পাকিস্তানের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে কারফিউ জারি
Published: 17th, March 2025 GMT
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলায় কারফিউ জারি করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত জেলাটিতে জনসাধারণের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে গতকাল রোববার কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন।
কয়েক দিন ধরে উত্তর ও দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। কারফিউ জারির মাত্র তিন দিন আগে একটি তল্লাশিচৌকিতে সশস্ত্র হামলাকারীদের আক্রমণ নস্যাৎ করে দিয়েছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। ওই ঘটনায় ১০ হামলাকারী নিহত হয়েছিল। এর আগে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানের জানদোলা এলাকায় আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে।
এর এক দিন পর দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে একটি মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছিল, ওই বিস্ফোরণে রাজনৈতিক দল জামিয়াত উলেমা ইসলাম–ফজলের (জেইউআই–এফ) জেলা আমিরসহ অন্তত চারজন আহত হন।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে সশস্ত্র হামলা বৃদ্ধি পেতে দেখা গেছে। গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (পিআইসিএসএস) তথ্য অনুযায়ী, ওই মাসে হামলার সংখ্যা আগের মাসের চেয়ে ৪২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল।
পিআইসিএসএসের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি মাসে পাকিস্তানজুড়ে অন্তত ৭৪টি সশস্ত্র হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলায় ৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩৫ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ২০ জন বেসামরিক মানুষ ও ৩৬ জন সশস্ত্র হামলাকারী ছিলেন। এ ছাড়া ৫৩ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, ৫৪ বেসামরিক লোকজন ও ১০ জন সশস্ত্র হামলাকারী আহত হন।
জানুয়ারিতে পাকিস্তানে সবচেয়ে বেশি সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে। এরপরই রয়েছে বেলুচিস্তান। পিআইসিএসএসের পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ওই মাসে খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে বিভিন্ন জেলায় ৪৬টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর বেলুচিস্তানে অন্তত ২৪টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
যবিপ্রবিতে ভুয়া বেতন বিল তৈরি অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) অর্থ কেলেঙ্কারির অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
অভিযোগে আউটসোর্সিং জনবল হিসেবে কর্মরত পাঁচজন অনুপস্থিত কর্মচারীর নামে ভুয়া বেতন বিল তৈরি ও সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি ‘বিএসএস’ এর সঙ্গে অবৈধ আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে জানা গেছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) যবিপ্রবি রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আহসান হাবীব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, যবিপ্রবিতে আউটসোর্সিং জনবল হিসেবে কর্মরত অনুপস্থিত পাঁচজন কর্মচারীর তিন মাসের ভুয়া বেতন বিল তৈরি ও সিকিউরিটি সার্ভিস কোম্পানি ‘বিএসএস’ এর সঙ্গে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ উঠে যবিপ্রবির ডেপুটি রেজিস্ট্রার (স্টেট ও নিরাপত্তা শাখা) মো. জাহাঙ্গীর কবিরের বিরুদ্ধে।
এছাড়া গত মাসের বেতন শিটে কর্মচারীদের স্বাক্ষরে গড়মিল থাকায় অডিট আপত্তি জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিট সেল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
তদন্ত কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এস এম নুর আলমকে আহ্বায়ক ও সহকারী রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ রিয়াজুল হককে সদস্য সচিব করা হয়েছে ।
এছাড়া কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন, মুন্সী মেহেরুল্লাহ হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রউফ সরকার এবং তাপসী রাবেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক ড. নাজনীন নাহার।
ঢাকা/ইমদাদুল/মেহেদী