নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার প্রকল্পের একটি সড়কের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দারা নির্মাণকাজ বন্ধ করে দিয়েছেন। একপর্যায়ে তাদের তোপের মুখে কাজ ফেলে পালিয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন।
উপজেলার খানেপুর গ্রামে ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার পাশ দিয়ে একটি আরসিসি সড়ক নির্মাণ করছে বিসিআইসি। পাশে পথচারীদের চলাচলের জন্য ফুটপাতে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে দেওয়া হয় রোড টালি। এসব বসাতে ব্যবহারের কথা ছিল সিমেন্ট ও বালু। এখানে শুধু বালু দেওয়া হয়েছে। এতে এক দিন পরই খুলে যাচ্ছে টালি।
ঠিকাদারের এমন অনিয়ম দেখে প্রতিবাদ জানান স্থানীয়রা। একপর্যায়ে কাজ ফেলেই চলে যায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। স্থানীয়রা বলছেন, সড়কটি বিসিআইসির আওতাধীন হলেও খানেপুর, বালিয়া ও কাঁঠালিয়া গ্রামের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম। নিম্নমানের কাজের কারণে সড়কের স্থায়িত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়ক নির্মাণে অনিয়ম করছে অভিযোগ করে তারা বলছেন, ভালো মানের রড-সিমেন্ট ব্যবহারের কথা থাকলেও তা মানছেন না। ফুটপাতে টালি লাগাতে সিমেন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে না। এতে লাগানোর পরই তা খুলে যাচ্ছে। 
সংশ্লিষ্টরা জানান, বিসিআইসির আওতাধীন পলাশ বিএডিসি বাসস্যান্ড থেকে খানেপুর বটতলা পর্যন্ত ৪ হাজার ৯০০ ফুট সড়ক নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ১৮ কোটি টাকা। কাজটি পেয়েছে তমা কনস্ট্রাকশন কোম্পানি নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আরসিসি সড়কের কাজ সম্পন্ন করে পাশে পথচারী যাতায়াতের জন্য ফুটপাত নির্মাণ করছে। 
কাজে ভুল হওয়ার কথা স্বীকার করেছেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাইট ইঞ্জিনিয়ার তাইজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ফের কাজ করে দেওয়া হবে।’ এ বিষয়ে ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার প্রকল্পের পরিচালক সাইদুর রহমান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া কথা বলতে রাজি হননি।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

আমার মেয়ে বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি

‘সৌদি আরবের সদ্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলানের প্রতারণার শিকার আমার মেয়ে মেঘনা। ছয় মাস ধরে তার সঙ্গে মেয়ের ঘনিষ্ঠতা। তার দুই থেকে তিন মাস আগে থেকে তাদের মধ্যে পরিচয়।’ মডেল মেঘনা আলমেরব বাবা বদরুল আলম সমকালকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মেঘনা ‘মিস বাংলাদেশ’ নামে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছিল। তার মাধ্যমে দেশে–বিদেশে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে অনেক বিশিষ্টজন, গুণী লোকজন আসতেন। ঢাকায় সেই ধরনের একটি অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তার প্রথম দেখা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা সব জানেন। তিনি দু’জনকে সহযোগিতা করেন। এরপর মেঘনার সঙ্গে বিদায়ী দূতের মধ্যে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। একপর্যায়ের প্রেমের সম্পর্কের প্রস্তাব দেন। এরপর বিয়ে করতে চান। গত ৪ ডিসেম্বর মেঘনা ও দুহাইলানের আংটি বদল হয়েছিল বলে দাবি করেন বদরুল। তবে দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তিনি।  

বদরুল বলেন, মেঘনার বসুন্ধরার বাসায় আসা–যাওয়া ছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের। সম্পর্কের একপর্যায়ে মেঘনা জানতে পারে তার স্ত্রী ও ছেলে–মেয়ে রয়েছে। তখন সে আংটি ফেরত দেয়। সে কারো দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি। সৌদি দূতের স্ত্রীকে ঘটনাটি জানায়। এরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত। হুমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে মেঘনা ফেসবুক এ সম্পর্কে কিছু লেখা পোস্ট করেন। এরপরই মেঘনার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন দুহাইলান। 

মেঘনার বাবা আরও বলেন, প্রতারণার শিকার হয়েছে এটা জেনেও মেঘনা চেয়েছিল বিদায়ী রাষ্ট্রদূত তার কাছে এসে দুঃখ প্রকাশ করুক। কিন্তু সেটা করেননি তিনি। উল্টো বিনা অপরাধে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করানো হয়েছে। বিষয়টির সমঝোতার চেষ্টা করা হলে শেষ পর্যন্ত হয়নি। 

এক প্রশ্নের জবাবে বদরুল বলেন, কেন আমার মেয়ে তাকে ফাঁসাবে। যদি সে অন্যায় করত তাহলে তার বিরুদ্ধে তো সুনির্দিষ্ট মামলা হত। আইন সবার জন্য সমান। আমরা এখন ন্যায় বিচার চাই। সরকার আমার মেয়ের নিরাপত্তা দেবে এটা আমার দাবি। 

মেঘনার বাবা বলেন, নর্থ–সাউথে পড়াশোনার সময় বসুন্ধরা একটি ফ্ল্যাট ভাড়া করে মেঘনা থাকত। সেখানে মাঝে মাঝে আমরা যেতাম। পরিবারের অন্যরা বেইলী রোডে থাকি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আমার মেয়ে বিদায়ী সৌদি রাষ্ট্রদূতের দ্বিতীয় স্ত্রী হতে চায়নি
  • এক ম্যাচ নিষিদ্ধ তাওহিদ হৃদয় মুখ খোলার হুমকি দিলেন কেন
  • সিলেটে কথা-কাটাকাটির জেরে এলাকাবাসীর সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক ও যুবদল নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ
  • নদীতে ডুবে দুই কিশোরীর মৃত্যু, জাল ফেলে লাশ উদ্ধার