ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজ (৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে জানিয়ে এর নিন্দা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন (এমএসএফ)।

আজ সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমএসএফ বলেছে, গত শনিবার হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজকে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই দিন সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর পরিবারের দাবি, জামিনে থাকা সত্ত্বেও ডিবি পুলিশ হাসপাতাল থেকে তাঁকে ধরে নিয়ে যায় এবং তাদের হেফাজতেই এজাজের মৃত্যু হয়। অন্যদিকে ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ শাখার উপকমিশনার মোহাম্মদ তালেবুর রহমান।

বিজপ্তিতে এজাজের মৃত্যু নিয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি তুলে ধরা হয়। বলা হয়, তিনি (তালেবুর রহমান) বলেছেন, এজাজ ডিবি হেফাজতে মারা যাননি। কিছুদিন আগে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বের হন এজাজ। এর পর থেকে তিনি ধানমন্ডির জাপান–বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘রেফার’ করেন। শনিবার ভোররাত ৪টা ৪০ মিনিটে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান এজাজ। যেহেতু তাঁর নামে মামলা রয়েছে, তাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশ উপস্থিত ছিল।

এমএসএফ মনে করে, ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়ে যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন, তা  গ্রহণযোগ্য নয়। পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগের বিষয়টি পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি রাখে, কারণ রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা অবস্থায় মৃত্যু জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করে। রাষ্ট্রীয় হেফাজতে থাকা যেকোনো ব্যক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করা পুলিশের আইনি দায়িত্ব।

এমন অবস্থায় এজাজের মৃত্যু নিয়ে পরিবার থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটনে অনতিবিলম্বে নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানিয়েছে এমএসএফ।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: অবস থ য়

এছাড়াও পড়ুন:

রংপুরে পুলিশের সেই উপকমিশনার শিবলী প্রত্যাহার

ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ও থানায় মামলা করতে আসা ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় রংপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ শিবলী কায়সারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শনিবার রংপুর মহানগর পুলিশ থেকে তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদরদপ্তরে সংযুক্ত করা হয়। 

পুলিশ সদর দপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) কাজী মো. ফজলুল করিমের সই করা চিঠিতে রোববারের মধ্যে তাকে যোগদান করতে বলা হয়েছে। 

শনিবার রংপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (অপরাধ) হাবিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে রংপুরের স্থানীয় ব্যবসায়ী লিপি খান ভরসা উপকমিশনার শিবলীর বিরুদ্ধে মামলা করতে বৃহস্পতিবার তার ম্যানেজার পলাশ হাসানকে মহানগর কোতোয়ালি থানায় পাঠান। এ সময় পলাশকে থানাতেই পেটান পুলিশের ওই কর্মকর্তা। শনিবার সমকালে ‘রংপুরে পুলিশের উপকমিশনারের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
 
লিপি খান ভরসার অভিযোগ, গত ১৩ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি মামলায় আসামি হন তিনি। এ মামলা থেকে নাম বাদ দিতে রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের পরিচালক অমিত বণিকের মাধ্যমে তার কাছে ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন উপ-কমিশনার শিবলী। 

গত ১১ মার্চ উপ-কমিশনার শিবলীর বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির কথা জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর, মহানগর পুলিশ কমিশনার ও সেনাবাহিনীর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন লিপি খান। এ অভিযোগে শুক্রবার সকালে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে উপকমিশনার (অপরাধ) থেকে বদলি করে উপকমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস)-এর দায়িত্ব  দেওয়া হয়।


 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রংপুরে পুলিশ কর্মকর্তার ‘ঘুষ–বাণিজ্যের মাধ্যম’ অমিত বণিক দুই দিনের রিমান্ডে
  • রংপুরে পুলিশের উপকমিশনারের বিরুদ্ধে ঘুষ–বাণিজ্যের অভিযোগ করা ব্যবসায়ী হত্যাচেষ্টা মামলায় কারাগারে
  • পুলিশের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ তুলে আলোচনায় আসা ব্যবসায়ী লিপি খান গ্রেপ্তার
  • রংপুরে ঘুষ–বাণিজ্যের অভিযোগ করা সেই ব্যবসায়ী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার
  • রংপুরে পুলিশের সেই উপকমিশনার শিবলী প্রত্যাহার