক লাখ টাকা পাওনা রয়েছেন। পাওনা টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।

এর একপর্যায়ে মানিককে ছুরিকাঘাত করেন রাসেল। আহত অবস্থায় মানিককে প্রথমে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত দুইটার দিকে মানিকের মৃত্যু হয়েছে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মানিককে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে শুনেছি। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আক্তারুজ্জামান বাবুর সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ 

খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. আক্তারুজ্জামান বাবুর ঢাকার মোহাম্মদপুরের ২ একর জমি, খুলনার দুটি বাড়ি ও কেসিসি মার্কেটের ১৩০ বর্গফুটের তিনটি দোকানসহ মোট ১৩ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বাড়ি, দোকান ও জমির দাম ধরা হয়েছে ৭ কোটি ৩২ লাখ ৬ হাজার ৮৭০ টাকা। এছাড়া, ১৪টি ব্যাংক হিসাবের ৩১ লাখ ৮ হাজার ৮৭৩ টাকা অবরুদ্ধ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের পক্ষে উপ-পরিচালক জয়নাল আবেদীন এসব সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, আক্তারুজ্জামান বাবুর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। 

অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার মালিকানাধীন ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। তা করতে পারলে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতায় মামলা দায়ের, আদালতে চার্জশিট দাখিল, বিচার শেষে সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সব উদ্দেশ্য ব্যর্থ হবে। সুষ্ঠু অনুসন্ধান ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এসব স্থাবর সম্পত্তি ক্রোক (জব্দ) ও অস্থাবর সম্পত্তি ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করা প্রয়োজন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ