খেতে বড্ড ভালোবাসেন। তবে এখন খাবার সামনে দেখেও অরুচি আসে। কিছু খেলেই যেন পেটে জ্বালা করে। এমনটা হলে কিন্তু অবহেলা করবেন না। হতেই পারে, এই উপসর্গ পেপটিক আলসারের প্রাথমিক লক্ষণ। আলসার শব্দের অর্থ ‘ক্ষত’। এই ক্ষত পরিপাকতন্ত্রের বিভিন্ন অংশে হতে পারে এবং তা থেকে পরবর্তী সময় জটিলতার সৃষ্টি হতে পারে। খাদ্যনালিতে অধিক মাত্রায় এসিড উৎপন্ন হলে এই রোগ হয়। তা ছাড়া ‘এইচ পাইলোরি’ নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থেকেও সংক্রমণ হতে পারে। এই সংক্রমণের ফলে ক্ষুদ্রান্ত্রের ভেতরে আলসার দেখা দিতে পারে। এই আলসার থেকে কিন্তু পরবর্তী সময় হতে পারে গুরুতর সমস্যা। তাই আলসার সম্পর্কে সচেতন হন শুরু থেকেই। আলসারের কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন–
l যদি প্রায়ই পেটের ওপরের ও মাঝের দিকে জ্বালা করে, কামড়ে ধরা ব্যথা হয়, তবে সতর্ক হতে হবে।
lগ্যাস্ট্রিক আলসারের ক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার দু-তিন ঘণ্টা পর পেটের ব্যথাটা বাড়ে। খাবার খাওয়ার পর যদি এমনটা প্রায়ই ঘটে, তা হলে তা আলসারের লক্ষণ হতে পারে।
lখাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পেটে ব্যথা বাড়লেও আপনার আলসার হয়ে থাকতে পারে। অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলে পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়।
lবুকজ্বালা করলে আমরা অনেক ক্ষেত্রেই স্বাভাবিক সমস্যা ভেবে এড়িয়ে যাই। ঘন ঘন এমনটা হওয়া কিন্তু আলসারের লক্ষণ।
lসারাক্ষণ গা গোলানো, বমি-বমি ভাবের সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই আলসার হয়েছে কিনা, পরীক্ষা করিয়ে নিন। পরিপাকতন্ত্রের আলসার কিন্তু প্রাণঘাতী হতে পারে। এই রোগের কারণে খাদ্যথলি বা খাদ্যনালিতে রক্তক্ষরণও হতে পারে। সে ক্ষেত্রে বমি কিংবা মলের সঙ্গে রক্ত বেরিয়ে আসে। এই রোগে বাড়াবাড়ি হলে খাদ্যথলি ফুটো হয়ে যেতে পারে। চিকিৎসা না করিয়ে ফেলে রাখলে এই আলসার থেকে সহজে মুক্তি মেলে না। অনেকেরই ধারণা– ঝাল, তেল, মসলাদার খাবার খেলেই আলসার হতে পারে। এই ধারণা ভুল। ঝাল বা মসলাদার খাবার আলসারের জন্য দায়ী নয়। তবে এই খাবার রোগের তীব্রতা কয়েক গুণ বাড়িয়ে তোলে। ধূমপান এবং মদ্যপানের অভ্যাস পরিপাকতন্ত্রে আলসারের আশঙ্কা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। কর্মব্যস্ত জীবনে কাজের চাপে আমরা খেতেও ভুলে যাই। দীর্ঘক্ষণ খালি পেটে থাকলেও কিন্তু শরীরে এই রোগ বাসা বাঁধার ঝুঁকি বাড়ে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথা উপশম করার ওষুধ খাওয়া বন্ধ করুন। ঘন ঘন ব্যথার ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস কিন্তু পেটের মধ্যে এই মারণরোগ ডেকে আনছে। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আলস র র ই আলস র এই র গ
এছাড়াও পড়ুন:
সারা দেশে পাঁচ দিন বজ্রসহ ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
সারা দেশে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। আর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বৃষ্টি হতে পারে আগামী পাঁচ দিন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. শাহীনুল ইসলামের দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
একইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আগামী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বিদ্যুৎ চমকানো/বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী পাঁচ দিনের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে।
এদিকে, ঢাকায় বুধবার বিকেল ৩টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ৩১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে নগরবাসী জীবনে স্বস্তি আসে। তবে টানা ৩ ঘণ্টার বৃষ্টি ভুগিয়েছে তাদের। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ঢাকায় এটি সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ