কিশোরের বিরুদ্ধে ৫ বছরের শিশুকে ‘ধর্ষণ চেষ্টার’ অভিযোগ
Published: 17th, March 2025 GMT
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের একটি গ্রামে পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ১৩ বছরের এক কিশোরের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীর বাবা।
ভুক্তভোগীর বাবা জানান, সোমবার (১৭ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে বাড়ির পাশে খেলা করছিল তার মেয়ে। এ সময় ফুঁসলিয়ে মেয়েকে একটি ঘরে নিয়ে যায় ওই কিশোর। সেখানে সে তার মেয়েকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
মেয়ে চিৎকার দিলে ভয়ে ওই কিশোর পালিয়ে যায়। পরে বাড়িতে এসে মেয়েটি পরিবারকে বিষয়টি জানায়। এরপর তিনি থানায় গিয়ে অভিযোগ করেন।
আরো পড়ুন:
তাজকীর হত্যার রহস্য উন্মোচন করল পুলিশ
৮ মাসের শিশুর হাত-পা ভেঙে দিলেন মা
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, “ভিকটিম শিশুটির বাবা অভিযোগ দিয়েছেন। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কঙ্গোতে আগুন লেগে নৌকাডুবি, অন্তত ১৪৮ প্রাণহানি
মধ্য আফ্রিকার দেশ ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক (ডিআর) কঙ্গোতে একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকায় আগুন লেগে ডুবে যাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১৪৮ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে কঙ্গো নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্সের।
ডিআর কঙ্গোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, আগুন লাগার সময় নৌকাটিতে নারী ও শিশুসহ পাঁচ শতাধিক যাত্রী ছিলেন। পুলিশ ও উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এইচ বি কঙ্গোলো নামের সেই ইঞ্জিনচালিত নৌকাটি মাতানকুমু বন্দর থেকে বোলোম্বা অঞ্চলের দিকে যাচ্ছিল। পথে এমবানদাকা এলাকায় পৌঁছানোর পর নৌকাটিতে আগুন ধরে যায় এবং অল্প সময়ের মধ্যেই সেটিতে ডুবে যায়।
কঙ্গোর নদী পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কম্পেটেন্ট লোয়োকো অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, নৌকার ডেকে এক নারী রান্না চড়িয়েছিলেন। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
ডুবে যাওয়া সেই নৌকাটি থেকে প্রায় ১০০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। তাদের মধ্যে যাদের আগুনে পোড়ার ক্ষত রয়েছে, তাদেরকে পাঠানো হয়েছে হাসপাতালে।
কঙ্গোতে নৌকাডুবি বিরল কোনো দুর্ঘটনা নয়। কারণ গণপরিবহন হিসেবে সেখানে যেসব নৌকা ব্যবহৃত হয়, সেগুলোর অধিকাংশই পুরনো ও ত্রুটিযুক্ত। আবার অনেক সময় ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী বা মালপত্র বোঝাই করে নৌকাগুলো।
২০২৪ সালে কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলে কিভু হ্রদে একটি নৌকা ডুবে নিহত হয়েছিলেন ৭৮ জন। একই বছর ডিসেম্বরে পশ্চিমাঞ্চলে নদীতে নৌকাডুবে নিহত হন অন্তত ২২ জন।