সোনারগাঁয়ে শিশু সন্তানের হাত-পা ভেঙে পালালেন পাষন্ড মা
Published: 17th, March 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে সাদিপুর ইউনিয়নে আট মাসের শিশু সন্তানের দুই হাত ও একটি পা ভেঙে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে পাষন্ড মায়ের বিরুদ্ধে। রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে শিশুর বাবা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সাদিপুর ইউনিয়নের আন্দার মানিক গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে আশরাফুলের সঙ্গে পাঁচ বছর আগে জামপুর ইউনিয়নের শেখের হাট গ্রামের আবুল সরদারের মেয়ে সুরিয়ার বিয়ে হয়।
সংসার জীবনে সামির আহমেদ (৪) ও সিজান আহমেদ (৮ মাস) নামের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। গত ১৩ মার্চ আট মাসের সন্তান সিজান আহমেদের দুটি হাত ও বাম পা ভেঙে বাবার বাড়ি পালিয়ে যায়।
শিশুটির বাবা আশরাফুল বলেন, ছোটখাটো যে কোনো বিষয় নিয়ে একটু তর্ক বিতর্ক হলেই আমাকে মারতে দা-বঁটি নিয়ে কয়েকবার আক্রমণ করে এবং তার মাকেও মারধর করে।
দুটি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে কিছু বলি না। এখন দেখি সুযোগ পেলে আমার সন্তানদের মরেও ফলতে পারে। তাই আমাদের নিরাপত্তার জন্য সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
তিনি আরও বলেন, রাতের বেলা প্রায়ই আমার স্ত্রী ঘর থেকে বেরিয়ে কয়েক ঘণ্টা পর ফিরে আসত। ছেলেদের সঙ্গে প্রায়ই কথা বলত। এ নিয়ে অনেকবার তাকে সাবধান করা হয়েছিল। অসহ্য যন্ত্রণার কারণে সে দিনরাত ঘুমাতে পারছে না। আমার সন্তান আমাকে ছাড়া কারো কাছেই থাকছে না।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রতিবেশী বলেন, মেয়েটির আচরণ খুবই খারাপ। স্বামী ও শাশুড়ির সঙ্গে প্রতিদিনই ঝগড়া করে কিন্তু ােট্ট সন্তানের হাত-পা ভেঙে সে মা জাতিকে কলঙ্কিত করেছে। বাচ্চার কান্নায় আমাদের চোখে এমনিতে কান্না চলে আসে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মা পালিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোহাম্মদ আব্দুল বারী বলেন, এ বিষয়ে শিশুটির বাবা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। শিশুটির প্রতি অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
সংবাদ প্রকাশের জেরে তাণ্ডব থেকে বাদ, নায়িকা বললেন অপেশাদার আচরণ
সম্প্রতি অপেশাদার আচরণের মুখে পড়েছেন অভিনেত্রী নিদ্রা দে নেহা। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন তিনি। যে স্ট্যাটাসে অভিনেত্রী অভিনয় ছাড়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন। সে ইঙ্গিতের সূত্র ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ করলে নেহা জানান, অভিনয় ছাড়ার ঘোষণা নয়। পুরোপুরি পেশাদার না হলে তাদের সঙ্গে কাজ না করার ইঙ্গিতই দিয়েছেন তিনি। কাউকে বিষয়টি ভুল ব্যাখ্যা না করতেও অনুরোধ জানিয়েছেন।
কিছুদিন আগে তান্ডব সিনেমায় শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করার খবর আসে তার। সে খবরটি প্রকাশের পরই সিনেমায় থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে তাকে। সিনেমাটিতে একদিনের শুটিংয়েও অংশ নিয়েছিলেন তিনি। এভাবে বাদ দেওয়াটাকে অপেশাদার আচরণ বলেই মন্তব্য অভিনেত্রীর।
নেহা বললেন, ছবিটির নাম আমি আর বলতে চাইছি না। একদিন শুটিংও করেছি। আমার বাবা ক্যানসারের রোগী। চিকিৎসার জন্য তাকে মুম্বাই নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজটির জন্য আমি সব বাদ দিই। ফ্লাইটের টিকিট বাতিল করে তাদের মে পর্যন্ত টানা দুই মাসের ডেট দিই। ঈদের আগে একদিন শুটিংও করি। এরমধ্যে এক পত্রিকার রিপোর্টার আমার কাছে নতুন কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে ছবিটির কথা বলি। এরপর নিউজ হলো। আমাকে নায়িকা বানিয়ে দেওয়া হলো। আমি তখনও নিউজটি দেখিনি। কিন্তু ছবি সংশ্লিষ্টরা মনে করলেন আমি নিউজ করিয়েছি। আমার সঙ্গে চেচামেচি করলেন। আমি বললাম, করাইনি। এরপর যা ঘটার ঘটল।
নেহা বলেন, আমার কাজের সংখ্যা কম কিন্তু যেকটা করেছি সবগুলো গুণগত মানসম্পন্ন। একজন অভিনয়শিল্পী কেমন অভিনয় করে তার কাজই বলে দেয়। উদাহরণস্বরুপ ওয়েব সিরিজ ‘আধুনিক বাংলা হোটেল’-এর ‘হাসের সালুন’-র কথা বলি। সেখানে আমার চরিত্রের দৈর্ঘ্য কম। কিন্তু ১০ মিনিটের ওই কাজের জন্য বিদেশি গণমাধ্যমে পর্যন্ত আমাকে নিয়ে লেখালেখি হয়েছে।কোয়ালিটি না থাকলে তো তারা ডাকতেন না।
নেহার মত সিনেমার খবরটি জানালেও তাকে বাদ দেওয়ার মত কাজ তারা করতে পারেন না। এটা পুরোপুরি অপেশাদারিত্ব। কারণ তারা অফিসিয়ালি কখনও বলেনি বিষয়টি গোপন রাখতে। অভিনেত্রীর ভাষ্য, যদি আমি নিউজ করিও তবুও তো তারা আমার সঙ্গে এরকম করতে পারেন না। কেননা আমাকে তো বলা হয়নি যে নিউজ করা যাবে না। সাধারণত কাজের ক্ষেত্রে টিম যদি কোনোকিছু গোপন রাখার প্রয়োজন বোধ করে তবে আর্টিস্টের সঙ্গে বসে আলোচনা করে। কিন্তু আমাকে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। চুক্তিপত্রে সাইন করার কথা ছিল। হয়তো সেখানে লেখা থাকত। কিন্তু তাড়াহুড়া করে কাজটি শুরু করা হয়। সাইন করার সময়টা-ই ছিল না। ঈদের পর চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরের কথা ছিল। এছাড়া তাদের পক্ষ থেকে কেউ আমাকে কাজটির কথা গোপন রাখতে বলেওনি।’