কোরীয় ভাষায় আনাড়ি ছিলেন, সেই লিসা এখন কে-পপ তারকা
Published: 18th, March 2025 GMT
কোরীয় ভাষায় আনাড়ি ছিলেন লালিসা মানোবান, যিনি লিসা নামে পরিচিত। তিনি থাইল্যান্ডের মেয়ে; জন্ম ও বেড়ে ওঠা বুরিরাম প্রদেশে। থাই ভাষার সঙ্গে ইংরেজি, জাপানি ভাষাটা টুকটাক পারতেন। তবে কোরীয় ভাষায় দখল ছিল না। সেই ‘বহিরাগত’ লিসাই কে–পপে দুনিয়াজোড়া খ্যাতি পেলেন।
২০১০ সালে ব্যাংককে অডিশন নেয় কোরীয় বিনোদন সংস্থা ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্ট। এক হাজারের বেশি প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলে টিকেছেন লিসা। তখন মাত্র ১৩ বছর। মা–বাবাকে ছেড়ে সিউলে পাড়ি দেন। তখনো কে–পপ ইন্ডাস্ট্রিতে ‘বহিরাগত’ শিল্পীদের খানিকটা বাঁকা চোখেই দেখা হতো।
একে তো বয়স কম, তার ওপর অচেনা দেশ, ভাষা ও সংস্কৃতি—পথটা কাঁটায় ভরা ছিল। ওয়াইজি এন্টারটেইনমেন্টের ডরমিটরিতে কড়া নিয়মের বেড়াজালে দাঁতে দাঁত চেপে ছিলেন লিসা। টিকে থাকার লড়াইয়ে কখনো কখনো হাঁপিয়ে উঠেছেন। স্বপ্নকে বিসর্জন দিয়ে মা–বাবার কাছেও ফেরার চিন্তা করেছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত মনোবলটা ধরে রেখেছিলেন লিসা।
লিসা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পাওনা টাকা চাওয়ায় ছুরিকাঘাত, যুবক নিহত
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ছুরিকাঘাতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম মোহাম্মদ মানিক (৩২)। তিনি উপজেলার পরৈকোড়া ইউনিয়নের ভিংরোল গ্রামের মোহাম্মদ ছৈয়দের ছেলে। গতকাল সোমবার রাতে পরৈকোড়া ইউনিয়ন পূর্ব কৈন্যারা গ্রামের ভেন্ডারঘাটা এলাকায় এ ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের ভাই মোহাম্মদ বাবুল বলেন, তাঁর ভাই মানিক স্থানীয় মো. রাসেল (৩০) নামের এক ব্যক্তির কাছে এক লাখ টাকা পাওনা রয়েছেন। পাওনা টাকা নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়।
এর একপর্যায়ে মানিককে ছুরিকাঘাত করেন রাসেল। আহত অবস্থায় মানিককে প্রথমে আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দিবাগত রাত দুইটার দিকে মানিকের মৃত্যু হয়েছে।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, ‘পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে মানিককে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে বলে শুনেছি। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।’