বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম শ্রমিকদের আন্দোলনের কবলে পড়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জে বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সোমবার দুপুরে তাঁর গাড়ি দুই দফা ঘিরে রাখে। জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুপুরে ‘জেলা ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র সভায় যোগ দিতে ডিসি কার্যালয়ে আসেন হাতেম। সেখানে ক্রনি গ্রুপের ‘অবন্তী কালার টেক্সে’র প্রায় ২০০ শ্রমিক বকেয়া বেতনের দাবিতে অবস্থান করছিলেন। সভাপতির গাড়ি দেখে ঘিরে ধরেন শ্রমিকরা। তারা পাওনার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন।

তারা অভিযোগ করেন, সভাপতি এর আগে বকেয়া শোধের আশ্বাস দিয়েছিলেন। অনেক শ্রমিক টাকা না পেলেও পাওনা শোধের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়ে। এ সময় সভাপতি বলেন, ক্রনি গ্রুপের শ্রমিকদের যে তালিকা পাওয়া গিয়েছিল সে অনুযায়ী পাওনা শোধ করা হয়েছে। ডিসি কার্যালয় থেকে বৈঠক শেষে বের হওয়ার সময় ক্রনি গ্রুপের আরেক দল শ্রমিক তাঁকে আবারও ঘেরাও করেন।

মো.

হাতেম সমকালকে বলেন, ‘যদি কেউ বেতন পাওনা থাকেন, তাহলে তালিকা করে আমাদের কাছে দিলে, দ্রুত শোধ করব। আমার মনে হয়েছে, শ্রমিক লীগ নেতা কাউসার আহমেদ পলাশের লোকজন আজ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল।’

এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, বিকেএমইএ সভাপতিকে ঘেরাওয়ের সময় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির কারণে রোমানকে আটক করা হয়। তিনি কাউসারের সহযোগী। পরে জানা যায়, রোমানের বিরুদ্ধে সদর থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলা রয়েছে।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পোশাকশিল্প মালিকেরা করপোরেট কর অপরিবর্তিত চান

রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের উদ্যোক্তারা আগামী ২০২৫–২৬ অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট করহার বর্তমানের মতো ১২ শতাংশ বহাল রাখার দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক, ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিল ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির কারণে রপ্তানিমুখী খাতটি ঝুঁকিতে রয়েছে। এমন প্রেক্ষাপটে করপোরেট কর বাড়ানো হলে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর মধ্যে আস্থার ঘাটতি দেখা দিতে পারে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে আজ মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আয়োজিত প্রাক্‌-বাজেট আলোচনায় তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর এবং বিকেএমইএর নেতারা এ দাবি করেন। এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। প্রাক্‌–বাজেট আলোচনায় অংশ নেন বিজিএমইএর সহায়ক কমিটির সদস্য এনামুল হক, বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বস্ত্রকলের মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর সহসভাপতি সালেউদ জামান খান প্রমুখ।

বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম আগামী পাঁচ অর্থবছরের জন্য উৎসে কর দশমিক ৫ শতাংশ করার দাবি জানান। তিনি শতভাগ রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাকশিল্পের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্য ও সেবাকে ১০০ শতাংশ ভ্যাটমুক্ত রাখার প্রস্তাব করেন। বিকেএমইএ বন্ড ব্যবস্থাপনায় আমদানি পণ্যের চালান খালাসের সময় যে জটিলতা দেখা দেয়, তা নিরসনে এইচএস কোড সহজ করা ও ৮ ডিজিটের পরিবর্তে ৬ ডিজিটের এইচএস কোড চালুর দাবি জানিয়েছে। সংগঠনটি আগামী বাজেটে জ্বালানিসাশ্রয়ী বাতির ওপর ভ্যাট ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে আবার ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছে।

ম্যান মেইড বা কৃত্রিম তন্তুর তৈরি পোশাক খাতের বিনিয়োগ ও রপ্তানি উৎসাহিত করতে বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, দেশের বাজারে কৃত্রিম সুতা বিক্রির ওপর থেকে ৩ শতাংশ কর প্রত্যাহার, কৃত্রিম তন্তু দিয়ে তৈরি পোশাকের কাঁচামাল আমদানিতে দেওয়া অগ্রিম কর (এটি) ও সম্পূরক শুল্ক (এসডি) এবং প্রযোজ্য ভ্যাট প্রত্যাহার চেয়েছে বিকেএমইএ।

এদিকে তুলা ও সুতা সরবরাহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ১ শতাংশ উৎসে কর কর্তনের হার দশমিক ৫০ করার দাবি জানায় বিটিএমএ। এ ছাড়া শিল্পোৎপাদনে ব্যবহৃত কাঁচামালের সরবরাহের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৩ শতাংশের পরিবর্তে দশমিক ৫ শতাংশ করার আহ্বান জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পোশাক খাতে করপোরেট করহার অপরিবর্তিত রাখার সুপারিশ
  • পোশাকশিল্প মালিকেরা করপোরেট কর অপরিবর্তিত চান