জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে। একই সঙ্গে একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সিন্ডিকেট সভা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান এসব তথ্য জানান।

উপাচার্য বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের ২৮৯ জন নেতা-কর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া একটি অধিকতর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে যাঁদের ছাত্রত্ব শেষ, তাঁদের সনদ স্থগিত করা হবে। যাঁরা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছেন, তাঁদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।

অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ জুলাইয়ের রাতকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কালরাত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে এ ঘটনায় বিচারের দাবিতে তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। রাত ১২টার দিকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ও বহিরাগত সন্ত্রাসীরা দেশি অস্ত্র, পেট্রোলবোমা নিয়ে হামলা চালান।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে গণধর্ষণের শিকার নারীর বাড়িতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা 

যশোরে গণধর্ষণের শিকার নারীর বাড়ি পরিদর্শন ও তার খোঁজ খবর নিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

সোমবার (১৭ মার্চ) রাতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে মণিরামপুর উপজেলার হরিহরনগর গ্রামে নির্যাতিত ওই নারীর বাড়িতে যান তারা। এসময় নেতৃবৃন্দ ওই নারীকে ন্যায়বিচার পেতে সব ধরণের সহায়তার আশ্বাস দেন। একইসাথে জড়িতদের পক্ষে বিএনপির কোন আইনজীবী আদালতে যাবেন না বলে ঘোষণা দেওয়া হয়।

গত রবিবার বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালীতে ওই নারী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। খবর পেয়ে ঝিকরগাছা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করেন এবং এর সাথে জড়িত অভিযোগে চার তরুণকে আটক করেন। আটকদের মধ্যে গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আল মামুন বাপ্পি ও দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত রয়েছেন। 

বিষয়টি জানাজানি হলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবিরা নাজমুল মুন্নির নেতৃত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকনসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী নির্যাতিত ওই নারীর বাড়িতে যান। 

নার্গিস বেগম ও সাবিরা নাজমুল মুন্নি দীর্ঘক্ষণ ওই নারীর সাথে কথা বলেন এবং তাকে সব ধরণের সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন।

পরে অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, “নির্যাতনের শিকার নারীর সব ধরনের আইনি সহায়তা বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। এ ন্যাক্কারজনক কাজের সাথে যারাই জড়িত, তাদের কোন দলীয় পরিচয় দেখা হবে না। আটক চারজনের পক্ষে বিএনপিপন্থী কোন আইনজীবী থাকবে না। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে।” 

তিনি বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে ওই নারীকে নির্যাতনের সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়ায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।” 

ঢাকা/রিটন/টিপু 

সম্পর্কিত নিবন্ধ