হারানো ৩৪ মোবাইল উদ্ধার করে মালিকদের হাতে তুলে দিল পুলিশ
Published: 17th, March 2025 GMT
হারিয়ে যাওয়া ৩৪টি মোবাইল ফোন প্রযুক্তির সহায়তায় উদ্ধার করে মালিকদের কাছে হস্তান্তর করেছে পল্টন থানা পুলিশ। থানার সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে মোবাইলগুলো মালিকদের হাতে তুলে দেন মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হুসাইন মুহাম্মাদ ফারাবী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পল্টন মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. মনিরুজ্জামান।
ডিএমপির মুখপাত্র উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার পর মালিকরা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে থানার এএসআই ইকবাল হোসেন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ফোনগুলো উদ্ধার করেন। এর আগেও একাধিকবার হারানো মোবাইল উদ্ধারের পর তা প্রমালিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত শতাধিক মোবাইল উদ্ধার করেছে পল্টন থানা পুলিশ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১০০ কোটি টাকা পৌরকর আদায়
প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) কাছ থেকে ১০০ কোটি টাকা পৌরকর আদায় করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এসএম মুনিরুজ্জামান চসিক মেয়রের কাছে ১০০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
চসিক সূত্রে জানা যায়, ডা. শাহাদাত হোসেন মেয়রের দায়িত্ব নেওয়ার পর বকেয়া পৌর কর পরিশোধের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। বন্দর কর্তৃপক্ষের সাড়া না পেয়ে মন্ত্রণালয়ের দ্বারস্থ হন মেয়র। এর প্রেক্ষিতে সম্প্রতি চসিককে আপাতত ১০০ কোটি টাকা পরিশোধ করার নির্দেশনা দিয়ে বন্দরের চেয়ারম্যানকে দাপ্তরিক পত্র দেয় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়।
আরো পড়ুন:
পরিবেশ উপদেষ্টা
সেন্টমার্টিনে পর্যটননির্ভর বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
হিলি চেকপোস্ট পরিদর্শন করলেন ভারতের সহকারী হাই কমিশনার
চসিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, ১৯৯৪-৯৫ অর্থবছর থেকে বন্দর কর্তৃপক্ষ কখনোই পঞ্চবার্ষিকী কর পুনর্মূল্যায়নের আলোকে চসিকের প্রস্তাবিত পৌরকরের পুরোটা পরিশোধ করেনি। সাবেক মেয়রদের অনেকে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েও ব্যর্থ হন। কেউ অজ্ঞাত কারণে বন্দর কর্তৃপক্ষকে ছাড়ও দেন। অবশেষে ৩০ বছর পর বর্তমান মেয়রের উদ্যোগে চসিকের প্রস্তাবিত পৌরকরের প্রায় পুরোটাই পরিশোধ করল বন্দর কর্তৃপক্ষ। পৌরকর পাওয়ায় একদিকে চসিকের যেমন রাজস্ব বাড়ল, অন্যদিকে নিজস্ব ফান্ডের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি বাড়বে।
চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “স্বাধীনতার পর এই প্রথম চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে বন্দর পুরো পৌরকর পরিশোধ করল। বন্দর থেকে বড় অঙ্কের পৌরকর আদায় হওয়ায় চসিকের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে গতি বাড়বে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে আমরা যে বিপুল অঙ্কের ভর্তুকি দেই, সেটা আরো বাড়ানো যাবে।”
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ