গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের (এমভিসি) সেবা পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এমভিসি একটি বড় অর্জন। তবে এর সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।”

সোমবার (১৭ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীস্হ প্রাণিসম্পদ গবেষণা কেন্দ্র (এলআরআই) প্রাঙ্গণে ১১৫টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক (এমভিসি) বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, “এমভিসি গাড়ির মতো চার চাকা হলেও এটি গাড়ি নয়, এটি হচ্ছে একটি হাসপাতাল। যেখানে প্রাণী চিকিৎসার সব কিছুই থাকছে। থাকছেন একজন সার্জনও।”

আরো পড়ুন:

ধর্ষণের সংজ্ঞায় পরিবর্তনসহ আইনে বেশ কিছু সংশোধনী আসছে: আসিফ নজরুল

ঢাকা বাদে ৬৩ জেলায় স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ: প্রেস উইং

প্রাণিসম্পদ আধিপ্তরের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “এই সেবাটি প্রত্যন্ত খামারিদের কাছে পৌঁছাতে হবে। এর অন্য কোনো ব্যবহার যাতে না হয় এ দিকে নজর দিতে হবে।”

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “অনেক সময় দেখা যায়, বড় বা বাণিজ্যিক খামারগুলোকে আমরা সেবা দেই। এক্ষেত্রে তাদের সেবার পাশাপাশি গ্রামীণ এবং প্রত্যন্ত খামারিদের কাছে পৌঁছানের ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা যাতে এ সেবার বিষয়ে জানতে পারেন তারো উদ্যোগ নিতে হবে।”

মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিকের সেবাটি ফ্রি ও ভালো উদ্যোগ উল্লেখ করে ফরিদা আখতার বলেন, “গ্রামীণ মানুষের জন্য  স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক হলেও আছে। এখন থেকে প্রাণীর সেবায় চালু হচ্ছে এমভিসি। তবে এটির সেবা নিশ্চিত করার জন্য ভেটেরিনারি ডাক্তারদের সচেতন এবং সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”

এই উপদেষ্টা বলেন, “মানুষের নিরাপদ আমিষ নিশ্চিত করতে এই ভেটেরিনারি ক্লিনিক বা  ‘প্রাণীর পাশেই ডাক্তার’ এর গুরুত্ব বেশি। কোনো প্রাণী অসুস্থ হলে তার আশপাশের অনেক প্রাণীও অসুস্থ হতে পারে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে সব প্রাণীর সেবা নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে আসুস্থ প্রাণী বাজারে অসতে না পারে। হাঁস-মুরগি থেকে সব গবাদি পশু ও পাখির সেবা নিশ্চিত করতে হবে।”

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড.

মো. আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নিলুফা আক্তার, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. বয়জার রহমান, প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, শৈলকূপা সম্মিলিত খামারি পরিষদ ও কৃষক ফেডারেশনের মুখপাত্র  মো. তানজীর আলম রবিন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, বিভিন্ন প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও পরামর্শক, প্রাণিসম্পদ খাতের বিজ্ঞানী-গবেষক, উদ্যোক্তা এবং  মোবাইল ভেটেরিনারি ক্লিনিক গ্রহণকারী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও চালকগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, এমভিসির ওপর নির্মিত একটি টিভি বিজ্ঞাপন, একটি প্রামাণ্যচিত্র ও একটি সাফল্যগাঁথা প্রদর্শন করা হয়।

“প্রাণীর পাশেই ডাক্তার” এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে প্রান্তিক খামারিদের দোরগোড়ায় আধুনিক ও জরুরি প্রাণিচিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্প (এলডিডিপি) হতে তৃতীয় ও শেষ ধাপে আরো ১১৫টি এমভিসি অবশিষ্ট উপজেলাতে বিতরণ করা হয়। এনিয়ে ৪৬৬টি উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরে এমভিসি বিতরণ করা হলো।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট ন শ চ ত করত ন শ চ ত কর প রকল প র জন য উপজ ল এমভ স মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

এবার ঈদে লম্বা ছুটি, কবে থেকে কতদিন

আসন্ন ঈদুল ফিতরে এবার লম্বা ছুটির সুযোগ পাচ্ছেন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ঈদ উপলক্ষে এর মধ্যে পাঁচ দিন টানা ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এবার পাঁচ দিনের ঘোষিত ছুটির আগে-পরে আছে মহান স্বাধীনতা দিবস,শবে কদর ও সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে এবার কার্যত লম্বা ছুটির ফাঁদে পড়তে যাচ্ছে দেশ। ঈদের আগে ও পরে ১১ দিনের মধ্যে মাত্র দুদিন অফিস খোলা থাকবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ৩১ মার্চ পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে। সম্ভাব্য এই তারিখ ধরেই পাঁচ দিনের ছুটির তারিখ নির্ধারণ করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই হিসেবে ২৯ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে ঈদুল ফিতরের পাঁচ দিনের ছুটি। অর্থাৎ ২৯, ৩০, ৩১ মার্চ এবং ১ ও ২ এপ্রিল পর্যন্ত থাকবে এই ছুটি। এর মধ্যে ঈদের দিন সাধারণ ছুটি। আর ঈদের আগের দুদিন এবং পরের দুদিন নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি।  

কিন্তু নির্ধারিত ছুটি শুরুর আগের দিন ২৮ মার্চ সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার। একই সঙ্গে একই দিন পবিত্র শবে কদরেরও ছুটি। এই ছুটি শুরুর আগে আগে আবার আছে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। তার পরদিন বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ বৃহস্পতিবার একদিন অফিস খোলা থাকবে।

অন্যদিকে  ছুটি শেষে অফিস খুলবে ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। তার পরের দুদিন আবার সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্র ও শনিবার। অর্থাৎ ২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ১১ দিনের মধ্যে অফিস চলবে মাত্র দুদিন (২৭ মার্চ এবং ৩ এপ্রিল)। একদিন ঈদের আগে এবং আরেকদিন ঈদের পরে।

ছুটির বিধিমালা অনুযায়ী, দুই ছুটির মাঝে নৈমিত্তিক ছুটি নেওয়ার নিয়ম নেই। নিলে তা টানা ছুটি হয়ে যাবে। অবশ্য অর্জিত ছুটি নেওয়ার সুযোগ আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ