জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। এ সময় গণ–অভ্যুত্থানে শহীদ দুই ব্যক্তির পরিবারকেও সহায়তা দেওয়া হয়।

সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের শিক্ষক লাউঞ্জে এক ইফতার মাহফিলে এ সহায়তা দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের নয়জন আহত শিক্ষার্থী এ সহায়তা পেয়েছেন।

আর্থিক সহায়তা পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সুমন মিয়া, দর্শন বিভাগের স্বপন মিয়া, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সাব্বির আহমেদ ও মুবাশিরুজ্জান হাসান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের মো.

মনসুর রহমান ও আশিকুর রহমান, ইনস্টিটিউট অব ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড ভালরানেবিলিটি স্টাডিজের (আইডিএমভিএস) ইশরাত জাহান এবং রসায়ন বিভাগের মোস্তাফিজুর রহমান ও মো. আরিফুল ইসলাম।

এ সময় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘জুলাই বিপ্ল‌বে নিহত ও আহত‌ ব্যক্তিদের ঋণ আমরা কখনো শোধ কর‌তে পার‌ব না। তা‌দের র‌ক্তের বি‌নিম‌য়ে আমরা স্বৈরাচার থে‌কে মুক্ত হ‌য়ে‌ছি। আমরা তা‌দের পা‌শে ছিলাম, সব সময় পা‌শে থাক‌ব।’

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক আবদুস সালাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. আবুল কালাম সরকার, কলা অনুষ‌দের ডিন অধ‌্যাপক মোহাম্মদ ছি‌দ্দিকুর রহমান খান, প্রক্টর মো. সাইফুদ্দিন, স্যার পি জে হার্টগ ইন্টারন্যাশনাল হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মহিউদ্দিন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ–উপাচার্য অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

দিনাজপুরে সাড়ে ৫৫০ বছরের পুরোনো মসজিদে নামাজে আসেন দূরদূরান্তের মুসল্লিরা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার চৌরগাছা গ্রামে আছে কয়েক শ বছরের পুরোনো মসজিদ। এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন দূরদূরান্তের মুসল্লিরা। প্রতিদিন বিভিন্ন জেলা থেকে দর্শনার্থীরা একনজর মসজিদটি দেখতে আসেন।

মসজিদ চত্বরের প্রধান ফটকের সামনে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটি সাইনবোর্ড আছে। সেখানে দেওয়া তথ্যমতে, এটি প্রায় ৫৫০ বছর আগের তৈরি মসজিদ। মুসলিম স্থাপত্যের নিদর্শন এ শুরা মসজিদ। এটি দেশের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা। সুলতানি আমলের এ মসজিদের নির্মাণকাল নিয়ে আছে নানা জনশ্রুতি। এ মসজিদকে কেউ সৌর মসজিদ, কেউ শুরা মসজিদ, আবার কেউ শাহ সুজা মসজিদ নামে চেনেন।

জনশ্রুতি আছে, জিনেরা এক রাতের মধ্যে মসজিদটি তৈরি করেছেন। তবে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, এটি ষোড়শ শতকের গৌড়ের সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহর আমলের (১৪৯৩-১৫১৮) নিদর্শন। আর এ তথ্যই এলাকার বেশির ভাগ মানুষের কাছে বেশি স্বীকৃত।

চার ফুট উচ্চতার মজবুত প্ল্যাটফর্মের ওপর চুন-সুরকি, ইট আর কালো পাথরের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে মসজিদের অবকাঠামো। মসজিদের দেয়ালে অসংখ্য খোপকাটা মৌলিক টেরাকোটার অলংকরণ। মসজিদটি প্রধানত দুটি অংশে বিভক্ত। পশ্চিমাংশে নামাজকক্ষ আর নামাজের কক্ষের পূর্ব পাশে বারান্দা। মসজিদের ওপর বর্গাকার এক গম্বুজবিশিষ্ট নামাজকক্ষ এবং পূর্ব ভাগে ছোট তিন গম্বুজবিশিষ্ট একটি বারান্দা আছে।

মসজিদে প্রবেশের জন্য পূর্ব দিকে তিনটি এবং উত্তর-দক্ষিণে একটি করে খিলানকৃত প্রবেশপথ আছে। বারান্দার উভয় পাশে আছে একটি করে প্রবেশপথ। এর ভেতরের অংশে কিবলা দেয়ালে আছে পাথরের তৈরি অলংকৃত কারুকাজে ৩টি অবতল মিহরাব। আর বাইরে দেয়ালের গায়ে দুই সারি ইটের প্যানেল নকশা। মসজিদের ভেতর-বাইরের দেয়াল এবং মিহরাবে অলংকৃত আছে ফুলের টেরাকোটা, যা সমসাময়িক সুলতানি আমলের মসজিদ স্থাপত্যে দেখা যায়।

গাইবান্ধা জেলা থেকে শুরা মসজিদ নামাজ পড়তে এসেছেন সরকারি চাকরিজীবী মনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘শুনেছি, প্রতি শুক্রবার দূরদূরান্ত থেকে এখানে লোকজন আসেন। তাঁরা বিভিন্ন মানত করতে আসেন। আমারও ইচ্ছা, বিরল কৃতিত্বের এই মসজিদে নামাজ পড়ব; নিজের জন্য, আত্মীয়স্বজন ও মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করব।’

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, মসজিদটি ষোড়শ শতকের গৌড়ের সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহর আমলের নিদর্শন

সম্পর্কিত নিবন্ধ