ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ‘পাগলা’ কুকুরের কামড়ে শিশু-বৃদ্ধসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা থেকে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে আখাউড়া পৌর এলাকার রাধানগর চৌরাস্তা ও ঘোষপাড়া মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এর আগে কুকুরটি তার সঙ্গে থাকা একটি বাচ্চা কুকুরকে কামড়ে মেরে ফেলে।

আহতরা হলেন- আবুল হোসেন (৭৮) সুকুমার দাস (৬২), মো.

মোজাহিদ (১২), শিউলী বেগম (২০), প্রহলাদ ঘোষ (১২) ও রবিউল ইসলাম (১৩) । আহত সুকুমার দাস ও প্রহলাদ ঘোষকে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে শিউলী বেগম ঢাকা থেকে আখাউড়ায় বেড়াতে এসেছিলেন।

এ ঘটনার পর পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাত সাড়ে ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত কুকুরটিকে মারতে এলাকার লোকজন মোড়ে মোড়ে লাঠি হাতে অবস্থান নেয়।

আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎক লুৎফর রহমান জানান, কুকুরের কামড়ে আহত ছয় জন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর  প্রহলাদ ঘোষ ও সুকুমার দাসকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য়

এছাড়াও পড়ুন:

নরসিংদীতে গৃহবধূকে ‌‘ধর্ষণের’ অভিযোগ 

নরসিংদীর রায়পুরায় ৪০ বছর বয়সী এক গৃহবধূকে নিজ ঘরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ এবং কাউকে কিছু না জানাতে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গেছে।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে ভুক্তভোগী নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. কলিমুল্লাহর কাছে ঘটনার বর্ণনা দেন। রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ এতথ্য জানান।

এর আগে, রবিবার (১৬ মার্চ) রাত ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। 

আরো পড়ুন:

কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

ধর্ষণের সংজ্ঞায় পরিবর্তনসহ আইনে বেশ কিছু সংশোধনী আসছে: আসিফ নজরুল

ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি বলেন, “রবিবার রাতে রাকিব মিয়া (৩২) বাড়িতে প্রবেশ করেন। তিনি গৃহবধূকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। এসময় উপস্থিত রাকিবের দুই সহযোগী ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন। পরে রাকিব ও তার সহযোগীরা ভুক্তভোগীর কানে ও গলায় থাকা স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়। চলে যাওয়ার সময় ঘটনাটি কাউকে জানালে স্বামী-স্ত্রীকে এক সঙ্গে হত্যা করবে হবে বলেও তারা হুমকি দেয়।”

রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, “অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফোন করে বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি ইন্সপেক্টর তদন্তকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন। দ্রুত সময়ের মধ্যেই আসামিরা গ্রেপ্তার হবেন।” 

ঢাকা/হৃদয়/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ