ঝড়-তুফানের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গেছে দোয়ারাবাজারের দোহালিয়া ইউনিয়নের মাদ্রাসায়ে নুরে মদিনা শিবপুর। এর পর সোমবার মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে খোলা জায়গায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান করেছেন শিক্ষকরা। গত শনিবার রাত ১১টার দিকে প্রচণ্ড ঝোড়ো হাওয়ায় মাদ্রাসাটি লন্ডভন্ড হয়। চালের টিন উড়ে যায়। ভেঙে যায় বেঞ্চসহ অন্য আসবাব।
স্থানীয়রা জানান, ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় প্লে-নার্সারি থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান হয়। শিক্ষার্থী আছে ৩৫০ জন। ১১ জন শিক্ষক দিয়ে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি দ্রুতই শিক্ষার পরিবেশ ও মান বজায় রেখে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
শিক্ষার্থী আদিলুর রহমান ফারহান বলেন, খোলা জায়গায় ক্লাস করলে নানা সমস্যা হয়। দ্রুত মাদ্রাসা সংস্কারের দাবি তার।
শিবপুর গ্রামের বাসিন্দা আইয়ুব আলী বলেন, দ্রুত সংস্কার না হলে সুষ্ঠুভাবে পড়াশোনা করানো সম্ভব হবে না। তিনি মাদ্রাসা সংস্কারে সরকারের পাশাপাশি বিত্তবানদের সহযোগিতা করার আহ্বান জানান।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মো.

সালাতুর রহমান বলেন, খোলা জায়গায় ক্লাস করালে শিক্ষার্থীদের যেমন সমস্যা হয়, তেমনি শিক্ষকদেরও কষ্ট হয়। প্রশাসনকে দ্রুত মাদ্রাসাটি পুনর্নির্মাণ করার আহ্বান জানান তিনি।
দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নেহের নিগার তনু বলেন, ঝড়-তুফানে মাদ্রাসা নুরে মদিনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। খোলা জায়গায় পাঠদান হচ্ছে জেনে খারাপ লাগছে। এলাকার লোকজন যোগাযোগ করলে প্রশাসন সাধ্যমতো সরকারি সহায়তা করার চেষ্টা করবে।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানে হামলায় অভিযুক্ত জাবির ২৮৯ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী বহিষ্কার

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ১৪ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় ২৮৯ জন অভিযুক্ত শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তারা সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় হামলা সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী পর্ষদ সিন্ডিকেট।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বহিষ্কৃত ছাত্রলীগের শিক্ষার্থীদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।  

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, বহিষ্কৃতদের তিন ক্যাটাগরিতে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেসব শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব শেষ তাদের সনদ স্থগিত করা হবে, যারা পরীক্ষা ও ভাইভা দিয়েছে তাদের ফলাফল স্থগিত করা হবে এবং নিয়মিত শিক্ষার্থীদের সাময়িক বহিষ্কার করা হবে। 

প্রসঙ্গত, আন্দোলন চলার সময় গত বছরের ১৪ জুলাই রাত ১১টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এবং একই দিন রাত ১২টার দিকে উপাচার্য ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ, ১৭ জুলাই বিকেল ৩টার সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য ১৯ সেপ্টেম্বর তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ১৭ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট প্রাথমিক প্রতিবেদন দাখিল করে।  
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ