আপেল, আঙুর, নাশপাতি ও কমলা আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমল
Published: 18th, March 2025 GMT
আপেল, আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধায় দেশে ফল আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া ৫ শতাংশ আগাম কর (ভ্যাট) মওকুফ করা হয়েছে। আজ সোমবার রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।
গত বৃহস্পতিবার বিদেশ থেকে ফল আমদানিতে অগ্রিম কর ৫ শতাংশ করা হয়। এর আগে ১০ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হতো।
যেসব তাজা ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমানো হলো সেগুলোর মধ্য রয়েছে তাজা বা শুকনা কমলালেবু, আঙুর, আপেল, নাশপাতি ও লেবুজাতীয় ফল।
গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। ফলে বাজারে আমদানি করা বিদেশি ফলের দাম বেড়ে যায়।
শুল্ক–কর কত
বর্তমানে ফল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা আছে।
মোটামুটি যত ধরনের শুল্ক–কর আছে, সবই বসে ফলের ওপর। সব মিলিয়ে এত দিন শুল্ক-করভার ১৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকার ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা শুল্ক–কর দিতে হতো। সম্পূরক শুল্ক, আগাম কর ও অগ্রিম কর কমানোয় এখন করভার কিছুটা কমবে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, প্রচলিত আমদানি পণ্যের মধ্যে গাড়ি ও মদ-সিগারেটের পর তাজা ফল আমদানিতেই সবচেয়ে শুল্ক-কর দিতে হয়।
দেশে বর্তমানে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করা হয়। এনবিআরের হিসাবে বিদেশি ফল আমদানিতে সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি হয়েছে। ফল আমদানি খাতে সরকার রাজস্ব আদায় করেছে ৫ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফল আমদ ন ত শ ল ক কর
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার
থাইল্যান্ডের নাগরিক এক নারীকে (৪০) ধর্ষণ ও মারধরের অভিযোগে ফেনীতে একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় মোখসুদুর রহমান (৪৮) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার তাঁকে ফেনী সদর উপজেলার শর্শাদি ইউনিয়ন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা।
গতকাল ফেনী সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করা হয়। মামলায় মোখসুদুর রহমানের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, থাইল্যান্ডের বাসিন্দা ওই নারী হংকংয়ে ব্যবসা করতেন। এর সূত্রেই সেখানে মোখসুদুরের সঙ্গে পরিচয়। ভিসা জটিলতায় মোখসুদুর গ্রেপ্তার হয়ে হংকংয়ে কারাগারে ছিলেন। তখন তাঁকে কারামুক্ত হতে সাহায্য করেন ওই নারী। কারামুক্ত হয়ে মোখসুদুর রহমান বাংলাদেশে চলে আসেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশে ডেকে এনে গত বছরের ১২ অক্টোবর তাঁকে মোখসুদুর ধর্ষণ করেছেন বলে মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন থাইল্যান্ডের ওই নারী।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়, মোখসুদুরকে ব্যবসার জন্য ২ লাখ ১০ হাজার হংকং ডলার ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার দিয়েছেন ওই নারী। ধর্ষণের ঘটনার পর নিজ দেশে ফেরত যাওয়ার সময় তিনি এসব টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য মোখসুদুরকে বলেন। পুনরায় বাংলাদেশে এসে গত রোববার মোখসুদুরের বাড়িতে গেলে তাঁকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দেন লোকজন। এ সময় ওই নারীর ব্যবহৃত মুঠোফোনটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ওই নারী।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সামসুজ্জামান বলেন, মোখসুদুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে তাঁর ২২ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়।