নির্মাণে অনিয়মের প্রতিবাদ জনতার পালালেন ঠিকাদার
Published: 17th, March 2025 GMT
নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার প্রকল্পের একটি সড়কের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। একপর্যায়ে তাদের তোপের মুখে কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
উপজেলার খানেপুর গ্রামে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার পাশ দিয়ে একটি আরসিসি সড়ক নির্মাণ করছে বিসিআইসি। পাশে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাতে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে দেওয়া হয় রোড টালি। এসব বসাতে ব্যবহারের কথা ছিল সিমেন্ট ও বালু। এখানে শুধু বালু দেওয়া হয়েছে। এতে এক দিন পরই খুলে যাচ্ছে টালি।
ঠিকাদারের এমন অনিয়ম দেখে প্রতিবাদ জানান স্থানীয়রা। একপর্যায়ে কাজ ফেলেই চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা বলছেন, সড়কটি বিসিআইসির আওতাধীন হলেও খানেপুর, বালিয়া ও কাঁঠালিয়া গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। নিম্নমানের কাজের কারণে সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণে অনিয়ম করছে অভিযোগ করে তারা বলছেন, ভালো মানের রড-সিমেন্ট ব্যবহারের কথা থাকলেও তা মানছেন না। ফুটপাতে টালি লাগাতে সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে লাগানোর পরই তা খুলে যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিসিআইসির আওতাধীন পলাশ বিএডিসি বাসস্যান্ড থেকে খানেপুর বটতলা পর্যন্ত ৪ হাজার ৯০০ ফুট সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১৮ কোটি টাকা। কাজটি পেয়েছে তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আরসিসি সড়কের কাজ সম্পন্ন করে পাশে পথচারী যাতায়াতের জন্য ফুটপাত নির্মাণ করছে।
কাজে ভুল হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার তাইজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ফের কাজ করে দেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার প্রকল্পের পরিচালক সাইদুর রহমান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে রাজি হননি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঘুমন্ত স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে হাত-পা থেঁতলে দিয়েছেন স্বামী
লক্ষ্মীপুরে ঘুমন্ত অবস্থায় বটি দিয়ে এক গৃহবধূর পায়ের রগ কেটে দিয়েছেন তার স্বামী, সেই সঙ্গে তাকে কুপিয়ে ও পাথর দিয়ে আঘাত করে শরীর থেঁতলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
রগ কেটে কর্তনের শিকার নারীর নাম রিনা বেগম। তার স্বামী আলমগীর হোসেন। তারা লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কালু হাজী সড়কে ভাড়া থাকেন। সেখানেই ঘটনাটি ঘটেছে।
ররিবার (১৬ মার্চ) রিনার ভাই অ্যাম্বুলেন্স চালক হোসেন আহমেদ রাইজিংবিডি ডটকমকে অভিযোগটির বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া রগ কাটার পায়ের ছবি দিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন:
গোদাগাড়ীতে ৫ কেজি হেরোইন উদ্ধার, ২ নারী গ্রেপ্তার
মাগুরায় ঘুমিয়ে গেল আছিয়া, জাগিয়ে গেল দেশ
হোসেন আহমেদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রিনা বেগমের স্বামী আলমগীর ১৫ মার্চ রাতে বটি দিয়ে তার স্ত্রীর পায়ের রগ কেটে ফেলেন। একইসঙ্গে রিনার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে বটি দিয়ে কোপান। একপর্যায়ে পাথর দিয়ে হাত-পা থেঁতলে দেন তার স্বামী।
আলমগীর লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর বাঞ্চানগর এলাকার কসাই বাড়ির লেদু মিয়ার ছেলে, যিনি পেশায় নির্মাণশ্রমিক।
রিনা বেগমের পরিবারের সদস্যদের কথা বলে জানা গেছে, রিনাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে তার অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তার অবস্থা খুবই খারাপ। পরিবারের লোকজন ঢাকা থেকে ফিরে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
হোসেন আহমেদের সঙ্গে হলে তিনি রাইজিংবিডি ডটকমকে বলেন, বাড়িতে ঘর না থাকায় রিনা ও তার স্বামী আলমগীর কালু হাজী সড়কে সন্তানদের নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন। শনিবার রাতে রিনা খাবার শেষে ছেলে-মেয়েদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। তার স্বামী আলমগীর বাসায় এসে ঘুমন্ত স্ত্রীর মাথায় ধারালো বটি দিয়ে আঘাত করে। পরে তার দুই পায়ের রগ কেটে দেয়। একপর্যায়ে পাথর দিয়ে দুই হাত-পা থেঁতলে দেয়।
আহত রিনাকে ফেলে রেখে আলমগীর পালিয়ে যায় জানিয়ে হোসেন আহমেদ বলেন, প্রতিবেশীরা রিনাকে উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ পাঠান।
হোসেন আহমেদ বলেন, “আলমগীর আমার বোনকে কুপিয়েছে। হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়েছে। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, সে মাদক সেবনের সঙ্গে জড়িত।”
ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে আলমগীর হোসেন। রাইজিংবিডি ডটকম তার বক্তব্য নিতে পারেনি।
সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, ঘটনাটি কেউ আমাদেরকে জানায়নি। তবে জানতে পেরেছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঢাকা/লিটন/রাসেল