চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের অনিয়ম তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গঠন করা কমিটির সামনেই কর্মচারীদের দুটি পক্ষের মধ্যে হট্টগোল ও হাতাহাতি হয়েছে। সোমবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। একটি পক্ষ হাসপাতালের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর, অন্যটি তাঁর প্রতিপক্ষের লোকজন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, লাইসেন্স ছাড়াই এক দশক ধরে কার্যক্রম পরিচালনাসহ নানা অভিযোগের বিষয়ে তদন্তে কাজ চলছিল। তদন্ত কমিটির সদস্যরা সোমবার হাসপাতালে উপস্থিত হলে তাঁদের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে একটি পক্ষ হাসপাতালের গেট বন্ধ করে দেয়। নিয়োগপত্র ছাড়াই হাসপাতালে কাজ করাকে কেন্দ্র করে বিবদমান এক পক্ষ আরেক পক্ষকে হুমকিও দেয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.

মজিবুর রহমান বলেন, তদন্তের সময় দুই পক্ষই হট্টগোল করছিল। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তদন্ত কমিটির প্রধান বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক অং সুই প্রু মারমা বলেন, ‘আমরা চাই এই প্রতিষ্ঠানটি সুন্দরভাবে পরিচালিত হোক। এ জন্য কিছু অভিযোগের তদন্ত করছি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: তদন ত ক কম ট র

এছাড়াও পড়ুন:

ফেসবুকে পোস্ট নিয়ে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের সংঘর্ষ, আহত ১৫

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপি-জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছে। সোমবার রাতে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বিএনপি সমর্থকদের অন্তত ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

স্থানীয় সূত্র জানায়, চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর গ্রামের জামায়াত সমর্থক মোহাম্মদ তারেক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০২০ সালে একটি ধর্ষণ মামলা হয়। সেই মামলার বিষয়ে ১৩ মার্চ একটি ফেসবুক পোস্ট করেন বিএনপি সমর্থিত হৃদয় নামের এক ব্যক্তি। সেই ফেসবুকের পোস্টকে কেন্দ্র করে ১৬ মার্চ প্রথমে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য সোমবার রাতে বৈঠক বসে। সেই বৈঠকে দুই পক্ষের প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ লোক জড়ো হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, সেখানে মীমাংসার পরিবর্তে দুই পক্ষই মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। এতে জামায়াতের ৮ জন আহত হয়। তাদের মধ্যে একজনকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে, তিনজনকে ফেনী হাসপাতালে এবং চারজনকে স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। অপরদিকে বিএনপির ৭ থেকে ৮জন কর্মী আহত হয়েছে। 

সেনাবাহিনীর টহল দল গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে। তাদের মধ্যে একজনকে চৌদ্দগ্রাম হাসপাতালে পাঠানো হয়। অপর আহতরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছে।

বিএনপি কর্মীদের অভিযোগ, জামায়াতের কর্মীরা তাদের কর্মীদের প্রায় ৩০ থেকে ৩৫টি বাড়ি ভাঙচুর করেছে।  

 চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিলাল উদ্দিন আহমেদ জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজন আহত হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কোন পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ