চাঁদের আলোয় মখমলি হাওয়া আর সুস্বাদু খাবারের মেলবন্ধন হতে যাচ্ছে ১৮ ও ১৯ মার্চ। রাজধানীর গুলশানের আলোকি কনভেনশন সেন্টারে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে ‘মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১’ নামের বিশেষ আয়োজন। এ আয়োজন করেছে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস।

বিশেষ এই আয়োজনে খাবার আর বিনোদনের নানা ব্যবস্থা থাকছে। ভোজনরসিকেরা উপভোগ করতে পারবেন প্রচলিত সব খাবারের পাশাপাশি সিজলিং বারবিকিউ, ধোঁয়া ওঠা গরম কাবাব আর গ্রিল, ভিন্ন স্বাদের বাহারি সব স্ট্রিট ফুড, রঙিন সব মিষ্টি, গরম ও ঠান্ডা পানীয়। এখানে ইফতার ও সাহ্‌রির বিশেষ আয়োজনও থাকছে। এখানে একই ছাদের নিচে ৪০টিরও বেশি দেশি-বিদেশি সব রেস্তোরাঁ ও ফুড ব্র্যান্ডকে একসঙ্গে আনা হয়েছে।

এ আয়োজন শুধু খাবারের উৎসব নয়। এখানে বিনা মূল্যে আকর্ষণীয় সব বিনোদনের ব্যবস্থাও রেখেছে অ্যানেক্স কমিউনিকেশনস। প্রাঙ্গণজুড়ে থাকবে হাজারো স্বাদের সমারোহ আর দারুণ সব আয়োজন। মুনলাইট ফেস্টিভ্যালে খাবারের পাশাপাশি থাকবে মেহেদি কর্নার, ক্লে স্টেশনের মতো আয়োজন।

জনপ্রিয় স্ট্যান্ডআপ কমেডিয়ান মেহেদি তরু ও তাহসিন এম খানের পারফরম্যান্স ও ফায়ার স্পিনিং শো থাকছে। এ ছাড়া জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনফ্লুয়েন্সারও যোগ দেবেন। মুনলাইট ফেস্টিভ্যাল সিজন ১–এর আয়োজন সরাসরি সম্প্রচারে যুক্ত থাকবেন জনপ্রিয় ফ্যাশন মডেল বুশরা কবির। আরও উপস্থিত থাকবেন জনপ্রিয় সব ফুড ভ্লগার ফাবিহা নওশীন, ইফরীত তাহিয়াসহ অনেকেই। শিশুদের জন্যও থাকবে খেলাধুলার ব্যবস্থা।

উৎসবে স্পনসর হিসেবে থাকছে ফুডেলা, আল–আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, আশিয়ান সিটি এবং বেভারেজ স্পনসর হিসেবে থাকছে পার্টেক্স স্টার গ্রুপের মাম।
উৎসব শুরু হবে বিকেল ৪টা থেকে। চলবে ভোর ৪টা পর্যন্ত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জনপ র য়

এছাড়াও পড়ুন:

শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত

প্রকৃতি থেকে বসন্ত বিদায় নিচ্ছে। আসছে গ্রীষ্ম। বসন্তের বিদায়বেলায় বিস্তৃত সবুজ শাল-গজারি বনে বাসন্তী রং ছড়াচ্ছে হলদে শাল-গজারি ফুল। গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে এখন বসন্তের এই রং উৎসব চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর, গাজীপুর সদরের একাংশ, কাপাসিয়ার একাংশ ও কালিয়াকৈর উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলছে এই রঙের উৎসব।

শ্রীপুরের কর্ণপুর থেকে বরমী কিংবা হায়াতখার চালা থেকে গোসিংগা আঞ্চলিক সড়কের মতো অনেকগুলো সড়ক ভ্রমণ এখন যে কাউকে এক ব্যতিক্রমী বসন্তের অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে এ সময় মাওনা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াতের সড়কপথের পুরোটাই ফুলে ছেয়ে থাকে। এসব সড়কে ভ্রমণ করলে দেখা যায়, দুই পাশে শুকনা পাতার ওপর ছড়িয়ে আছে কাঁচা হলুদ রঙের শাল-গজারি ফুল। সঙ্গে আছে মোহনীয় গন্ধ।

শাল-গজারি বনের কোনো একটি গাছের মাথায় উঠে চারদিকে তাকালে মনে হবে, বনের গাছপালার ওপর কেউ যেন হলুদ রঙের মাদুর বিছিয়ে রেখেছে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছিসহ নানা কীটপতঙ্গ। পাখিদের ওড়াউড়িতে বনজুড়ে যেন এক মহোৎসব চলছে। পাখির ডানা ঝাপটানো কিংবা হঠাৎ একটু দমকা বাতাসে গাছ থেকে নিচে ঝরে পড়ে হলুদ শাল-গজারি ফুল। বসন্তে গাছের সব পাতা ঝরে যাওয়ার পর গাছে থাকা হলুদ ফুলগুলো এক অনন্য সৌন্দর্য ছড়ায়।

প্রতিবছর বসন্তের মাঝামাঝি থেকে শাল-গজারিগাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর গাছ থেকে অপরিণত অবস্থায় বেশির ভাগ ফুল নিচে ঝরে পড়ে। থেকে যাওয়া ফুলগুলো বড় হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব ফুল পরিণত হয়ে যায়। তখন এর রং হয় কিছুটা বাদামি।

পরিণত ফুলের আবার অন্য রকম সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য আছে। এসব ফুলের এক পাশে থাকে বীজ। আর অন্য পাশে ফুলের পাপড়ির মতো ছড়ানো বড় বড় পাতলা পাপড়ি। একসময় গাছ থেকে বীজসহ এসব ফুল ঝরে পড়ে। তখন বীজের এক পাশে থাকা পাপড়ির মতো অংশ বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে এলোমেলোভাবে দূরদূরান্তে বীজগুলোকে ছড়িয়ে দেয়।

বসন্তের এ সময় শাল-গজারি বনে বিভিন্ন ফুল ফোটে। এগুলোর মধ্যে আছে কনকচাঁপা, জারুল, শিমুল, শেফালি, শিরীষ, মান্দার, কামিনী, অতসী, দাঁতরাঙা, কাঞ্চন, বেলি, শটি, রঙ্গনসহ নানা ফুল।

শাল-গজারি বনের বর্ণিল বিভা বসন্তের সৌন্দর্যে যোগ করে নতুন মাত্রা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়েই পথ চলতে হবে
  • জাতির আসল পরিচয় তার সংস্কৃতি
  • দেশজুড়ে মেলার উৎসব-উদ্দীপনা
  • সংগীতের আবহে উৎসব
  • চৈত্র সংক্রান্তিতে বেরোবিতে ঘুড়ি উৎসব আয়োজিত
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, শিকড়ে ফেরা, রঙে রাঙানো একদিন
  • নতুন প্রেমিকার হাত ধরে ম্যাকাও উৎসবে আমির খান
  • সেইলরের বৈশাখ আয়োজন
  • বান্দরবানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সাংগ্রাই শুরু
  • শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত