ফেনীতে থানা কম্পাউন্ডে পুলিশ কর্মকর্তার কক্ষ থেকে স্বর্ণালংকার ও টাকা চুরির ঘটনা ঘটেছে। ফেনী ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) আমানত উল্ল্যাহর কক্ষের স্টিলের ট্রাংক ভেঙে স্বর্ণালংকার ও টাকাসহ প্রায় আট লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে চোরের দল। আজ সোমবার সকালে ফেনী মডেল থানার পেছনের অংশে পুলিশ সদস্যদের থাকার ঘরে (যানবাহন কার্যালয়) এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ট্রাফিক পুলিশের উপপরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) আমানত উল্ল্যাহ বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থানরত আমার ছোট ভাই রমজান উপলক্ষে জাকাত দেওয়ার জন্য টাকা পাঠিয়েছিল। এ ছাড়া বিয়ের স্মৃতি হিসেবে স্ত্রীর স্বর্ণের চেইন ও আংটিসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সামগ্রী ট্রাংকে রাখা ছিল। সকাল ৭টার দিকে ডিউটির উদ্দেশ্যে কক্ষ থেকে বের হয়েছিলাম। দুপুর ১২টার দিকে ফিরে এসে কক্ষে থাকা ট্রাংক ভাঙা অবস্থায় দেখতে পেয়েছি। কক্ষে থাকা ৩ লাখ টাকা, দুটি স্বর্ণের চেইন, চারটি আংটি, একটি এলইডি টিভি ও একটি মোবাইলসহ মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়েছে।

এদিকে খবর পেয়ে দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আরিফুল ইসলাম সিদ্দিকী।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামসুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত পুলিশ সদস্যের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স বর ণ

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক এমপি ওয়াহেদসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 

ময়মনসিংহ-১১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) এম এ ওয়াহেদ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ছেলে রাহাত মালেকসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।  

সোমবার (১৭ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের পৃথক চার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য এম এ ওয়াহেদ, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের ছেলে রাহাত মালেকসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চারটি আবেদন করা হয়। আদালত আবেদনগুলো মঞ্জুর করে তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন।

নিষেধাজ্ঞা দেওয়া অন্যরা হলেন- সাবেক উপ সচিব মো. দিদারুল আলম চৌধুরী এবং জনৈক মোতাহের হোসেন চৌধুরী। 

এম এ ওয়াহেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন উপপরিচালক মোজাম্মিল হোসেন। আবেদনে বলা হয়, এম এ ওয়াহেদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। 

গোপন ও বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এম এ ওয়াহেদ এবং তার পরিবারের সদস্যদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে (ময়মনসিংহ, ঢাকা এলাকা ছাড়াও অন্যান্য এলাকায়) এবং দেশের বাইরে- পাপুয়া নিউগিনি, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে। এম এ ওয়াহেদ দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করে তাদের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। 

তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধানকার্য ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।

রাহাত মালেকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. ফজলুল হক দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। 

আবেদনে বলা হয়, জাহিদ মালেক ও রাহাত মালেকের বিরুদ্ধে দুদক মামলা দায়ের করেছে। রাহাত মালেক তার পিতার অবৈধ আর্থিক সহায়তায় অসৎ উদ্দেশ্যে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎস বহির্ভূত ১১ কোটি ৪৯ লাখ ৮৪ হাজার ১৬১ টাকার সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক ভোগদখলে রেখেছেন এবং ৫১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৬৬৩ কোটি ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ৬৯ টাকা লেনদেন করেছেন মর্মে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। 

রাহাত মালেক দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন মর্মে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন। একই আদালত জাহিদ মালেকেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন। 

দিদারুল আলম চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহমান। আবেদনে বলা হয়, দিদারুল আলম চৌধুরীর বিরুদ্ধে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অনুসন্ধান চলছে। 

অভিযোগ অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়, দিদারুল আলম চৌধুরী যে কোনো সময় দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিতকরণ করা প্রয়োজন।

মোতাহের হোসেন চৌধুরীর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞায় দুদকের সহকারী পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, মোতাহার হোসেনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ রয়েছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ বিদেশে পাচার করেছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

বিশ্বস্ত সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, দেশের বর্তমান বাস্তবতায় মোতাহার হোসেন দেশ ত্যাগ করতে পারেন মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএসইসিতে বিশৃঙ্খলার ঘটনায় প্রশাসনিক মামলা ও তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব
  • সাবেক এমপি ওয়াহেদসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা 
  • এক কর্মকর্তার বদলি ঠেকাতে খামারবাড়িতে সড়ক অবরোধ, যানজটে চরম ভোগান্তি
  • এক কর্মকর্তার বদলি ঠেকাতে এবার খামারবাড়ির ডিজির অপসারণ দাবি