কক্সবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহবুবুর রহমানকে নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। মাহবুবুর রহমান কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

সূত্র জানায়, সাবেক পৌর মেয়র মাহবুবুরের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়টি অনুসন্ধান করতে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেনকে গত রোববার অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এর আগে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয় কক্সবাজার কার্যালয়ে। কমিশনের পক্ষে উপপরিচালক (অনুসন্ধান ও তদন্ত) ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত গত ১২ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারে পাঠানো চিঠিতে একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়ে মাহবুবুরের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী অনুসন্ধান শেষ করে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালে মাহবুবুর কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। এর পর পৌরসভায় নিজস্ব বলয় গড়ে তুলে লাখ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হন। ঘুষের বিনিময়ে পৌরসভায় কর্মচারী নিয়োগ, ডাম্পিং স্টেশনের জন্য জমি ক্রয়ের নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ, পৌর এলাকায় ড্রেন পরিষ্কারের নামে অর্থ আত্মসাৎ, নামে-বেনামে মিথ্যা কোটেশন দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ রয়েছে মাহবুবুরের বিরুদ্ধে।

এ ছাড়াও বড় বাজারে পৌরসভার পক্ষ থেকে ডেভেলপারের সঙ্গে চুক্তির ভিত্তিতে একটি আধুনিক মার্কেট নির্মাণধীন থাকা অবস্থায় দোকান দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। পাশাপাশি পৌরসভার সব উন্নয়ন প্রকল্পে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হলেও গোপনে এসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিজেই ঠিকাদারি কাজ করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন মাহবুবুর।

কক্সবাজার পৌরসভার একজন কাউন্সিলর নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দুদক নিরপেক্ষভাবে অনুসন্ধান করলে মাহবুবুরের দৃশ্যমান সম্পদের চেয়ে নামে-বেনামে অদৃশ্য অবৈধ সম্পদ বেশি পাওয়া যাবে।

মাহবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাখাওয়াত হোসেন বলেন, দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই কাজ শুরু করেছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম হব ব র র র প রসভ প রসভ র

এছাড়াও পড়ুন:

শেখ হাসিনার সন্ধান চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে ২৮ বস্তা টাকার পাশাপাশি প্রায় এক বস্তা চিঠি-চিরকুট পাওয়া গেছে। চিঠিতে কেউ প্রিয় মানুষের ভালোবাসা পেতে, কেউবা নিজের বিয়ের জন্য দোয়া চেয়েছেন। কেউ নিজের সন্তানের রোগমুক্তি কামনা করেছেন। কেউ আবার পছন্দের দল বা ব্যক্তিকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় দেখতে চেয়ে পাগলা বাবার কাছে চিঠি লিখেছেন।

৪ মাস ১২ দিন পর আজ পাগলা মসজিদের ১১টি সিন্দুক খোলা হয়। সিন্দুকে মোট ২৮ বস্তা টাকা, এক বস্তা চিরকুট, বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে। দিনভর গণনার পর এবার রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার।

দানের পাশাপাশি মনোবাসনা পূরণে কেউ কেউ সিন্দুকে চিরকুট বা চিঠি ফেলে যান। মানুষের ধারণা, এখানে চিরকুটের মাধ্যমে কিছু চাইলে, সেটাও পাওয়া যাবে। গতবার চিঠির বিষয়টি গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় এবার বেনামি চিঠির পরিমাণ বেশি ছিল। কিছু চিঠিতে নাম থাকলেও ঠিকানা দেওয়া ছিল কম।

মো. ইমরান নামের এক তরুণ ভালোবাসার মানুষ রাবেয়াকে কাছে পেতে দানবাক্সে একটি চিরকুট রেখে গেছেন। চিঠিতে ইমরান লিখেছেন, ‘ইয়া পাগলা বাবা, আমাদের সালাম গ্রহণ করবেন। আমাদের আরজি কবুল করুন। আমাদের মনের বাসনা আপনি বোঝেন। ইমরান ভালোবাসে রাবেয়া আক্তারকে। রাবেয়ার পরিবার ইমরানকে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি না। আপনি রাবেয়াকে এনে দেন।’

বেনামি একজন বিয়ের আকুতি জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমি খুব অসহায়। আমার বিয়ে বারবার ভেঙে যাচ্ছে। আমার পরিবার আমাকে নিয়ে চিন্তিত। চারপাশের মানুষের কটুকথা আমি আর সহ্য করতে পারছি না। তুমি জানো আমি নির্দোষ ও নিরপরাধ। আমার বিয়েতে যদি কোনো বাধাবিপত্তি থাকলে তুমি সমাধান করে দাও...তুমি আমাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দিও না।’

আরও পড়ুনপাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে পাওয়া গেল রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা১ ঘণ্টা আগে

বেনামি আরেকটি চিরকুটে একজন পাগলা বাবার কাছে শেখ হাসিনার সন্ধান চেয়ে জানতে চেয়েছেন, ‘পাগলা চাচা, শেখ হাসিনা কোথায়?’ আরেকজন ‘সাধারণ জনগণ’ নামে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমতায় দেখতে চেয়ে লিখেছেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’

রেহানা সারোয়ার নামের একজন সন্তান কামনা করে চিঠি লিখেছেন। তিনি নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে লিখেছেন, ‘আমার বিয়ে হয়েছে ১২ বছর চলতাছে। কিন্তু এখনো আমি কোনো সন্তানের মা হতে পারলাম না। অনেক ডাক্তার দেখাইছি, কিন্তু কোনো লাভ হয় নাই। আমি এমন কোনো দিন নাই, এমন কোনো রাত নাই, আমার আল্লাহর কাছে হাত তুলে কাঁদি নাই...আমাকে একটা নেক সন্তানের মা হওয়ার সুযোগ দেন।’

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে পাওয়া টাকা গণনার কাজ করছেন মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ অন্যরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নতুন আইটেম গানে প্রশংসিত তামান্না কত টাকা নিলেন?
  • দু’পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত বিএনপির ২ নেতার পদ স্থগিত
  • চাঁদাবাজির প্রতিবাদকারীর নামে মামলা দিলেন জবি ছাত্রদল নেতা
  • চাল না পেয়ে জেলেদের ইউপি পরিষদ ঘেরাও
  • ১৯০ বিঘা খাস জমি দখলে নিতে সংঘর্ষ, নিহত ১
  • ফুলবাড়ীতে কালবৈশাখী: গাছ উপড়ে ঘরে চাপা পড়ে একজনের মৃত্যু 
  • টাকা দিয়েও পছন্দের সিট পাননি ইমন, আনলেন হেনস্থার অভিযোগ
  • গাজার জন্য সমব্যথী নারী
  • তৃণমূলের একজন কর্মীকেও হারাতে দেয়া যাবে না : রিয়াদ চৌধুরী
  • শেখ হাসিনার সন্ধান চেয়ে পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিঠি