ক্যাম্পাসে সাংবাদিকরা সবচেয়ে বেশি ট্যাগিংয়ের শিকার হয় বলে মন্তব্য করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান।

তিনি বলেছেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকেরা অন্যদের থেকে ব্যতিক্রম। তারা যেকোনো অবস্থায় সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করেন। জুলাই আন্দোলনে আমরা সাংবাদিকদের অসীম সাহসী ভূমিকা দেখেছি। কিন্তু এই সাংবাদিকরাই ক্যাম্পাসে সবচেয়ে বেশি ট্যাগিংয়ের শিকার হয়। আমিও ট্যাগিংয়ের শিকার হই, কিন্তু সেটা সাংবাদিকদের থেকে কম।”

সোমবার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে জাবি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

জাবির সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের স্থায়ী ভবন দাবি

জাবিতে শিবিরের ইফতারে শিক্ষার্থীদের ঢল

তিনি বলেন, “কারো বিরুদ্ধে নিউজ হলেই তারা সাংবাদিকদের অপমান-অপদস্তসহ ট্যাগ দেওয়া শুরু করেন। কিন্তু তবুও তারা সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে তৎপর থাকে। এটা আমাকে খুবই অনুপ্রাণিত করে।”

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, উপ-উপাচার্য  (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো.

আব্দুর রব, প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা অধ্যাপক শফি মুহাম্মদ তারেক প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন মোহাম্মদ বাবর, সদস্য সচিব ওয়াসিম আহমেদ অনিক, ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহিবুর রহমান মুহিব, গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম, গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু, ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমন প্রমুখ।

অতিথিদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রেসক্লাবের সভাপতি ওয়াজহাতুল ইসলাম বলেন, “মাহে রমজানের মহান উপলক্ষকে সামনে রেখে জাবি প্রেসক্লাব এ ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে। প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সব সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের যে মিলনমেলা সৃষ্টি হয়েছে, তা উদাহরণ হয়ে থাকবে। আশা করি, আপনাদের সবার সহযোগিতায় প্রেসক্লাব বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় অনেকদুর এগিয়ে যাবে।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নয়ন চন্দ্র দাস (২৬) নামে এক নববিবাহিত যুবককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহরণকারীরা তার মুক্তির জন্য ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে এবং বিষয়টি পুলিশ বা অন্য কারও কাছে জানালে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দিয়েছে।

রোববার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। প্রকাশ্যে বাজার থেকে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণের ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আলম সমকালকে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে নয়ন দাস নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পেয়েছেন তারা। কয়েকটি সূত্র ধরে অপহরণকারীদের খোঁজার চেষ্টা চলছে। তবে এটি অপহরণ নাকি অন্য কোনো ঘটনা, তা জানতে পুলিশ পেশাদারিত্বের সঙ্গে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।

অপহৃত যুবকের মা রত্না রানী দাস বলেন, আমার ছেলে মাত্র ১০ দিন আগে বিয়ে করেছে। তার একটি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান আছে। প্রতিদিনের মতো রোববার সকালে দোকানে যাওয়ার পরপরই কিছু অপরিচিত লোক মাইক্রোবাস নিয়ে সেখানে আসে। নয়নের নাম জানতে চেয়ে তারা দোকানের ঠিকানা নিশ্চিত করে। এরপর দোকানে গিয়ে নয়নকে গাড়িতে করে নিয়ে যায়। তারপর থেকেই সে নিখোঁজ।

নয়নের বাবা জানান, রোববার রাত ১০টার দিকে অপহরণকারীরা ফোন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। টাকা সোমবার সকালের মধ্যে দিতে হবে, নইলে নয়নকে আর ফিরিয়ে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়।

ফান্দাউক ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আলমগীর শাহ বলেন, প্রকাশ্যে বাজার থেকে একজন ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়েছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা দ্রুত নয়নকে উদ্ধার ও অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ বলছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামীম মোল্লা হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচজনকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার
  • জুলাই আন্দোলনে হামলায় জড়িত অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ শিক্ষক বরখাস্ত
  • দোকান থেকে ডেকে নিয়ে যুবককে অপহরণ, ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
  • হলে হলে জাবি ছাত্রদলের ইফতার