স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ
Published: 18th, March 2025 GMT
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় স্বামীর সঙ্গে বাড়ি ফেরার পথে এক গৃহবধূকে (১৯) তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবারের এ ঘটনায় শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর মা। পরদিন অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলো– লাকসাম উপজেলার মনোহরপুর এলাকার মোহাম্মদ আলী, পৌরসভার শ্রীপুর মধ্যপাড়ার মো.
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এক গৃহবধূ তাঁর স্বামীর সঙ্গে বৃহস্পতিবার লাকসামে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। পরদিন ভোরে বাড়ি ফেরার জন্য তারা লাকসাম বাইপাস মোড় থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ওঠেন। কৌশলে তাদের লাকসামের গণ্ডামারা এলাকায় নিয়ে যায় অটোরিকশাচালক মাসুদ। সেখানে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে অভিযুক্তরা। এর পর লালমাই উপজেলার মগবাড়ি এলাকায় নিয়ে স্বামীকে অটোরিকশা থেকে ফেলে রেখে ওই নারীকে নিয়ে যায়। তাঁকে লাকসাম পৌরসভার পাইকপাড়া এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে ধর্ষণ করে মাসুদ ও আলী। এর পর লাকসাম পৌর শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তালুকদার ভিলায় আসামি কল্পনার ভাড়া বাসায় নিয়ে আবারও ধর্ষণ করা হয়। ওই দিনই স্থানীয়দের সহায়তায় গৃহবধূকে তাঁর পরিবার উদ্ধার করে। এ ঘটনায় শনিবার রাতে ভুক্তভোগীর মা লাকসাম থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
লাকসাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, আলী ও মাসুদ ওই নারীকে দুই স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেছে। অন্যরা ধর্ষণে সহায়তা করেছে বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করেছে।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সোমবার সকালে স্থানীয়রা থানার সামনে বিক্ষোভ করে। বিক্ষুব্ধরা আসামিদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানান। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। ধর্ষণের ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরে লাকসাম বাইপাস সড়কে নূপুর যুব নারী কল্যাণ সমিতি, স্টুডেন্ট কমিউনিটি লাকসামসহ কয়েকটি সংগঠন মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে।
মাদ্রাসাছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগ ঢাকায় ১১ বছরের মাদ্রাসাছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে মাহাদি হাসান নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ সেন্ট্রাল গলির তাহযিবুল উম্মাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাহাদি দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের হাসনাবাদ হাউজিং এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। তিনি তাহযিবুল উম্মাহ হাফেজিয়া মাদ্রাসার পরিচালক।
নরসিংদীতে ধর্ষণের শিকার নারী
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগ, গত রোববার রাতে বৃষ্টির মধ্যে দরজায় কড়া নাড়ে রাকিব মিয়া নামে এক যুবক। এ সময় ওই নারী ঘরে একা ছিলেন। দরজা খুলতেই দুই সহযোগীসহ ঘরে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করে রাকিব। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তার সহযোগীরা। এর পর ওই নারীর কানের দুল ও গলায় থাকা স্বর্ণের হার ছিনিয়ে হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।
সোমবার বিকেলে এসপি কার্যালয়ে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে ধর্ষণ
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসাছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার গ্রেপ্তার দু’জন হলো দুলাল গাজী ও তার ছেলে শাকিল গাজী। সোমবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ইন্দুরকানী থানার ওসি মারুফ হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিকে ফরিদপুরে দুই শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে রেজাউল মুন্সী নামে এক ব্যবসায়ীকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। বাগেরহাটের মোংলা ইপিজেডের একটি কারখানার নারীকর্মীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে কল্লোল বৈরাগী নামে এক যুবককে রোববার রাতে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বগুড়ার কাহালু উপজেলায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার নুরুল ইসলাম নুরুর দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। এদিকে নুরুর ফাঁসির দাবিতে গতকাল বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কাহালু কলেজের শিক্ষার্থীরা।
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলায় তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণে জড়িতদের প্রকাশ্যে ফাঁসির দাবিতে গতকাল আদালত চত্বরে বিক্ষোভ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। এর আগে রোববার ঝিকরগাছার গদখালী ইউনিয়নের পটুয়াপাড়া গ্রামে ধর্ষণের শিকার হন ওই তরুণী। পরে ছাত্রদলের দুই নেতাসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
(প্রতিবেদনে তথ্য দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যুরো, অফিস ও প্রতিনিধি)
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর উপজ ল য় র কর ছ ওই ন র এল ক র গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিকরগাছায় তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ছাত্রদলের দুই নেতাসহ আটক ৪
যশোরের ঝিকরগাছায় এক তরুণীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার বিকেলে ঝিকরগাছা উপজেলার একটি লিচুবাগানে এ ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় ছাত্রদলের দুই নেতাসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আর পুলিশি হেফাজতে ভুক্তভোগী তরুণীকে চিকিৎসা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
আটক চারজন হলেন ঝিকরগাছার গদখালী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন (বাপ্পী) ও দপ্তর সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত, তাঁদের দুই সহযোগী জাবেদ হোসেন ও আমিনুর রহমন। গদখালী বাজারে আমিনুরের ফুলের দোকান আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে গদখালী বাজারে আমিনুরের দোকানে ২০ বছর বয়সী ওই তরুণী ফুল কিনতে যান। এ সময় আমিনুর মিথ্যা তথ্য দিয়ে মেয়েটিকে নাটুয়াপাড়া গ্রামে জাবেদের লিচুবাগানে নিয়ে যান। সেখানে আমিনুল, জাবেদের সঙ্গে আবদুল্লাহ ও ইয়াসিন যোগ দেন। পরে চারজনে মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম বলেন, কোনো ব্যক্তির দায় সংগঠন নেবে না। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলে কোনো অপরাধীর ঠাঁই নেই। অভিযুক্ত দুজনকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
পুলিশের ভাষ্য, ওই তরুণী বেনাপোলে তাঁর এক স্বজনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার পথে গদখালী বাজারে নামেন। এরপর গদখালী বাজারের ফুলের দোকানি আমিনুর রহমানের দোকানে গেলে তাঁর চার বন্ধুর সঙ্গে পরিচয় হয় তরুণীর। এ সময় তাঁরা তরুণীকে গদখালী এলাকায় ফুলবাগান দেখাতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে পটুয়াপাড়া গ্রামের জাবেদ হোসেনের লিচুবাগানে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন।
খবর পেয়ে যশোরের নাভারন সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর ই আলম সিদ্দিকী, এএসপি নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাবলুর রহমান খান বলেন, বিকেলে মেয়েটি ফোন করে জানান, চারজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেছেন। পরে মেয়েটিকে উদ্ধার করে থানা-পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়। অভিযুক্ত চারজনকে আটক করা হয়েছে। মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।