সোনাদিয়ার ৯,৪৬৭ একর জমি বন বিভাগে হস্তান্তরের উদ্যোগ
Published: 18th, March 2025 GMT
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার সোনাদিয়ার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ৯ হাজার ৪৬৭ একর জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) অনুকূলে বরাদ্দকৃত জমি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।
রবিবার (১৬ মার্চ) বেজার পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন ও মনিটরিং-১) শাহীন আক্তার সুমী কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ইকো পার্কের জন্য বরাদ্দকৃত জমিতে অবৈধভাবে গাছ কাটা, চিংড়িঘের নির্মাণসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কার্যক্রম চলায় দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এ অবস্থায়, বরাদ্দকৃত জমি বন বিভাগের অনুকূলে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৯ হাজার ৪৬৭ একর বনভূমির পরিবেশ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।
কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেঃ
জবরদখলমুক্তকরণ, খালের মুখ ও শাখা-শাখার বাঁধ অপসারণ করে জোয়ারের পানি প্রবেশ সুগম করা, বালিয়াড়ী পুনরুদ্ধার ও বীচ সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ ও নন-ম্যানগ্রোভ, কাউ, কেয়া, নিশিন্দা, নারিকেল, তাল এবং ঘটিভাঙ্গার সাথে সংযোগকারী রাস্তায় বনায়ন কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে এবং অবক্ষয়িত ম্যানগ্রোভ বন পুন:প্রতিষ্ঠা করা হবে।
এছাড়া, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ৯ হাজার ৪৬৭ একর বনভূমিকে রক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হবে। ফলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত হবে, অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হবে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বন ব ভ গ পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
নিজেদের প্রতিরক্ষায় মন দিচ্ছে ইউরোপ, এশিয়া থেকে কি মুখ ফিরিয়ে নেবে
ইউরোপ এখন নিজের মহাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে এশিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউরোপের নানা উদ্যোগ হুমকিতে পড়তে পারে।
কয়েক বছর আগে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন ঘোষণা করেছিলেন, ইইউ ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আরও সক্রিয় ভূমিকা রাখতে চায়।
এখন সেই প্রতিশ্রুতির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ইউরোপ দীর্ঘকাল পর আবার নিজেদের সমরাস্ত্রে সজ্জিত করার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে চলেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিমা দেশগুলোর সামরিক জোট ন্যাটোতে মার্কিন অংশগ্রহণ কমানোর কথা বলছেন। এতে ইউরোপে মার্কিন নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ন্যাটোতে মার্কিন ভূমিকা কমলে ইউক্রেনে অনিশ্চিত যুদ্ধবিরতি ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তৈরি অন্যান্য সম্ভাব্য সংঘাত ঠেকানোর দায়িত্ব ইউরোপের রাষ্ট্রগুলোকেই এককভাবে বহন করতে হতে পারে।
এশিয়ার নিরাপত্তাকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি ইউরোপীয়দের নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো সক্ষমতা নেইঅধ্যাপক জাচারি আবুজা, ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল ওয়ার কলেজইউরোপীয় কমিশন ৪ মার্চ ‘রিআর্ম ইউরোপ’ কর্মসূচি চালুর ঘোষণা দিয়েছে। ভন ডার লেন বলেন, ‘আমরা পুনরাস্ত্রসজ্জার যুগে রয়েছি।’ ‘রিআর্ম ইউরোপ’ বা ‘ইউরোপের পুনরায় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিতকরণ’ কর্মসূচির লক্ষ্য আগামী ৪ বছরে প্রায় ৮০ হাজার কোটি ইউরো (১ ইউরো = প্রায় ১৩০ টাকা) সংগ্রহ করা।
ইইউর ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল
ইউরোপের পুনরায় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত করার পরিকল্পনা মহাদেশটির প্রতিবেশীদের স্বার্থ দেখেই আপাতত তৈরি করা হয়েছে। ফলে এশিয়ার নিরাপত্তার জন্য ইইউর সমর্থন উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেতে পারে।
থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইইউ৷ চলতি বছরই এ–সংক্রান্ত চুক্তি সই হতে পারে। ১২ বছর বিরতির পর জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ভন ডার লেন জানিয়েছিলেন, ইইউ এবং ভারতও এ বছর একটি এফটিএ চূড়ান্ত করার আশা করছে।২০২১ সাল থেকে বেশির ভাগ বৃহৎ ইউরোপীয় রাষ্ট্র ‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় কৌশল’ গ্রহণ করেছে এবং এ অঞ্চলে আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এসেছে।
ইইউর তৎকালীন পররাষ্ট্রনীতিপ্রধান জোসেপ বোরেল গত নভেম্বরে লিখেছিলেন, ‘বাণিজ্য ও বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমাদের দৃঢ় সংযোগের কারণে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যা ঘটে, তার সরাসরি প্রভাব ইউরোপে পড়ে।’
উদাহরণস্বরূপ, জার্মানিসহ বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ ভিয়েতনামের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দক্ষিণ চীন সাগরে বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে কয়েক দশক ধরে চীনের সঙ্গে মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম।
গত বছর থেকে চীনের সঙ্গে ফিলিপাইনের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফিলিপাইনও ইইউ ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। অন্যদিকে ফিলিপাইনের সামরিক ঘাঁটিতে ফরাসি সৈন্যদের প্রবেশাধিকার দিতে একটি ভিজিটিং ফোর্স চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে ফ্রান্স। ফ্রান্সের পারমাণবিক শক্তিচালিত বিমানবাহী রণতরী শার্ল দ্য গল কয়েক সপ্তাহ আগে প্রথমবারের মতো ফিলিপাইনের বাহিনীর সঙ্গে যৌথ যুদ্ধ মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আন্তর্জাতিক জলপথে চীনের দাবির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও যুক্তরাজ্যের যুদ্ধজাহাজ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরে ‘নৌ চলাচলের স্বাধীনতা’ মিশনে মহড়ায় অংশ নিয়েছে।
কিন্তু ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থনে নাটকীয় পরিবর্তন এসেছে। ওয়াশিংটনের ন্যাশনাল ওয়ার কলেজের অধ্যাপক জাচারি আবুজা ডিডব্লিউকে বলেছেন, ন্যাটোর প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের দুর্বল সমর্থনের কারণে ‘ইউরোপীয়রা কিয়েভকে সমর্থন এবং ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে আরও বেশি মনোযোগী হবে’।
ইউরোপীয় কমিশন ৪ মার্চ ‘রিআর্ম ইউরোপ’ কর্মসূচি চালুর ঘোষণা দিয়েছে। উরসুলা ভন ডার লেন বলেন, ‘আমরা পুনরাস্ত্রসজ্জার যুগে রয়েছি।’ ‘রিআর্ম ইউরোপ’ বা ‘ইউরোপের পুনরায় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিতকরণ’ কর্মসূচির লক্ষ্য আগামী ৪ বছরে প্রায় ৮০ হাজার কোটি ইউরো সংগ্রহ করা।আবুজা বলেন, এশিয়ার নিরাপত্তাকে সহযোগিতা করার পাশাপাশি ইউরোপীয়দের নিজস্ব নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মতো সক্ষমতা নেই।
সবার আগে ইউরোপ
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউরোপীয় নিরাপত্তাকাঠামো অতিদ্রুত পরিবর্তন হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে খুব কম ইউরোপীয় নেতাই বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে এর প্রভাব সম্পর্কে চিন্তা করার সময় পেয়েছেন।
বিশ্লেষকেরাও এ নিয়ে বিভক্ত। তবে সাধারণ ধারণা হলো, ইউরোপের সক্ষমতা বাড়লেও ‘সবার আগে ইউরোপ’ কৌশলের অর্থ এশীয় অংশীদারদের পরিত্যাগ করা নয়।
আইএসইএএস-ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ ফেলো ইয়ান স্টোরি মনে করেন, নিরাপত্তা ইস্যুতে ইউরোপের উদ্বেগগুলো মূলত স্থলভিত্তিক এবং এশিয়ার নিরাপত্তা সংকটগুলো মূলত সমুদ্রকেন্দ্রিক। ফলে তিনি মনে করেন, কিছু ইউরোপীয় রাষ্ট্র ‘সম্ভবত বছরে কয়েকটি যুদ্ধজাহাজ এবং সম্ভব হলে বছরে একটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠানোর সামর্থ্য রাখতে পারে’।
ইয়ান স্টোরি ডিডব্লিউকে বলেন, ইউরোপের সামরিক উপস্থিতি সব সময়ই মূলত প্রতীকী ছিল। তবে প্রতীকটাও গুরুত্বপূর্ণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো তাদের ইউরোপীয় অংশীদারদের কাছ থেকে এ অঞ্চলের প্রতিশ্রুত সহযোগিতার ব্যত্যয়কে স্বাগত জানাবে না।
ফিলিপাইনের পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের প্রভাষক জোশুয়া এসপেনা মনে করেন, ইউরোপের পুনরাস্ত্রীকরণে এশিয়ার দেশগুলোর জন্যও কিছু ইতিবাচক বিষয় থাকতে পারে।
প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করার ফলে ইউরোপীয় দেশগুলো প্রতিরক্ষাশিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ আমদানি বাড়াতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, তাইওয়ান থেকে উন্নত মাইক্রোচিপ ও ফিলিপাইন থেকে নিকেল ও তামা আমদানির কথা তুলে ধরেছেন এসপেনা।
ইউরোপ উল্লেখযোগ্য হারে অস্ত্র উৎপাদন বাড়ালে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোতে ইউরোপীয় অস্ত্র রপ্তানি বৃদ্ধির সক্ষমতা আরও বেশি হতে পারে। এসব দেশের অনেকেই যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও রাশিয়ার বাইরে গিয়ে সামরিক বাহিনীর অস্ত্র ও সরঞ্জামে বৈচিত্র্য আনতে মরিয়া।
অর্থনৈতিক সংকট
বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে একমত, ইউরোপের পুনর্নির্মাণ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না৷
থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে ইইউ। চলতি বছরই এ–সংক্রান্ত চুক্তি সই হতে পারে। ১২ বছর বিরতির পর জানুয়ারিতে মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে ভন ডার লেন জানিয়েছিলেন, ইইউ এবং ভারতও এ বছর একটি এফটিএ চূড়ান্ত করার আশা করছে।
তবে যুক্তরাজ্য প্রতিরক্ষা ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ার কয়েক দিন পর লন্ডন জানিয়েছে, দেশটি ২০২৭ সালে তাদের বৈদেশিক সাহায্য বাজেট মোট জাতীয় আয়ের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ করবে।
ফ্রান্স এ বছরের শুরুতে বৈদেশিক উন্নয়ন ৩৫ শতাংশ কমিয়েছে। নেদারল্যান্ডসও ‘সবার আগে নেদারল্যান্ডসের স্বার্থ’ ঘোষণার অংশ হিসেবে এ নীতিই অনুসরণ করবে।
আইএসইএএস-ইউসুফ ইশাক ইনস্টিটিউটের আসিয়ান স্টাডিজ সেন্টারের জ্যেষ্ঠ ফেলো জোয়ান লিন ওয়েইলিং ডিডব্লিউকে বলেন, যদি ইউরোপীয় প্রতিরক্ষা অগ্রাধিকারগুলো তাদের নিকটবর্তী প্রতিবেশীদের ওপরই ক্রমবর্ধমানভাবে কেন্দ্রীভূত হয়, তাহলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় (আর্থিক) প্রতিশ্রুতি দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই না–ও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বৈদেশিক সাহায্যে ইউরোপের প্রতিশ্রুতিতে কাটছাঁট করা হলে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় দাতব্য সংস্থা এবং মানবিক সংস্থাগুলোও সেটার প্রভাব খুব বেশি তাৎক্ষণিকভাবে টের পাবে না। তারা মনে করে, ট্রাম্প প্রশাসন মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডিকে ধ্বংস করার কারণে এর চেয়ে বড় প্রভাব এরই মধ্যে বিশ্বব্যাপী পড়েছে।
বরং ওয়াশিংটন বৈদেশিক সাহায্য কমিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বব্যাপী তৈরি হওয়া আর্থিক ও প্রশাসনিক শূন্যস্থান পূরণে বেশ কয়েকটি ইউরোপীয় রাষ্ট্র দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার একটি বৃহৎ বহুজাতিক পরিবেশ প্রকল্প ‘জাস্ট এনার্জি ট্রানজিশন পার্টনারশিপ’–এর নেতৃত্বে ছিল যুক্তরাষ্ট্র। জার্মানি এ মাসেই নিশ্চিত করেছে, মার্কিন সহায়তা না এলে জার্মানিই সেই ভূমিকা নেবে।
পরিবেশ-সম্পর্কিত তহবিলের ওপর এর প্রভাব পড়তে পারে। তবে যেকোনো নীতি কার্যকর হতেও বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। ইউনিভার্সিটি মালয়ার পরিবেশগত রাজনীতির সহযোগী অধ্যাপক হেলেনা ভার্ককি ডিডব্লিউকে বলেছেন, এরই মধ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া তহবিলগুলো অবিলম্বে প্রত্যাহার করা সম্ভব নয়।