আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর পান্থপথ ও নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু সড়কে যান চলাচলে নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। বিভিন্ন বিপণিবিতানে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা নগরবাসী ও এসব এলাকা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের সুবিধার্থে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন বিপণিবিতানকেন্দ্রিক কেনাকাটার জন্য বিপুল জনসমাগম হচ্ছে। নগরবাসীর ঈদ কেনাকাটার সুবিধার্থে কেনাকাটা ছাড়া অন্যান্য যানবাহনকে ২১ ও ২২ মার্চ এবং ২৬ মার্চ থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিন বেলা ১টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্ন মার্কেটসংলগ্ন রাস্তা যথাসম্ভব পরিহার করে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে। বিকল্প পথগুলো হলো—

সোনারগাঁও ক্রসিং থেকে পান্থপথ (বীর উত্তম কাজী নুরুজ্জামান সড়ক) হয়ে পান্থপথ এলাকা/ নিউমার্কেট এলাকা/ ধানমন্ডি/ মোহাম্মদপুর/ জিগাতলা/ মিরপুরগামী যানবাহনগুলোকে ফার্মগেট বা শাহবাগের দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে।

পান্থপথ–গ্রিনরোড ক্রসিং থেকে সোনারগাঁও ক্রসিংগামী যানবাহনগুলোকে (পান্থপথে ইউটার্নকারী যানবাহনসহ) গ্রিন রোডে/ রাসেল স্কয়ার বা ফার্মগেটের দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে।

মিরপুর রোড ও ধানমন্ডি থেকে আসা সায়েন্সল্যাব ইন্টারসেকশন হয়ে নিউমার্কেটগামী যানবাহনগুলোকে (সিটি বাস ছাড়া) সায়েন্স ল্যাব ক্রসিং থেকে বাঁয়ে মোড় নিয়ে এলিফ্যান্ট রোড বা কাঁটাবন রোড অথবা পলাশী ক্রসিং হয়ে চলাচলের জন্য ডাইভারশন দেওয়া হবে।

নিউমার্কেট ক্রসিং-এ নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে মিরপুর সড়কগামী যানবাহনগুলোকে (সিটি বাস ছাড়া) নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে নীলক্ষেত ক্রসিং বা আজিমপুর ক্রসিং বা নিউমার্কেট-পিলখানা সড়কের দিকে ডাইভারশন দেওয়া হবে।
ডিএমপি আরও জানিয়েছে, নিউমার্কেট ক্রসিং থেকে সায়েন্সল্যাব ক্রসিং পর্যন্ত মিরপুর রোডের দুই পাশে রিকশা চলাচলের জন্য আলাদা লেন (যে লেন দিয়ে কমপক্ষে তিনটি রিকশা পাশাপাশি চলতে পারবে) তৈরি করা হচ্ছে। রিকশাচালক ও যাত্রীদের ওই লেনে চলাচল করতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।

পান্থপথ ও মিরপুর রোডে নিউমার্কেটের সামনে দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে ডাইভারশন এবং মিরপুর রোডের নিউমার্কেট এলাকায় রিকশা লেন মেনে চলাচল করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ সবার সহযোগিতা কামনা করছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ড এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

আরএসএসকে ‘বিষ’ বলে উল্লেখ করলেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার

রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (আরএসএস) সম্পর্কে নিজের মন্তব্য থেকে এক চুলও সরতে নারাজ মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার গান্ধী। গতকাল শুক্রবার তিনি বলেছেন, আরএসএসের আচরণ তাঁকে আরও দৃঢ় করে তুলেছে। তারা কত বড় বিশ্বাসঘাতক, তা আরও জোরালোভাবে তিনি প্রমাণ করবেন।

সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে আরএসএসকে ‘বিষ’ বলে অভিহিত করেছিলেন তুষার। সেই মন্তব্যের জন্য আরএসএস তাঁকে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেছিল। বলেছিল ওই মন্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে। কিন্তু তুষার বলেছিলেন, ‘আমি তা করি না, করবও না। বরং তাদের আচরণ আমাকে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করেছে বিশ্বাসঘাতকদের চরিত্র উদ্‌ঘাটনে।’

মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র বলেছিলেন, ‘এই লড়াই স্বাধীনতা সংগ্রামের চেয়েও বেশি জরুরি। আমাদের শত্রু এখন একটাই। সেই শত্রুর মুখোশ খুলে দেওয়া দরকার।’

এ সপ্তাহে কেরালার তিরুবনন্তপুরম জেলার নেয়াট্টিনকারায় বিশিষ্ট গান্ধীবাদী গোপীনাথন নায়ারের এক আবক্ষ মূর্তির উন্মোচন উপলক্ষে তুষার গান্ধী বলেছিলেন, ‘বিজেপিকে আমরা পরাজিত করতে পারব। কিন্তু আসল বিষ হলো আরএসএস। তারা এই দেশের মন ও আত্মা বিষিয়ে দিতে চাইছে। এটাই আমাদের ভয়। মন ও আত্মা বিষিয়ে গেলে কিছুই আর অবশিষ্ট থাকবে না।’

ওই মন্তব্যের পর আরএসএস ও বিজেপির কর্মী সমর্থকেরা জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ দেখান। তাঁরা তুষার গান্ধীর গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেছিলেন। রাজ্যের শাসক সিপিএম ও বিরোধী দল কংগ্রেস বিজেপি–আরএসএসের ওই আচরণের নিন্দা করেছিল।

সেই বিক্ষোভের পর গতকাল শুক্রবার তুষার গিয়েছিলেন কোচির কাছে আলুভা নামে এক জায়গায়, যেখানে ইউনিয়ন খ্রিষ্টান কলেজে এক শ বছর আগে গান্ধীজি গিয়েছিলেন। সেই ঘটনার শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তুষার গান্ধী তাঁর বলা ‘বিষ’–এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, আরও দৃঢ়ভাবে তিনি আরএসএসের মোকাবিলা করবেন। তাদের চরিত্র উদ্‌ঘাটন করবেন।

তুষার গান্ধী বলেছিলেন, গান্ধীজির হত্যাকারীর উত্তরসূরিরা এবার হয়তো তাঁর মূর্তি আক্রমণ করবে। তিনি বলেছিলেন, ‘আমার ভয় হয়, এবার হয়তো তারা আমার প্রপিতামহের মূর্তিতে গুলি ছুড়বে। তারা স্বভাবগত অপরাধী।’

তুষার গান্ধীর মন্তব্যের প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার রাজ্যের নানা জায়গায় বিজেপি–আরএসএসের কর্মীরা সক্রিয় বিক্ষোভ দেখায়। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন বলেছিলেন, ওই বিক্ষোভ দেশের গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার বিরুদ্ধে।

বিজেপি–আরএসএসের বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ওরা মানুষের বাক্‌স্বাধীনতা হরণ করতে চায়। গণতান্ত্রিক সমাজে তা হতে দেওয়া যায় না। এর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই আরও বলেছিলেন, গান্ধীজির হত্যাকারী ও এখনকার বিক্ষোভকারীদের মনোভাব এক এবং অভিন্ন। এর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকেই রুখে দাঁড়াতে হবে।

বিরোধী নেতা কংগ্রেসের ভি ডি সতীশন এই প্রসঙ্গে বলেছেন, আরএসএস–বিজেপির বিক্ষোভ মহাত্মা গান্ধীর অবমাননা। রাজ্য সরকারের উচিত এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া।

সতীশন বলেন, ‘তুষার গান্ধী ভুল কিছু বলেননি। আরএসএস ক্যানসার। দেশের শরীর ও মনে এই ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ছে। তুষার সত্য কথাই বলেছেন। তাই, তাঁকে আক্রান্ত হতে হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ১৭টি ফেরি ও ২০টি লঞ্চ চলাচল করবে
  • ২৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়
  • ঈদ ও স্বাধীনতা দিবস ঘিরে নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই: স্বরাষ্ট্র সচিব
  • যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে জেমসের কনসার্ট
  • ঈদ উপলক্ষে বাটায় আকর্ষণীয় ছাড় ও অফার
  • আরএসএসকে ‘বিষ’ বলে উল্লেখ করলেন মহাত্মা গান্ধীর প্রপৌত্র তুষার
  • বেনাপোল বন্দরে আজ আমদানি-রপ্তানি বন্ধ