আপেল, আঙুর, নাশপাতি, কমলা, মাল্টাসহ বিভিন্ন ধরনের তাজা ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধায় দেশে ফল আমদানি করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া ৫ শতাংশ আগাম কর (ভ্যাট) মওকুফ করা হয়েছে। আজ সোমবার রাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে।

গত বৃহস্পতিবার বিদেশ থেকে ফল আমদানিতে অগ্রিম কর ৫ শতাংশ করা হয়। এর আগে ১০ শতাংশ অগ্রিম কর দিতে হতো।

যেসব তাজা ফল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমানো হলো সেগুলোর মধ্য রয়েছে তাজা বা শুকনা কমলালেবু, আঙুর, আপেল, নাশপাতি ও লেবুজাতীয় ফল।

গত ৯ জানুয়ারি আমদানি করা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করা হয়েছিল। ফলে বাজারে আমদানি করা বিদেশি ফলের দাম বেড়ে যায়।

শুল্ক–কর কত

বর্তমানে ফল আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক, ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, ২৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫ শতাংশ অগ্রিম কর ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করা আছে।

মোটামুটি যত ধরনের শুল্ক–কর আছে, সবই বসে ফলের ওপর। সব মিলিয়ে এত দিন শুল্ক-করভার ১৩৬ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকার ফল আমদানি করলে ১৩৬ টাকা শুল্ক–কর দিতে হতো। সম্পূরক শুল্ক, আগাম কর ও অগ্রিম কর কমানোয় এখন করভার কিছুটা কমবে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, প্রচলিত আমদানি পণ্যের মধ্যে গাড়ি ও মদ-সিগারেটের পর তাজা ফল আমদানিতেই সবচেয়ে শুল্ক-কর দিতে হয়।

দেশে বর্তমানে ৩৮ ধরনের ফল আমদানি করা হয়। এনবিআরের হিসাবে বিদেশি ফল আমদানিতে সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার ফল আমদানি হয়েছে। ফল আমদানি খাতে সরকার রাজস্ব আদায় করেছে ৫ হাজার ১৩৯ কোটি টাকা।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফল আমদ ন ত শ ল ক কর

এছাড়াও পড়ুন:

তাসকিনের ‘সেঞ্চুরি’তে নতুন রেকর্ড

তাসকিন আহমেদ সেঞ্চুরি করেছেন! তা তিনি করতেই পারেন,  ব্যাটিং তো মোটামুটি পারেনই।  তবে ব্যাট হাতে নয়, বাংলাদেশের জাতীয় দলের পেসার সেঞ্চুরি করেছেন বল হাতে রান বিলানোর। বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে রান বিলানোর সেঞ্চুরি করা তাসকিন নতুন রেকর্ডও গড়েছেন।

বিকেএসপিতে আজ গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ১০ ওভারে ১০৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মোহামেডানের তাসকিন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো বোলারের যা সবচেয়ে ব্যয়বহুল বোলিংয়ের রেকর্ড। তাসকিনের উদারতায় মোহামেডানের বিপক্ষে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৬ রান করেছে গাজী গ্রুপ। অধিনায়ক এনামুল হক  ১৪৩ বলে করেছেন সর্বোচ্চ ১৪৯ রান।

এত দিন লি ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের  বোলারদের সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ডটা ছিল ১০৪।  ২০১০ সালে বেনোনিতে দক্ষিণ আফ্রিকা ‘এ’ দলের বিপক্ষে  ১০৪ রান দিয়েছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের পেসার শাহাদাত হোসেন। ১৪ বছর পর ২০২৪ সালে  ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেই আবাহনীর বিপক্ষে ৯ ওভারে ১০৪ রান দেন গাজী টায়ার্স ক্রিকেট একাডেমির পেসার ইকবাল হোসেনও।

সব মিলিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে সবচেয়ে খরুচে বোলিংটা নেদারল্যান্ডসের বাস ডি লিডা। ২০২৩ বিশ্বকাপে দিল্লিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২ উইকেট নিতে ১১৫ রান খরচ করেন তিনি। খরুচে বোলিংয়ের তালিকায় তাসকিনের আজকের ঘটনাটি আছে ১১তম স্থানে।

গাজী গ্রুপের বিপক্ষে প্রথম ওভারেই বোলিংয়ে আসেন তাসকিন আহমেদ। ওই ওভারে তাঁকে একটি চারই মারতে পারেন ওপেনার সাদিকুর রহমান। প্রথম স্পেলে তিন ওভার করে তাসকিন অবশ্য খরচ করেন ৩৩ রান।

আবার ২৫তম ওভারে তাসকিনকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন মোহামেডান অধিনায়ক তামিম ইকবাল। এবার প্রথম ওভারে ১২ রান দিলেও দ্বিতীয়টিতে এসে গাজী গ্রুপের ১৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন তাসকিন। এই দফায় তিন ওভার বল করে ২১ রান দেন।

৩৯তম ওভারে তৃতীয় স্পেলে দুই ওভার করেন তাসকিন। ৮ রান দিয়ে শামসুর রহমানকে বোল্ড করেন। প্রথম ৮ ওভারে ৬২ রান দিয়ে দুই উইকেট পান। কিন্তু শেষ দুই ওভারেই তাঁর ওপর মারমুখী হন গাজী গ্রুপের ব্যাটসম্যানরা।

৪৬তম ওভারে তিন চার ও দুই ছক্কায় ২৫ রান নেন তোফায়েল আহমেদ ও এনামুল হক। এক ওভার পর নিজের শেষ ওভারটি করতে এসে ২ ছক্কা ও ১ চার হজম করে ২০ রান দেন। এই ওভারে অবশ্য ২৯ বলে ৬৩ রান করা তোফায়েল আহমেদ তাঁর বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন। ৫ উইকেটে ৩৩৬ রানে থামে গাজী গ্রুপ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ